১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

একটি স্বর্ণের খোঁজে কুস্তি

-


নিজস্ব কোনো ভেনু নেই। তাই কখনো হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে কখনো শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে হয় কুস্তির যাবতীয় প্রতিযোগিতা। বর্তমানে ২৯ জন পুরুষ ও মহিলা কুস্তিগীরকে নিয়ে রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে চলছে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন। ২৯, ৩০ ও ৩১ জুলাই হবে প্রথম সাউথ এশিয়ান কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপ। এই আসরে স্বর্ণ জিতে আন্তর্জাতিক আসরে স্বর্ণ জয়ের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে চায় বাংলাদেশ অ্যামেচার রেসলিং ফেডারেশন। এই স্বর্ণ জয়ের কথাই জানান কুস্তি ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন আজাদ ও কোচ আশরাফ আলী।
প্রথমে তিন জাতি কুস্তিই আয়োজন করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ রেসলিং ফেডারেশন। এতে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সাথে বাংলাদেশের খেলা কথা ছিল। তবে ভারত ও পাকিস্তান এই আয়োজনের কথা জেনে তারাও অংশ নেয়ার আগ্রহ দেখায়। ফলে এখন ৫ দেশ নিয়ে সাউথ এশিয়ান কুস্তি। এতে বাংলাদেশের কুস্তিগীদের পরীক্ষাটা ভালোই হবে। জানা যাবে নভেম্বের থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইনডোর অ্যান্ড মার্শাল আর্ট গেমসে লাল-সবুজ কুস্তিগীরদের সম্ভাবনা কতটুকু, জানান ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ও কোচ।

এশিয়ান গেমস, এস এ গেমস, কমনওয়েলথ গেমস ও ইসলামী সলিডারিটি গেমসে অংশ নিয়ে আসছে বাংলাদেশের কুস্তিগীররা। কিন্তু কোনো গেমসেই তাদের কোনো স্বর্ণ নেই। রৌপ্য আর ব্রোঞ্জ পদকেই আটকা। অথচ একটি স্বর্ণ তাদের আলাদা স্থান করে দিতে পারে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের কর্নধারদের মনে। যাযাবরের মতো না ঘুরে নির্দিষ্ট একটি ভেনু পেতে পারে কুস্তি ফেডারেশন।
কোচ আশরাফ আলী জানান, আমরা ৫টি স্বর্ণ আশা করছি এই টুর্নামেন্ট থেকে। ছেলেদের ৬৫ কেজিতে সাত্তার, ৭০ কেজিতে মাহফুজ ও ৭৪ ও ৮৬ কেজিতে আমজাদ হোসেনের কাছে স্বর্ণ আশা করছি। আর মেয়েদের মধ্যে মীম ৫৩ কেজিতে ও ৬০ বা ৬৫ কেজিতে দোলার সম্ভাবনা আছে স্বর্ণ জয়ের।
১৯৯৩ সাফ গেমসে ব্রোঞ্জ ও ১৯৯৫ এর মাদ্রাজ সাফে রৌপ্য পদক পাওয়া আশরাফ জানান, এই আসরের মাধ্যমে আমরা ইনডোর মার্শাল আর্ট গেমসের জন্য খেলোয়াড় বাছাই করতে পারব।
অভিজ্ঞ কুস্তিগীর আমজাদ জানান, আমি দেশের মাটিকে স্বর্ণ জিততে চাই।’ আর গত বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কুস্তিতে ব্রোঞ্জ জেতা লিটন বিশ্বাসের মুখেও স্বর্ণ জয়ের প্রত্যয়।


আরো সংবাদ



premium cement