১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

লাল মাটির পিচ চেন্নাইয়ে!

-


১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ে বাংলাদেশকে প্রথম টেস্টে আতিথ্য দেবে ভারতীয় দল। এই টেস্টের পিচ নিয়ে তাই আলোচনা থাকাটা স্বাভাবিক। চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে লাল মাটির পিচ। ভারতের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এমনটাই আভাস দিয়েছে। সাধারণত লাল মাটির পিচে কিছুটা বাউন্স থাকে। তা ছাড়া স্পিনাররা সুবিধা পেয়ে থাকেন পুরোটা সময়। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ কিন্তু এমন পিচে খেলে অভ্যস্ত নয়। শান্তরা কালো মাটির পিচে খেলে থাকে। যেখানে বল নিচু এবং যতটা সম্ভব স্লো হয়ে থাকে।

এই টেস্টকে কেন্দ্র করে ভারতীয় দল ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। যেহেতু আগামী চার মাসে তাদের ১০টি টেস্টের মতো খেলতে হবে। সব মিলিয়ে ভীষণ ব্যস্ত সূচিতে থাকবে রোহিত শর্মারা। যার দু’টি বাংলাদেশের বিপক্ষে, তিনটি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। বাকি পাঁচটা আবার অস্ট্রেলিয়ায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের কথা ভেবে সেভাবেই স্বাগতিক দল প্রস্তুতি নিচ্ছে। নেটে এমন সব বোলারকে রেখে অনুশীলন করছে, যাদের সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলামদের মতো বোলিং অ্যাকশন। একইভাবে আসন্ন নিউজিল্যান্ড টেস্টের কথাও মাথায় রাখা হচ্ছে। কিউই দলের অ্যাজাজ প্যাটেল, মিচেল স্যান্টনার ও রাচিন রবীন্দ্রদের মতো বোলারদের বিকল্প ব্যবস্থা রেখে তারা অনুশীলন করছে। সেখানে আরো বলা হয়েছে, এই পিচে এখন যথেষ্ট ঘাসও দেখা যাচ্ছে। যদিও আসল চরিত্র যাতে না বোঝা যায় সে জন্য কভার দিয়েই ঢেকে রাখা হয়েছে।
গুঞ্জন রয়েছে, বাংলাদেশ সম্প্রতি পেস দিয়ে সাফল্য পেলেও ভারত পেস-বান্ধব উইকেটের পথেই হাঁটতে পারে। যেমন কৌশল তারা সর্বশেষ ২০১৯ সালে নিয়েছিল। সেবার টাইগারদের দুই টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। যেখানে ইন্দোর ও কলকাতায় দুই টেস্টে পেসাররা দখলে নিয়েছিলেন ৩৫ উইকেট।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে প্রায় ছয় মাস পর টেস্ট ফরম্যাটের খেলায় ফিরছে ভারতীয় দল। যার জন্য তারা এম চিদাম্বরমে দু’টি ভিন্ন পিচে রুদ্ধদ্বার অনুশীলন করেছে। তাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের পিচ কোনটি হবে সেই প্রশ্ন উঠেছে। তাদের এই লুকোচুরির একটাই কারণ হতে পারে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ জয়।
প্রায় দেড় মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেনি ভারত। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট দিয়ে তারা ফের মাঠে নামছে। শোনা যাচ্ছে, লাল মাটির পিচে ভারতীয় বোলাররা বোলিং অনুশীলন করেছেন। এরপর ৪০ মিনিটের একটি বিরতি হয়। তারপর ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন কে এল রাহুল, রিশভ পান্ত, ধ্রুব জুরেল, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, আকাশ দীপ এবং যশ দয়াল। তারা দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাটিং এবং বোলিং অনুশীলন করেছেন। এই সময়ে নেট বোলার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বৈভব অরোরা, অর্পিত গুলেরিয়া, গুরনুন ব্রার, যুধবীর সিং, সিমারজিত সিং ও গুরজাপনিত সিংকে।

টেস্ট শুরু হতে এখনো পাঁচ দিন বাকি। গিল-কোহলিরা একের পর এক সুইপ, রিভার্স সুইপ খেলার অনুশীলন করেছেন। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে পড়া বলে প্যাডল সুইপ, প্রথাগত সুইপ খেলেছেন। বোঝাই যাচ্ছে, প্রতিপক্ষ দলের স্পিনারদের দাপট দেখানোর সুযোগ দিতে চাইছেন না তারা। স্পিনারদের বিপক্ষে সুইপ, রিভার্স সুইপের পাশাপাশি এগিয়ে এসে শট খেলারও অনুশীলন করেন ভারতীয় ব্যাটাররা। কনভেনশনাল সুইপ খেলার পাশাপাশি তারা প্যাডেল সুইপও অনুশীলন করেছেন। সকালের সেশনে অনুশীলন হয়েছে দীর্ঘক্ষণ। ওই সেশনে রোহিত, যশস্বী, গিল, বিরাট, জাদেজা, অশ্বিন, বুমরাহ এবং সিরাজ দীর্ঘক্ষণ ব্যাট করেছেন।

