০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫
`

মামলার হুমকি তাসকিনের

মামলার হুমকি তাসকিনের -

বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশ বিদায় নেয়ার বেশ কয়েকদিন পর দল বা বোর্ডের কেউ এই সংবাদ গণমাধ্যমের কাছে ফাঁস করেছেন। তার দেয়া তথ্যের সাথে তাসকিনের বক্তব্যও মিলে যাচ্ছে একটা আপত্তি ছাড়া। সেটা হলো- একাদশ থেকে বাদ পড়ার কারণ। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভেতরের খবর বাইরে আসার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সাকিব-তামিমের দ্বন্দ্বের ঘটনা তো খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপনই ফাঁস করেছিলেন। সেই ঘটনা কিংবা তাসকিনের এই ঘটনায় দেশের ক্রিকেটের কী লাভ হয়েছে- সেটা বিসিবিই জানে। তবে তাসকিন তার ফেসবুকে ঘুমের কথা স্বীকার করে আইনি ব্যবস্থার হুমকিও দিলেন।
বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের বিদায়ের প্রায় এক সপ্তাহ পর তাসকিনের ঘুমের খবর দল বা বোর্ডের কেউ ফাঁস না করলে সেটা গণমাধ্যম পর্যন্ত পৌঁছাতে না। ভেতরের কথা ভেতরেই থাকত। যেহেতু বোর্ডের সূত্রের বক্তব্যের সাথে তাসকিনের বক্তব্য মিলে গেছে, তাই এটাকে আর অস্বীকার করার উপায় নেই। গণমাধ্যমের কাজ সংবাদ সংগ্রহ করে প্রকাশ করা। বিসিবির ভেতরের খবর কতটা বাইরে আসবে, সে দায়িত্ব তো নিশ্চয়ই গণমাধ্যমের নয়। টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ঘুমিয়ে থাকার কথা স্বীকার করেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। তবে তিনি বলেন বাজে পরিবেশ তৈরি করার জন্য বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম মিথ্যা খবর প্রচার করছে। অথচ সত্যিটা হচ্ছে ভারতের কাছে ৫০ রানে হারের পর একাদশে সুযোগ পাননি তাসকিন।

ঘুম কাণ্ড নিয়ে পরিষ্কার বার্তা দিয়ে নিজের ফেসবুকে তাসকিন লিখেছেন, ‘আমি বিভিন্ন অনলাইন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, সদ্য শেষ হওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের সময় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা নিয়ে অনেক হইচই হচ্ছে। প্রথমত, আমি সবাইকে জানাতে চাই, বেশির ভাগ খবর এবং তথ্য যা ছড়ানো হচ্ছে তা গুজব ছাড়া আর কিছুই না। দ্বিতীয়ত, সেদিন আসলে কি ঘটেছিল সেটি আমি পরিষ্কার করতে চাই। আমি স্বীকার করি, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে পরে উঠেছি এবং আমি ইতোমধ্যে পুরো দল এবং ম্যানেজমেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।’
তাসকিন যোগ করেন, ‘আমি সকাল ৮টা ৩৭ মিনিটে উঠেছি, সকাল ৯টায় হোটেল ছেড়েছি। ১০টায় টসের আগে ৯টা ৪০ মিনিটে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছি। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছি এবং ম্যাচটি সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়েছিল। এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, তথাকথিত ক্রীড়া সাংবাদিকরা গুজবের ভিত্তিতে খবর প্রচার/মুদ্রণ করছে এবং যাচাই না করে আমার ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করার চেষ্টা করছে, যা জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড় হিসেবে ব্যথিত করেছে।’
আফসোসের সুরে তাসকিন জানান, ‘সময়মতো টিমের বাসে না ওঠার একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল করেছি। কিন্তু আমি টসের আগেই স্টেডিয়ামে ছিলাম। চূড়ান্ত দলে আমার নির্বাচিত না হওয়াটা টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত ছিল। যা সঠিক টিম কম্বিনেশনের সাথে সম্পর্কিত এবং এটি আমার টিম বাসে না ওঠার ব্যর্থতার সাথে সম্পর্কিত ছিল না।’
গুজব আকারে সংবাদ প্রকাশিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তাসকিন। ‘আমি আশা করি মিডিয়া এবং ক্রীড়া সাংবাদিকরা মিথ্যা গল্প লেখার আগে আরো সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন না। এটি কেবল আমাদের খেলোয়াড়দের ক্ষতি করে না বরং আমাদের দেশের সামগ্রিক চিত্রকে ক্ষুণœ করে। ভবিষ্যতে, আমি আইনিভাবে এই ধরনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’


আরো সংবাদ



premium cement

সকল