পদত্যাগ করলেন সুজন
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তাৎক্ষণিকভাবে তার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ জানা যায়নি। তিনি ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন নতুন বোর্ড প্রধান ফারুক আহমদকে।
সুজন এর আগে বিসিবিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান। একই সাথে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ দলের সাথে যুক্ত ছিলেন। পরিচালক পদে থাকাবস্থায় তিনি জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর, অন্তর্বর্তীকালিন কোচ, টিম ম্যানেজারের দায়িত্বও সামলেছেন। এ ছাড়াও বিপিএলের একজন সফল কোচও।
১৯৯৮-২০০৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলেছেন সুজন। ২০০৩-০৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের নেতৃত্বও দিয়েছেন। ২০১৩ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিসিবির পরিচালক হয়েছিলেন। দায়িত্ব ছাড়ার আগে গত ১১ বছরে বোর্ডের বিভিন্ন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। ৫৩ বছর বয়সী সুজন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন লম্বা সময়। তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতে।
গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর থেকে বিসিবিতে পদত্যাগের মিছিল চলছে। সুজনের আগে পদত্যাগ করেছেন বিসিবির আরো দুই পরিচালক জালাল ইউনুস ও নাইমুর রহমান দুর্জয়। এদিকে গুঞ্জন আছে আ জ ম নাছির, শেখ সোহেল, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, আহমেদ নজিব, মঞ্জুর কাদেরের মতো পরিচালকরাও পদত্যাগ করতে পারেন। কারণ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে তাদের বোর্ডে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ। নিজেরা পদত্যাগ না করলে টানা তিন বোর্ড সভায় অনুপস্থিত থাকার জেরে পরিচালকের পদ হারাতে হবে তাদেরকে।
এ দিকে মাহবুব আনাম, আকরাম খান, ইফতেখার রহমান মিঠু, কাজী ইনাম, ফাহিম সিনহা, সাইফুল আলম চৌধুরী স্বপন ও মঞ্জুর আলমদের সঙ্গে নিয়ে আপাতত বোর্ড পরিচালনা করছেন বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ। বেশির ভাগ পরিচালক না থাকায় যারা আছেন তাদের মাঝে বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব তুলে দেয়া হতে পারে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়ন নিয়ে পরিচালক হওয়া নাজমুল আবেদিন ফাহিম পেতে পারেন গেম ডেভেলপমেন্টের দায়িত্ব। বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ একাই বহন করতে পারেন চারটি বিভাগের দায়িত্ব। সেখানে থাকতে পারে জালাল ইউনুসের ফেলে যাওয়া ক্রিকেট অপারেশন্সও।
দেশের ক্লাব ক্রিকেটের কোচিংয়ে সুজন ছিলেন নিয়মিত মুখ। আবাহনীর কোচ হিসেবে তিনি পরিচিত। সর্বশেষ বিপিএলে তিনি দুর্দান্ত ঢাকার কোচ ছিলেন। ক্রিকেটার তুলে আনার পেছনে আছে তার ভূমিকা সর্বজনবিদিত। ভবিষ্যতে দেশের ক্রিকেটে সুজনকে অন্য কোনো ভূমিকায় দেখা যাবে কিনা, সেটা সময়ই বলে দেবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা