১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ম্যাচ জিতলেও হতাশা টপঅর্ডারে

লজ্জার রেকর্ড সৌম্যের-
উইকেট নেয়া মোস্তাফিজকে জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন তাসকিনের। পাশেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচসেরা পুরস্কার পাওয়া রিশাদ হোসেন : বিসিবি -

সময়টা ভালো যাচ্ছিল না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হার। এরপর ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিংয়ে দৈন্যদশা। আশার আলো দেখাতে পারছিল না টপঅর্ডার। সব কিছু মিলিয়ে চলতি আসর শুরুর আগেই বাংলাদেশ দল নিয়ে হতাশ ছিল সমর্থকরা। তবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে এসে স্বস্তির জয় পেয়েছে শান্তর দল। যদিও ব্যাট হাতে টপঅর্ডারদের পারফরম্যান্স হতাশ করেছে সমর্থকদের।
প্রায় প্রতি ম্যাচেই পাওয়ারপ্লের মধ্যেই টপঅর্ডার ড্রেসিংরুমে ফেরায় শুরুতেই চাপে পড়ে দল। টপঅর্ডার যেন তাসের ঘর! গতকাল লঙ্কানদের বিপক্ষেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। ১২৫ রানের মামুলি লক্ষ্যে নেমেও ২৮ রানে তিন টপঅর্ডারকে হারায় বাংলাদেশ।
প্রথম ওভারেই সৌম্যকে হারায় বাংলাদেশ। এবার কোনো রান না করেই আউট হয়ে গেছেন তিনি। সব মিলিয়ে ৮৩ ইনিংসের ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১৩ বার শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। এতে বিব্রতকর এক রেকর্ডে নাম উঠে গেছে সৌম্য সরকারের। টি-২০তে তিনি এখন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক পল স্টার্লিংয়ের সাথে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হওয়া ক্রিকেটার। আরো একটা ডাক মারলে আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে ছাড়িয়ে শীর্ষস্থানে যাবেন সৌম্য। আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিংও ১৩ বার আন্তর্জাতিক টি-২০তে শূন্য রানে আউট হয়েছেন। সৌম্যের ম্যাচসংখ্যা যেখানে ৮৪টি সেখানে স্টার্লিংয়ের এই রেকর্ড গড়তে লেগেছে ১৪৪ ম্যাচ।
শূন্য রানে আউট হওয়ার তালিকার দুইয়ে আছেন রুয়ান্ডার কেভিন ইরাকোজে, আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও ব্রায়েন ও ভারতের রোহিত শর্মা। তিনজনই ডাক মেরেছেন ১২ বার করে। তাই তাদেরও লজ্জার বিশ্বরেকর্ডের শঙ্কা বা সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশীদের মধ্যে সৌম্যর পরে আছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীম। তারা দু’জন শূন্য রানে আউট হয়েছেন আটবার করে।
টি-২০ বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ডাক সৌম্য সরকারের। চারটি ডাক আছে তার। মাত্র ১৬ ইনিংসে এমন কীর্তি। তবে টি-২০ বিশ্ব আসরে শূন্যের রেকর্ডের বিব্রতকর অবস্থা থেকে অবশ্য বেঁচে গেছেন বাংলাদেশী ওপেনার। তার চেয়ে বেশি খালি হাতে ফিরেছেন তিলকারাতেœ দিলশান ও শাহিদ আফ্রিদি। বিশ্বকাপের দু’জনই রানের খাতা খোলার আগে আউট হয়েছেন পাঁচবার করে।
তরুণ ওপেনার তানজিদ তামিমও ভরসার প্রতিদান দিতে পারেননি। তিন রান করেছেন মাত্র। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর জন্য রানে ফেরার ভালো মঞ্চ ছিল কিন্তু তিনিও ১৩ বলে ৭ রান করে ক্যাচ তুলে দেন। সাকিব আল হাসান এই ম্যাচে প্রথমে বল হাতে ও পরে ব্যাট হাতে হতাশ করেছেন। পাওয়ারপ্লেতে বল হাতে নিয়ে প্রথম দুই ওভারে দিয়েছিলেন তিনি ২৪ রান, পরে মোট তিন ওভার বল করে ৩০ রান দিয়েছেন। ব্যাট হাতে সাকিব ১৪ বলে নিয়েছেন মাত্র ৮ রান, কখনোই উইকেটে সেট মনে হয়নি তাকে।
তবুও বাংলাদেশের সমর্থকদের জন্য এটা একটা স্বস্তির জয়। তবে এমন ভঙ্গুর ব্যাটিং লাইনআপ দিয়ে এই বিশ্বকাপে কতদূর যাবে বাংলাদেশ, তা হয়তো সময়ই বলে দেবে। যদিও এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতি সমর্থকদের প্রত্যাশা একেবারেই কম। শান্ত বাহিনী আগেই বলেছেন, একটি মাত্র জয় দরকার, তাহলেই দলে আত্মবিশ্বাস ফিরবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেটি পূরণ হলো। সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা। কতটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলবে টাইগাররা। সেটির জন্য অপেক্ষা করতে আগামীকাল ১০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত।


আরো সংবাদ



premium cement
‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই’ পাটখাতে সংকট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : পাট উপদেষ্টা তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবি : ৩ দিন সাগরে ভেসে ছিল শিশুটি বিএসএমএমইউ’র ভিসিকে অবরুদ্ধ করে স্নাতকোত্তর কোর্সে ঢোকার চেষ্টা ১৩ চিকিৎসকের অস্ট্রেলিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশী শিক্ষক নিহত ডিজিটাল যুগে ইসলামিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও চ্যালেঞ্জ থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস নিষিদ্ধ রিজার্ভ বেড়ে এক হাজার ৯০০ কোটির ঘরে এবার শীত কম হবে, নাকি বেশি জনগণের হয়রানি রোধে জমির ডিজিটাল জরিপ করা হচ্ছে : মহাপরিচালক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় অটোরিকশাচালক নিহত

সকল