০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫
`

১৬ বছর পর কোয়ার্টারে তুরস্ক

গোলরক্ষক মের্ত গুনকের এই দুর্দান্ত সেভই তুরস্ককে নিয়ে গেছে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে : বিবিসি -

কোন ফুটবলারকে বেশি ধন্যবাদ দেবে তুর্কিরা। মেরিত ডেমিরাল না কি মের্ত গুনককে। ৫৮ সেকেন্ড ও ৫৯ মিনিটে জোড়া গোল করেন ডিফেন্ডার ডেমিরাল। আর ৪ মিনিট ইনজুরি টাইমের শেষ ২০ সেকেন্ডে গোলরক্ষক মের্ত গুনক ড্রপ হেড যেভাবে দুর্দান্ত ডাইভ মেরে সেভে দলের জয় নিশ্চিত করেন সেটাই কিন্তু কেড়ে নিয়েছে ম্যাচের সমস্ত স্পট লাইট। ছোট বক্সের ভেতর থেকে বমগার্টনারের কোনাকুনি হেডে ডান দিকে শূন্যে শরীর ভাসিয়ে হাত লাগিয়ে তা কর্নার করেন তুরস্কের শেষ প্রহরী। এতেই ২-১ গোলে জয় নিশ্চিত তুরস্কের। পরশু রাতে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় রাউন্ডের এই ম্যাচ জিতে তুরস্ক এখন ৬ জুলাই কোয়ার্টারে পাচ্ছে নেদারল্যান্ডকে। পরশু রাতে অপর ম্যাচে ডাচরা ৩-০ গোলে হারায় রোমানিয়াকে।
দুই দলের পারস্পরিক লড়াইয়ে জয়ের পাল্লা ভারী তুরস্কেরই। তবে চলতি ইউরোর দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার আগের তিন ম্যাচেই জয় ছিল অস্ট্রিয়ার। এরমধ্যে একটিতে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেয়া। এবারের ইউরোর গ্রুপ পর্বে নেদারল্যান্ডস ও ফ্রান্সকে টপকে গ্রুপ সেরা হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে আসা অস্ট্রিয়ার। সেই অস্ট্রিয়া এখন ইউরোর দর্শক হয়ে গেছে জার্মানির লাইপজিগরে রেড বুল এরিনায় তুর্কি উৎসবে। এই জয়ের পর পুরো জার্মানিজুড়ে থাকা তুর্কিরা মেতেছে বাঁধভাঙ্গা আনন্দে।

ম্যাচের তিনটি গোলই কর্নারে। এর দুটি তুরস্ক করায় বিদায় অস্ট্রিয়ানদের। জয়ী দলের এই দুই কর্নারই নেন তুর্কি মেসি খ্যাত আরদা গুলের। স্টেডিয়ামের ৩০ হাজার দর্শক তখন নড়ে চড়ে বসতে শুরু করেছেন সিটে। কেউবা বসার অপেক্ষায়। তখনই ম্যাচের প্রথম কর্নার থেকে গোল। ৫৮ সেকেন্ডে কর্নারের বলে তুর্কি প্রচেষ্টা গোল লাইন সেভ হলে সেই বল ডেমিরেলের সামনে পড়লে শটে তা জালে পাঠান সাবেক জুভেন্টাস, আটলান্টা এবং বর্তমানে সৌদি লিগের দল আল আহলিতে খেলা ডিফেন্ডারটি। ইউরোর নক আউটের ইতিহাসে এটিই দ্রুততম গোল। ৫৯ মিনিটে সেই গুলের এবং ডেমিরেল কম্বিনেশনে দ্বিতীয় গোল ২০০২ বিশ্বকাপের সেমিতে খেলা এবং শেষ পর্যন্ত তৃতীয় হওয়া দলটির। এবার লাফিয়ে হেড ডেমিরেলের। এই গোলের মাধ্যমে এই শতাব্দীতে বৃহৎ টুর্নামেন্টের নক আউটে জোড়া গোল করা প্রথম ডিফেন্ডার তিনি। এর আগে ১৯৯৮-এর বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দুই করেছিলেন ফ্রান্সের ডিফেন্ডার লিলিয়ান থুরাম।
৬৬ মিনিটে কর্নার থেকে অস্ট্রিয়ার মাইকেল গ্রেটরিশের হেডে ব্যবধান কমে। এরপর অস্ট্রিয়ার সমতার চেষ্টা কখনো গোলরক্ষক গুনেক প্রতিহত করেন। কখনো ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় বল বাইরে। তুরস্ক তখন কাউন্টারে জয় নিশ্চিতের সুযোগ খুঁজে। তবে ইলমাজের ব্যর্থতায় শেষ মিনিট পর্যন্ত টেনশনে থাকতে হয়। এরপর ৯৪ মিনিটে গুনকের সেই সেভ। যা ১৯৭০ এর বিশ্বকাপে ব্রাজিলের পেলের ডাইভিং হেডে ইংল্যান্ডের গর্ডন ব্যাংকসের সেভের সাথে তুলনা করা হচ্ছে।
এই হারের ফলে ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপের পর নক আউটে জিততে ব্যর্থ হলো অস্ট্রিয়া।


আরো সংবাদ



premium cement