ওপেনিংয়ে এলোমেলো টাইগাররা
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১৬ জুন ২০২৪, ০০:০৫
বিশ্ব ক্রিকেটের টি-২০ ফরম্যাট মানেই চার-ছক্কার লড়াই। সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে শুরু থেকেই ব্যাটাররা মাতেন বাউন্ডারি ঝড়ে। আর এই কাজটি করে থাকেন প্রায় প্রতিটি দলের টপ-অর্ডাররা।
এই ফরম্যাটে টপ-অর্ডারের কাজ হলো, ঝুঁকি নিয়ে পাওয়ার প্লেতে ঝোড়ো শুরু এনে দেয়া, অথবা উইকেট বাঁচিয়ে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য মঞ্চ তৈরি করা। অথচ সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে টাইগার টপ-অর্ডাররা সেটা করতে পারছেন না। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই বাংলাদেশের টপ-অর্ডাররা হচ্ছেন এলোমেলো। নড়বড়ে থাকছেন শুরুর বল থেকেই। জুটি পরিবর্তন করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।
অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর যাচাই-বাছাইয়ের পর বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে আমেরিকা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিমান ধরেছিল টাইগাররা। সেই স্বপ্ন পূরণে কতটা এগোল টিম টাইগার্স কিংবা সেই স্বপ্ন পূরণের কারিগররাই বা কেমন করছেন বিশ্ব আসরে, সেই প্রশ্ন এখন সবখানে। টি-২০ বিশ্বকাপে ব্যাটিং-ব্যর্থতা বেশ ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে।
ইতোমধ্যে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নিজেদের তিনটি ম্যাচ খেলেছে টিম টাইগার্স। যেখানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়টা কষ্টার্জিত হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারটাও কি কম কষ্টার্জিত কিংবা কম বেদনাদায়ক! এ দিন তীরে এসে যে তরী ডোবাল টাইগাররা। ম্যাচটা জিততে জিততে হেরে গেল শান্ত-সাকিবরা। চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যদি প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জিততে পারত তাহলে সুপার এইটের উঠা আগেই নিশ্চিত হয়ে যেত। তৃতীয় ম্যাচে শান্ত লিটনের তাড়াতাড়ি সাজঘরে ফেরা চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছিল। সাকিব আবার এ দিন ফিফটি করে দলকে নির্ভার রেখেছিলেন। ডাচদের শতরানের আগেও মনে হয়েছিল বাংলাদেশ হারতে পারে। পরে অবশ্য ২৫ রানের জয়ে কিছুটা নির্ভার থেকেছে দল।
টিম টাইগার্স দারুণভাবে জ্বলে উঠবে, মাতাবে বিশ্বকাপ। এমনটাই ছিল সমর্থকদের দাবি। কিন্তু সমর্থকদের সেই চাওয়া আর পাওয়ার হিসাব মেলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এবারের বিশ্বকাপে বোলাররা খানিকটা আশার আলো জ্বালাতে পারলেও ব্যাটসম্যানরা যে তেমন কিছুই করতে পারেননি। প্রথম দুই ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আর তৌহিদ হৃদয় ছাড়া আর সবাই ছিলেন নিষ্প্রভ। ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণ বা বিশ্লেষণে সবার আগে আসে টপ অর্ডার। যেখানে শান্ত-সৌম্য-লিটন এই তিন সিনিয়রের ব্যর্থতাই আরো বেশি ভোগাচ্ছে টিম টাইগার্সদের। বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত খেলা এই তিনজনের অবদান মাত্র ৬৬ রান। বিপরীতে বল খেলেছেন ৮৯টি। যা টি-২০ ক্রিকেটের সাথে একেবারেই বেমানান। এর মধ্যে তো শ্রীলঙ্কার সাথে শূন্য রানে আউট হয়ে যাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে দলেই সুযোগ হয়নি সৌম্য সরকারের।
দীর্ঘ দিন ধরেই বাংলাদেশের টপ-অর্ডারের অবস্থা বেশ নাজেহাল। বিশ্বকাপের আগে আমেরিকার সাথে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ কিংবা দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। কোথাও পারফর্ম করতে পারেননি বাংলাদেশের টপ-অর্ডাররা। সেই ধারাবাহিকতাই যেন ধরে রেখেছেন বিশ্বকাপেও। যেন ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত পার করছে টপ-অর্ডাররা। আমেরিকার মন্থর উইকেটে যেখানে সবচেয়ে কার্যকরী হয়ে উঠার কথা টপ-অর্ডারের, সেখানেই কি না চরম। কাজে লাগছে না পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভার। অন্য দলগুলোর টপ-অর্ডার যেখানে কার্যকরী পাওয়ার প্লেতে অপর দিকে এখনো যেন শিক্ষানবিশ সময় পার করছে বাংলাদেশ।
অবশ্য বছরের শুরু থেকে ছন্দে নেই বাংলাদেশের টপ-অর্ডার। বিচ্ছিন্ন কিছু বড় ইনিংস দেখা গেলেও সামগ্রিকভাবে নাজুক অবস্থায় লিটন-শান্ত-সৌম্য। প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতসহ বিশ্বকাপে চার ম্যাচে অধিনায়ক শান্তর রান যথাক্রমে ০, ৭, ১৪ ও ১। লিটনের রান যথাক্রমে ৬, ৩৬, ৯ ও ১। তানজিদ তামিম করেছেন যথাক্রমে ১৭, ৩, ৯ ও ৩৫ রান। সৌম্য ভারতের বিপক্ষেও ০, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও শূন্য।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা