১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অন্যরা এগিয়ে গেলেও বাংলাদেশ কোথায়

-

২০ ওভারের ক্রিকেটের শুরুর দিকে যেমন ছিল সবশেষ কয়েক বছরে সেটা একদমই বিপরীত পর্যায়ে চলে গেছে। একটা সময় ১৪০-১৬০ রান করতে পারলেই ম্যাচ জিতে যেত আগে ব্যাট করা দল। অথচ এখন অনেক ক্ষেত্রে সেটা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। বেশির ভাগ টি-২০ ম্যাচে পার স্কোর ধরা হয় ১৮০ কিংবা ১৯০ রানকে। অথচ বাংলাদেশ এখনো পড়ে আছে ১৩০-১৪০ রানের ঘরে। অসিদের বিপক্ষে হারের পর সাকিব নিজেও স্বীকার করেছেন এমনটা।
ছয় ম্যাচে তিন জয়ের বিপরীতে টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হার তিনটিতে। এমন পরিসংখ্যানে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতেই পারেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। সাফল্যের বিচারে এযাবৎকালের সবচেয়ে সফল ২০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলছেন সাকিব আল হাসানরা। জয়-পরাজয়ের হিসেবে পরিসংখ্যানটা খারাপ নয়, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে সাকিবও এমনটাই বলেছিলেন। যদিও পারফরম্যান্স বিবেচনায় সাফল্য এখনো অনেকটা দূরে বাংলাদেশের।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারে টাইগাররা। তখন আল জাজিরায় সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কোচ সেই সময় দাবি করেছিলেন, গত ২৫ বছরে এগোয়নি বাংলাদেশের ক্রিকেট। যদিও এমনটা মানতে নারাজ বাংলাদেশীরা। তবে প্রশ্নটা হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট কি সত্যিই এগোয়নি? বিশেষ করে টি-২০ বিবেচনায় উত্তরটা অবধারিতভাবে না-ই হবে।
বাংলাদেশের ক্রিকেট এগোনোর প্রশ্নে যেটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে তা হলো নিজেদের লক্ষ্য। ২০০৭ সালে দ্বিতীয় রাউন্ড যাওয়ার আশায় বিশ্বকাপ খেলা টাইগাররা এখনো আছেন সেখানেই। অথচ বিশ্বের অন্য দলগুলো এগিয়ে গেছে অনেকটা। বাংলাদেশের সাথে পার্থক্য দেখছেন নিক পোথাসও। বাংলাদেশের সহকারী কোচ মনে করেন, ২০০৭ সালের চিন্তা হিসেবে দেশের ক্রিকেট এগোয়নি।
পোথাস আরো বলেন, ‘আমি এক বছরের একটু বেশি সময় দলের সাথে আছি। আমার মনে হয় আপনার যেটা দেখা উচিত, ২০০৭ সাল থেকে বর্তমানে কি পরিবর্তিত হয়েছে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ যা করেছে, এখনো যদি তাই করে তাহলে সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশ আগায়নি। যেখানে পুরো বিশ্ব এগিয়ে গেছে, আর তাই পার্থক্যও বেড়ে গেছে।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘তাই আমাদের জিজ্ঞেস করা উচিত ২০০৭ সালের সাথে এই দলের পার্থক্য কি। আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন আমাদের কি করা উচিত। তাহলে বলব আমাদের শক্তি লাগবে, পাওয়ার লাগবে। আমাদের প্রাপ্তি খোঁজা উচিত। টি-২০ ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে পাওয়ার লাগবেই।’


আরো সংবাদ



premium cement