চেন্নাইয়ের পিচ স্পিনারদের জন্য সহায়ক। সে কথা মাথায় রেখে স্কোয়াডে চারজন স্পিনার রেখেছে ভারত। এই চার স্পিনার হলেন- ডানহাতি রবিচন্দ্রন অশ্বিন, দুই বাঁহাতি অলরাউন্ডার রবিন্দ্র জাদেজা এবং অক্ষর প্যাটেল ও বাঁহাতি স্পিনার কুলদিপ যাদব। তাদের দলের সাথে যোগ দিয়েছেন নতুন বোলিং কোচ দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার মর্নি মরকেল।
অন্য দিকে বাংলাদেশ স্কোয়াডেও রয়েছে ৪ স্পিনার। তারা হলেন- বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, অর্থোডক্স স্পিনার তাইজুল ইসলাম, ডানহাতি অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ও ডানহাতি স্পিনার নাঈম হাসান। আর বাংলাদেশ দলের কোচের অপেক্ষায় টাইগাররা।

ব্যাটারদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে উড়তে থাকা বাংলাদেশ ভারতে গিয়ে যে আরো কঠিন লড়াইয়ে পড়বে তা অনুমেয়। সেই লড়াইয়ের ঝাঁজ বেশি টের পাবেন ব্যাটাররা। পাকিস্তানের তুলনায় ভারতের বোলিং আক্রমণ শক্তিশালী। সেই সাথে ভূমিকা থাকবে উইকেট, কন্ডিশন আর বলের ধরনেরও। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম টেস্টের ভেনু চেন্নাইর চিদাম্বরম স্টেডিয়াম। ঐতিহ্যগতভাবে এই মাঠ স্পিন সহায়ক। বেশির ভাগ সময় উপমহাদেশের বাইরের দলগুলোকে এই মাঠে দিশেহারা করেন ভারতীয় স্পিনাররা। তবে চেন্নাইতে শুরুতে ব্যাটাররাও সহায়তা পান, বড় রানও হয়। সাম্প্রতিক সময়ে পেসাররাও ভালো করেছেন।
বাংলাদেশের সাবেক পরামর্শক শ্রীধরন শ্রীরাম ভাসা ভাসা যা বলেছেন, ‘অনেকেই আমাকে চেন্নাইর উইকেট নিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন। সত্যিই আমি জানি না, এখন যুক্তরাজ্যে আছি। আইপিএলের পর কিছু জানি না। যেকোনো কিছু হতে পারে। দেখার বিষয় উইকেটের আশপাশে কতটা ঘাস রাখা হয়। আমি জানি না ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট কী চায়।’

পাকিস্তানের বিশেষজ্ঞ স্পিনার না থাকায় স্পিনে বড় পরীক্ষা হয়নি শান্তর দলের ব্যাটারদের। ভারতের অশ্বিন ছাড়াও আছেন রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেলের মতন স্পিনার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও গত মার্চে স্পিনে বেশ নড়বড়ে অবস্থা ছিল বাংলাদেশের। এবার তাদের চ্যালেঞ্জ আরো কঠিন। ভারত সিরিজের প্রস্তুতিতে বলও একটা ফ্যাক্টর। টেস্ট বাংলাদেশ খেলে মূলত কোকাবুরা বলে। পাকিস্তানেও ছিল কোকাবুরা বল। ভারতে খেলতে হবে এসজি বলে। লিটনের মতে কোকাবুরা বল একটু পুরনো হলেই খেলা সহজ হয়ে যায়। এসজির বেলায় ভিন্ন। তবে সব পরীক্ষার কথা মাথায় নিয়ে সেরা অবস্থায় ভারতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। তাদের লক্ষ্য আগের সব ইতিহাস বদলে দেয়া।

 


আরো সংবাদ



premium cement
হাসপাতাল থেকে বাসায় খালেদা জিয়া নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক! শহীদ জিয়ার খাল খনন প্রকল্প ফের চালু করার দাবি কুলিয়ারচরে মসজিদ ও মাজার ভাঙচুরসহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২টি মামলা কুলিয়ারচরে মসজিদ ও মাজার ভাঙচুরসহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২টি মামলা ইবির পাঁচ বিভাগে নতুন সভাপতি নিয়োগ শেরপুরে তিন দিনব্যাপী সিরাতুন্নবী সা: মাহফিল, আজ ছিল শেষ দিন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নির্ধারণের প্রস্তাব রাজবাড়ীতে সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি-ওসিসহ ৭ জনের নামে মামলা

সকল