১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

সভাপতি পদে লড়বেন তরফদার

সভাপতি পদে লড়বেন তরফদার -


গোপনে গোপনে তার ইচ্ছেটা ছিল ২০১৬ সালের বাফুফের নির্বাচনের সময়ই। যখন তরফদার রুহুল আমিন ছিলেন কাজী সালাহউদ্দিনের প্যানেলের প্রধান সমন্বয়ক। এরপর তিনি ২০২০ সালের নির্বাচনে বাফুফের সভাপতি পদে দাঁড়ানোর জন্য প্রক্রিয়া শুরু করলে বাফুফের সাথে দূরত্ব বাড়ে। একপর্যায়ে তা তিক্ততায় চলে যায়। এরপর এক রকম বাধ্য হয়েই তরফদার রুহুল আমির বাদ দেন বাফুফের সভাপতি পদে নির্বাচন করার পরিকল্পনা। এবার রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফের সরব হন তরফদার। তখন অবশ্য তিনি পরিষ্কার করে বলেননি বাফুফের ২৬ অক্টোবরের নির্বাচনে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যদিও বুঝা যাচ্ছিল তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদে নির্বাচন করার পক্ষে। সব শঙ্কার অবসান হলো গতকাল। পরশু হঠাৎ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের এবারের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণার পর গতকাল ঢাকার এক পাঁচতারকা হোটেলে তরফদার রুহুল আমিন সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন। ‘ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন ২০২৪, সভাপতি প্রার্থী ঘোষণা’ এই ব্যানারে তাকে আগামী বাফুফের নির্বাচনে সভাপতি পদে তাকে প্রার্থী করার ঘোষণা দেয়া হয়। প্রথমে ঘোষণাটি দেন অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী ইমাম তপন। এরপর সেই ঘোষণা সাদরে মেনে নেন তরফদার।

বাংলাদেশের সব জেলা ও বিভাগেরর পক্ষ থেকে তরফদারকে সভাপতি পদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। উল্লেখ্য, এই জেলা ও বিভাগেরই সমর্থন নিয়েই ২০২০ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে চাপে পড়েই তাকে সরে যেতে হয়। সেই সাথে তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ার টেকের ওপরও চাপ আসে। বন্ধ হয়ে যায় আয় রোজগার। গতকাল মঞ্চে তার পাশে সাবেক ফুটবলার সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির, বিভাগীয় নেতা জামালপুরের আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান, সাবেক ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিকসহ আরো কয়েকজন।
দেশে ফুটবল উন্মাদনা আর নেই। ফুটবলের আবেগ হারিয়েছে ২০০৮ থেকে। এমন দাবি করে তরফদার বলেন, ‘ফুটবল এমন জায়গায় চলে গেছে, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। ফুটবলকাঠামো নেই। ফুটবল এখন টেবিলে নিয়ে এসেছি।’ তার অভিযোগ, ‘বাফুফেতে যারা এত দিন ছিলেন, তারা কাজ করেননি। মানুষের আবেগকে তারা ভূলুণ্ঠিত করেছেন দাবি করেছে।’ তরফদার যোগ করেন, ‘ফুটবল নিয়ে আমরা ব্যাপক কাজ করেছি ২০১৫-১৬ সাল থেকে। সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যানারে আমরা জেলা লিগ করেছি। আমরা প্রচুর খেলোয়াড় সরবরাহ করেছি প্রতিকূলতার মধ্যেও। কিন্তু ফুটবল ফেডারেশন কখনো চায়নি আমরা ফুটবল নিয়ে কাজ করি। ফুটবল যেভাবে এগোচ্ছে, সেটা ঠিক নেই। আবেগ নিয়ে খেলা হয়েছে। জঘন্য হয়েছে কাজটা।’

আরো যোগ করেন, ‘২০২০ সালে যখন প্যানেল করে এগোতে গেলাম, তারা আমাকে নিয়ে চক্রান্ত করলেন। আমার ব্যবসার ক্ষতি হলো। দেশেও থাকতে পারিনি। সাইফ পাওয়ারটেকের ক্ষতি হয়েছে। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’
জানান ‘বাফুফের ওপর কোনো আস্থা নেই। স্পন্সর আসে না। টাকা অপব্যবহার হয়। এসএনসি-ফিফার টাকার সঠিক ব্যবহার হয়নি। আর্থিক অনিয়মের কারণে সাধারণ সম্পাদককে ফিফা নিষিদ্ধ করেছে। বাফুফের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টকে ফিফা জরিমানা করেছে। এটা লজ্জাজনক।’
এই আয়োজনে দর্শক কাতারে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ক্রীড়া সম্পাদক জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক গোলরক্ষক আমিনুল হক। ছিলেন বিএনপির নেতা ও তারেক রহমান স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি খায়রুল কবীর খোকন, জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার এনামুল হক। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলামও ছিলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ গ্রেফতার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় আসলে কী হয়েছিল? মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করুন : তথ্য উপদেষ্টা বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে ঢাবিতে নামবে ‘মোবাইল কোর্ট’ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কোন্নয়ন প্রচেষ্টায় নজর ভারতের এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট নাটোরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে যুবদল নেতাসহ গ্রেফতার ৬ বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে ঢাবিতে নামবে ‘মোবাইল কোর্ট’ ভিসা সমস্যার সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা মার্চেন্ট শিপিং ফেডারেশনের শহীদ পরিবার পাচ্ছে ৫ লাখ, আহতরা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সকল