১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

লিভিংস্টোনের নৈপুণ্যে সমতা ইংল্যান্ডের

-

ইংল্যান্ডের হয়ে ৫০তম টি-২০ খেলতে নেমেছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। মাইফলকের ম্যাচটা অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয়ে রাঙিয়েছেন তিনি। তার ম্যাচসেরা ভূমিকায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-২০তে গত পরশু তিন উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। তাতে তিন ম্যাচে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে ইংল্যান্ড।
শুরুতে বড় সংগ্রহই দাঁড় করিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। জ্যাক ম্যাকগার্ক ফ্রেজারের প্রথম আন্তর্জাতিক ফিফটি ও অধিনায়ক ট্রাভিস হেডের ঝড়ো সূচনায় ছয় উইকেটে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে তারা। জবাবে বিগ হিটিং অলরাউন্ডার লিভিংস্টোন বল হাতে ১৬ রানে দুই উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে ছিলেন বিধ্বংসী ভূমিকায়। ছয় চারের সাথে পাঁচ ছক্কায় ৪৭ বলে ৮৭ রান করেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। ৭৯ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর জেকব বেথেলকে সাথে নিয়ে ৯০ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথে তুলেছেন তিনি। তাতে কার্ডিফে ছয় বল বাকি থাকতেই ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে মাঠ ছাড়ে ইংলিশ দল।

মাত্র দ্বিতীয় টি-২০ খেলতে নামা বেথেল অ্যাডাম জাম্পার এক ওভারেই নেন ২০ রান! শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৪৪ রান করেছেন। বেথেলের বিদায়ের পর অবশ্য কিছুটা ছন্দপতন ঘটে ইনিংসে। কিন্তু লিভিংস্টোন মোমেন্টাম হাতছাড়া হতে দেননি। স্কোর যখন সমতায় তখনই আউট হয়েছেন। তার পর ১৯তম ওভারে সাত উইকেট জয় নিশ্চিত করেছে তারা।
অসিদের হয়ে পার্টটাইম স্পিনার ম্যাথু শর্ট ২২ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আলো ছড়ানো ব্যাটার ছিলেন ম্যাকগার্ক। ৩১ বলে ৫০ রান করেছেন চান চার ও দুই ছক্কায়। সাথে ভূমিকা রাখেন জশ ইংলিস। ২৬ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। তার আগে দুই ওপেনার ম্যাথু শর্ট ও ট্রাভিস হেড দারুণ শুরু এনে দিলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। হেড ১৪ বলে চার চার ও দুই ছক্কায় ৪১ রানে যখন ফেরেন, স্কোর ছিল ৫২। শর্ট ছিলেন ধীরস্থির। ২৪ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় করেছেন ২৮ রান। শেষ দিকে কার্যকরী ইনিংস খেলেন ক্যামেরন গ্রিন ও অ্যারন হার্ডি। ৮ বলে ১৩* রানে অপরাজিত থাকেন গ্রিন, হার্ডি ৯ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে লিভিংস্টোন ছাড়াও ২৬ রানে দু’টি উইকেট নিয়েছেন ব্রাইডন কার্স। একটি করে নিয়েছেন স্যাম কারান ও আদিল রশিদ।

 


আরো সংবাদ



premium cement