অপরাজিত থেকেই নকআউটে জার্মানি

বড় দলগুলোর এটাই কোয়ালিটি। তা ক্লাব ফুটবল বা জাতীয় দল। ঠিকই তারা শেষ সময়ে ম্যাচ বের করে নেয় বা হার এড়ানোর কাজ করে। যা পরশু রাতে করেছে জার্মানি।
‘এ’ গ্রুপের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলায় নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছিল জার্মানরা। ফলে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে নকআউট পর্বে নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ম্যাচে নেমেছিল তারা। কিন্তু এই ম্যাচে হারতেই বসেছিল স্বাগতিকরা। তবে ইনজুরি টাইমে নিকোলাস ফুলক্রগের গোলে ১-১ সমতায় খেলা শেষে অপরাজিত ও গ্রুপ-এ-তে সেরা হয়েই নকআউট পর্বে গেল জার্মানি। অন্য দিকে অল্পের জন্য জার্মানিকে হারাতে পারেনি নানা জাতি গোষ্ঠীর ফুটবলার নিয়ে গড়া সুইজারল্যান্ড। অবশ্য এর পরও জার্মানির মতো অপরাজিত থেকেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে সুইসরা।
যদি শেষ সময় পর্যন্ত ম্যাচটি জিতে যেত জেরদান শাকিরিরা তাহলে তারাই হতো গ্রুপ সেরা। তবে ম্যাচে জিততে না পারলেও হতাশ হতে হয়নি সুইজারল্যান্ডকে। কারণ গ্রুপের অপর ম্যাচে হাঙ্গেরির কাছে ০-১ গোলে হেরেছে স্কটল্যান্ড। এতে হাঙ্গেরি ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে। বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে ১ পয়েন্ট পাওয়া স্কটল্যান্ডের। হাঙ্গেরিয়ানদের এখন বেস্ট থ্রি হিসেবে কোয়ার্টারে খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে স্বাগতিক জার্মানি। ১৭ মিনিটে তাদের হয়ে স্কোর করে ফেলেছিলেন রবার্ট অ্যানড্রিক। কিন্তু ভিএআর চেকে দেখা যায় গোলের আগে ফাউল হয়েছে। ফলে সেই গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি।
২৮ মিনিটে ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে দেয় সুইজারল্যান্ড। জার্মানির জালে বল জমা করে ১-০ তে এগিয়ে যায় সুইসরা। রেমে ফ্রুয়েলারের অ্যাসিস্ট থেকে ডানপায়ের দারুণ শটে স্বাগতিকদের জাল কাঁপান দান নদয়ে।
এর ২ মিনিট পর আরো একটা আক্রমণ করে সুইজারল্যান্ড। মাইকেল অ্যাবিশেরের অ্যাসিস্ট থেকে নদয়ের করা শটটি গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
বিরতিতে যাওয়ার আগে টানা কয়েকটি আক্রমণ করে জার্মানি। কিন্তু অ্যান্টোনিও রুডিগার, কাই হ্যাভেরতজ ও অ্যানড্রিকের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ফলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সুইজারল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে আক্রমণের ধার আরো বাড়াতে থাকে জার্মানি। ৫০ মিনিটে ফ্লোরিয়ান ভিরতজের অ্যাসিস্ট থেকে দারুণ এক শট নেন জামাল মুসিয়ালা। কিন্তু সুইস গোলরক্ষক সেটি রুখে দেন। এর ৫ মিনিট পর টনি ক্রসের একটি শট গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ফাউলের কারণে একটি গোলও বাতিল হয়ে যায়।
এই অর্ধে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে সুইজারল্যান্ড। তবে দুইবার একবার আক্রমণে আসলেও সেটি জোরালো ছিল না।
শেষ মুহূর্তে এসে সফল হয় জার্মানি। ৯১ মিনিটে ডেভিড রাউমের ক্রস থেকে ফুলক্রগের দুর্দান্ত হেডে সমতায় (১-১) ফেরে জার্মানরা। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানেই খেলা শেষ হয়। ফলে অপরাজিত থেকেই শেষ ষোলোয় উঠে জার্মানি।