বিশ্ব একাদশে রিশাদ

গতকাল টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে সাউথ আফ্রিকা ও ভারত মাঠে নামার আগেই নিজেদের বিশ্বকাপ সেরা একাদশ প্রকাশ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। যেখানে জায়গা পেয়েছেন বল হাতে নজরকাড়া টাইগার স্পিনার রিশাদ হোসেন। এই একাদশের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান। একাদশে সর্বোচ্চ তিনজন ক্রিকেটার আছেন ফাইনালিস্ট ভারতের। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের দু’জন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের একজন করে জায়গা পেয়েছেন।
সেরা এই একাদশে দুই ওপেনার হিসেবে আছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড এবং রোহিত শর্মা। পুরো আসরে দারুণ ছন্দে ছিলেন হেড। ৭ ম্যাচে ২৫৫ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এই বিশ্বকাপে রোহিত শর্মাও দুর্দান্ত খেলছেন। ৭ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৪৮ রান। তার ৪১ বলে ৯২ রানের অসাধারণ ইনিংসে বিদায় নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অথচ এই রোহিতকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয়া হয়নি এই একাদশে। ওয়ান ডাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরানকে রাখা হয়েছে। আসরে ১৪৬.১৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করে পুরান সাত ম্যাচে ২২৮ রান করেছেন।
আসরে ৪০.৫০ গড়ে রান তুলে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারন জোনস সুযোগ পেয়েছেন এই একাদশে। প্রশংসিত হয়েছে তার ৯৪ রানের ঝড়ো ইনিংসটি। মার্কাস স্টয়নিস এবং হার্দিক পান্ডিয়াও আছেন একাদশে। স্টয়নিস ব্যাট হাতে দুটি হাফ সেঞ্চুরিসহ ১৬৪.০৭ স্ট্রাইক রেটে খেলার পাশাপাশি বল হাতে নেন দশ উইকেট। হার্দিক প্রায় ১৫০ স্ট্রাইক রেটে রান তোলার পাশাপাশি নিয়েছেন ৮ উইকেট।
তার পরই আছেন অধিনায়ক রশিদ খান। আসরে ১৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। স্পিন আক্রমণে রশিদের সঙ্গে আছেন বাংলাদেশের রিশাদ। সবমিলিয়ে ৭ ম্যাচে ২৫ ওভার বোলিং করে ২১ বছর বয়সী এই স্পিন অলরাউন্ডার ৭.৭৬ ইকোনমি রেটে ১৪ উইকেট শিকার করেছেন। এটা কোনো বাংলাদেশী বোলার হিসেবে বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেটের কীর্তি।
পেস আক্রমণে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ভরসা রেখেছে সেমি ফাইনালিস্ট আফগানদের ফজল হক ফারুকির ওপর। আসরে ৮ ম্যাচে ৬.৩১ ইকোনমি রেটে ১৭ উইকেট নিয়েছেন। দ্বিতীয় পেসার হিসেবে অবধারিতভাবেই আছেন জসপ্রীত বুমরাহ। মাত্র ৪.১২ ইকোনমি রেটে ৭ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছেন। ৮ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে দলে তৃতীয় পেসার সাউথ আফ্রিকার অ্যানরিখ নরকিয়া।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ সেরা একাদশ- ট্রাভিস হেড, রোহিত শর্মা, নিকোলাস পুরান, অ্যারন জোনস, মার্কাস স্টয়নিস, হার্দিক পান্ডিয়া, রশিদ খান (অধিনায়ক), রিশাদ হোসেন, অ্যানরিখ নরকিয়া, জসপ্রীত বুমরাহ ও ফজল হক ফারুকি।