পর্তুগালকে হারিয়ে সেমিতে স্পেনের সঙ্গী ফ্রান্স
- ক্রীড়া ডেস্ক
- ০৭ জুলাই ২০২৪, ০২:১৫
- ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ
- নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় পর্তুগাল ০ : ০ ফ্রান্স, (টাইব্রেকার পর্তুগাল ৩ : ৫ ফ্রান্স)
১২০ মিনিটেও জালের ঠিকানা খুঁজে পেল না কোনো দল। ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালের প্রাণহীন ফুটবলে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হয় খেলার। পর্তুগালকে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেল ফ্রান্স। সেই সাথে ইউরো থেকে শেষ বিদায় নিলো আন্তর্জাতিক ফুটবলে রেকর্ড সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
নকআউট পর্বের ম্যাচে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে তিনটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে নায়ক হয়েছিলেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক দিয়েগো কস্তা। পাঁচটি শটের একটিও গত পরশু বাঁচাতে পারলেন না তিনি। টাইব্রেকারে পর্তুগালের হয়ে তৃতীয় শট নিতে এসে পোস্টে মেরে খলনায়ক হয়ে গেলেন জোয়াও ফেলিক্স। স্পেনের সাথে সেমিফাইনালে লড়ার জন্য জায়গা করে নিলো ফ্রান্স।
পর্তুগাল ও ফ্রান্সের দুই মহা তারকার লড়াইয়ে গোটা ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া গেল না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। দু’জনই একই রকম খেললেন। এমবাপ্পের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের পর তাকে তুলে নিলেন কোচ দিদিয়ের দেশম। অন্য দিকে আগের ম্যাচে পেনাল্টি মিস করে কাঁদলেও টাইব্রেকারে গোল করেছিলেন সিআর সেভেন। এ দিনও টাইব্রেকারে গোল করলেন। কিন্তু দলের বিদায়ের পর পাথরের মতো মুখ করে থাকতে দেখা গেল। চোখ দিয়ে জল পড়ল না।
জার্মানির হামবুর্গের ভক্সপার্ক স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণে উঠছিল ফ্রান্স। শুরুর কয়েক মিনিট দাঁড়াতে দেয়নি পর্তুগালকে। রবার্তো মার্টিনেজের দল ব্যস্ত ছিল বল ক্লিয়ার করতেই। ধীরে ধীরে খেলায় দখল নিতে শুরু করে রোনালদোর দল। তবে ফ্রান্সের মতো আক্রমণে ওঠার বদলে তারা নিজেদের মধ্যে পাস খেলে খেলার গতি কমিয়ে দেয়।
মাঝমাঠের দখল নিতে ফ্রান্সের কোচ এ দিন শুরুতেই নামিয়েছিলেন অরেলিয়ান চৌয়ামেনি ও এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকে। দু’জনই অবশ্য প্রথমার্ধে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে না পারলেও ফ্রান্সের আক্রমণ তুলনামূলক ভালো হচ্ছিল। অন্য দিকে বাঁ দিক দিয়ে রাফায়েল লিয়াওকে কেন্দ্র করে ছিল পর্তুগালের বেশির ভাগ আক্রমণ। কিন্তু তার ক্রস বা পাস কোনোটিতেই নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ফলে পর্তুগিজদের তেমন ভালো কোনো আক্রমণ তৈরি হচ্ছিল না। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ভালো জায়গায় বল পেয়েও সোজা গোলকিপারের দিকে মারেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। ফিরতি বলে সুযোগ নষ্ট করেন জোয়াও ক্যানসেলো।
৬৪ থেকে ৭০ মিনিটের মধ্যে দুই দলের কাছেই গোল করার সুযোগ এসেছিল। প্রথম মিস করে পর্তুগাল। ভিতিনহার শট বাঁচিয়ে দেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক মাইক মাইগনান। দুই মিনিট পর মিসথ করেন কোলো মুয়ানি। পেছন থেকে ভেসে আসা বলে শট নিলে এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দেয় রুবেন দিয়াসের পা। চার মিনিট পর উসমানে দেম্বেলে একা গোলরক্ষককে পেলেও বল মারেন বাইরে। অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন রোনালদো। কাইসেদোর বাড়ানো বল আট গজ দূরে পেয়ে প্রথম স্পশেই জালে পাঠানোর চেষ্টা করলেও বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন আল নাসরের এই ফরোয়ার্ড।
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর আগের মাঠ ছাড়েন এমবাপ্পেকে। সেই অর্ধেও অগোছালো খেলা হচ্ছিল দুই দলেরই। শেষ দিকে ফ্রান্সেসকো কনসেসাও বল পেয়ে বেশি সময় নেয়ায় পাস ঠিকঠাক হয়নি। নুনো মেন্ডেসের শট ঠেকিয়ে দেন মাইগনান। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। আগের ম্যাচে পর্তুগাল হাসিমুখে ফিরলেও এবার হেসেছে ফ্রান্স। সেই সাথে নিয়েছে প্রতিশোধও। ২০১৬ ইউরোর ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের গোলে এই পর্তুগালের কাছেই হেরেছিল ফরাসিরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা