শুরু থেকে চাপে রাখলেও শেষ পর্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পুঁজিই পেয়েছে আফগানিস্তান। শারজায় কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে টাইগারদের, করতে হবে ১৫২ রান। শেষ ৪ ওভারেই ৫১ রান তুলেছে আফগানরা।
শুরুটা অবশ্য ভালোই ছিল আফগানদের। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩.২ ওভারে তুলে ফেলে ২৫ রান। তবে এরপরই ১০ বলে ১৫ রান করা ইবরাহীম জাদরানকে ফেরান নাসুম আহমেদ।
দ্বিতীয় উইকেটের জন্য অপেক্ষা বাড়েনি, পরের ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে এসেই সেদিকুল্লাহ আতালকে ফেরান তানজিম সাকিব। ১০ বলে ১২ রান করে আউট হন তিনি।
সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই এবার রান আউটের ফাঁদে পড়েন দরবেশ রাসুলি। ২ বলে ০ রান নিয়ে ফিরতে হয় তাকে। আফগানিস্তান পাওয়ার প্লে শেষ করে ৩ উইকেটে ৩৩ রান নিয়ে।
পাওয়ার প্লের পরের দুই উইকেট রিশাদ হোসেনের। ৬.৪ ওভারে ফেরান মোহাম্মদ ইসহাককে, ৪ বলে ১ রান করে ফেরেন ওই আফগান। পরের উইকেট আসে ১১.১ ওভারে। আজমতুল্লাহ ওমরজাইকে ফেরান ১৮ রানে।
তবে আফগানদের রানের গতি ধরে রাখেন রাহমানুল্লাহ গুরবাজ। গুরবাজকে ১৪.৫ ওভারে ফেরান তানজিম সাকিব। ৩১ বলে ৪০ রান করে আউট হন তিনি। ১৫ ওভার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ৯৫/৬।
১৭ ওভার শেষেও রান হাতের নাগালেই ছিল, ১১০/৬। তবে ১৮ ওভারে তাসকিনের থেকে আসে ২২ রান! ৩ ছক্কায় ১৮ রান নেন নাবি। যদিও সেই ওভারেই ২৫ বলে ৩৮ করে আউট হন তিনি।
পরের ওভারে মোস্তাফিজ ফেরান রশিদ খানকে (৪)। শেষ ওভারে তানজিম সাকিব দেন ১৩ রান। শেষ বলে নুর আহমেদ রান আউট হলেও ৯ উইকেটে ১৫১ রান তুলে ফেলে আফগানরা। জোড়া উইকেট নেন তানজিম ও রিশাদ।
আধুনিক ক্রিকেটে সহজ লক্ষ্য হলেও শারজার মাঠ ও প্রতিপক্ষের বোলার বিবেচনায় মোটেও সহজ নয়।



