সর্বাবস্থায় মাহমুদুল্লাহর আলহামদুলিল্লাহ
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০৬ জুন ২০২৪, ০০:০৫
বিশ্বজুড়ে জমে উঠেছে টি-২০ বিশ্বকাপের আমেজ। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে কয়েকটি ম্যাচ। তবে এখনও শুরু হয়নি টাইগারদের বিশ্বকাপ যাত্রা। আগামী শনিবার অর্থাৎ ৮ জুন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে শান্ত-মাহমুদুল্লাহদের বিশ্বকাপ মিশন। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ দলের বর্তমান অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে। সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা ছন্দে নেই টাইগাররা। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হার, এরপর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বড় ব্যবধানের পরাজয় বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে তৈরি করেছে হতাশা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সৌম্য সরকারের অফফর্মের দুশ্চিন্তা।
তবে এমন দুশ্চিন্তার মাঝেই বাংলাদেশের ভরসা যেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। বয়স বাড়লেও এখনো দলের মিডল অর্ডারের ভরসা হয়ে আছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে সাক্ষাৎকার প্রচার করে আসছে বিসিবি। গতকালের পর্বে বিসিবির ক্যামেরার সামনে জানিয়েছেন নিজের অনেক কথাই। দলে থাকা না থাকা, পরিকল্পনা, নিজের ভালো-মন্দ সব কিছু নিয়ে শোকর করে বলেছেন আলহামদুলিল্লাহ।
শান্ত খুব ভালো নেতা
চলতি বছরেই পেয়েছেন অধিনায়কের দায়িত্ব, সেই সাথে চলতি বছরেই বৈশ্বিক আসরের মেগা ইভেন্ট। লাল-সবুজের জার্সিতে বৈশ্বিক মঞ্চে প্রথমবারের মতো অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। নতুন করে দায়িত্ব নেয়া শান্তর অধীনে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায় টাইগাররা। যদিও ব্যক্তিগত ও দলীয় সাফল্য না আসায় শান্তকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। তবে তাকে সময় দিলে ভালো করবেন বলে প্রত্যাশা অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের।
অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘সে খুব ভালো নেতা। খুব ভালো অধিনায়ক। গেম-সেন্স খুব ভালো। ম্যাচের প্রতি মনোযোগও খুব ভালো। কিন্তু তাকে সময় দিতে হবে। কিছ ুদিন হলো অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছে, সময় দিতে হবে। আশা করি ওর যে নেতৃত্ব গুণ আছে, ইনশা আল্লাহ বাংলাদেশের জন্য ভালো করবে।’
উত্থান পতনে মাহমুদুল্লাহ
নিজের ক্যারিয়ারের উত্থান-পতন নিয়ে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘উত্থান-পতন তো আমার ক্যারিয়ারে কমবেশি ছিলই। আমি সব সময়ই আল্লাহর ওপর বিশ্বাস করি। আল্লাহর কাছেই সব সময় যা কিছু বলার বলি। সব সময়ই বিশ্বাস করি, আল্লাহ ইজ দ্যা বেস্ট প্ল্যানার (আল্লাহ হচ্ছেন সেরা পরিকল্পনাকারী)। আমার ভালো সময়, খারাপ সময় সব কিছুরই একটি শিক্ষণীয় বিষয় থাকে। এটাই আমি বিশ্বাস করি।’
এর আগে ২০২১ বিশ্বকাপে টাইগারদের নেতৃত্ব দিলেও, ২০২২ আসরের দল থেকে বাদ পড়ে যান মাহমুদুল্লাহ। এ নিয়ে তার উক্তি, ‘২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপে যখন আমি ছিলাম না, খারাপ লেগেছিল। মনে হয়েছিল, দলে হয়তো থাকতে পারতাম। কিন্তু হয়নি এবং ওটার জন্য আমার কোনো কষ্টও নেই। আমি সব সময়ই আলহামদুলিল্লাহ। যেটা বলি দলের জন্য যতটুকুই আমি করতে পারি, সেটা আমার উপস্থিতি দিয়ে হোক, পারফরম্যান্স দিয়ে হোক, অভিজ্ঞতা দিয়ে হোক, আমি আমার সর্বোচ্চটাই সব সময় নিংড়ে দিই।’
নতুন জার্সি পেলে ভালো লাগে
যেকোনো টুর্নামেন্ট, সিরিজ জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করাটাকে বিশেষ হিসেবে দেখেন মাহমুদুল্লাহ, ‘জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করা, সেটা সিরিজ হোক কিংবা কোনো মেগা ইভেন্ট হোক, সব সময়ই স্পেশাল। যখনই নতুন জার্সিটা পাই, সব সময়ই খুব ভালো লাগে।’
টাইগার ভক্তরা বেশি আবেগপ্রবণ
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমর্থকদের নিয়ে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমাদের মানুষ অনেক আবেগপ্রবণ। অনেক অনুভূতি নিয়ে উনারা খেলা দেখেন। উনারা চায় আমরা ভালো করি। তো সব দিক থেকে বিবেচনা করে যে, এত দূর আল্লাহ আমাকে নিয়ে এসেছেন, এটাই অনেক, আলহামদুলিল্লাহ।’
ট্রফি জিততে ভাগ্যও দরকার
আইসিসি টুর্নামেন্টে ট্রফি জেতা তো দূরে থাক, সুপার এইটই তাদের সর্বোচ্চ দৌড়। ট্রফি জয়ের জন্য কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করেন মাহমুদুল্লাহ, ‘ট্রফি জিততে ভাগ্যেরও একটু সহায়তা লাগে। আমরা কয়েকটি মেগা ইভেন্টে হয়তো খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে পারিনি। এখন আরেকটি সুযোগ সামনে। সমর্থন আছে ইনশা আল্লাহ। যা যা করা সম্ভব আমরা করব।’
মাহমুদুল্লাহর প্রেরণা এবং প্রিয়
নিজের ক্রিকেটে আসার পেছনের গল্প বলতে গিয়ে বড় ভাইকে স্মরণ করলেন এই অলরাউন্ডার, ‘আমার আপন ভাই, উনি ক্রিকেট খেলতেন। ওনার হাত ধরেই আমার ছোটবেলার পথচলা। আমার ক্রিকেটের হাতেখড়ি- সব কিছুই উনার মাধ্যমে। ভাইয়াই সব সময় আমার অনুপ্রেরণা ছিল।’
ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ভালো-খারাপ সময় পরিবারকে সবসময় কাছে পেয়েছেন বলে জানান মাহমুদুল্লাহ। ‘আমার ভালো-খারাপ সব সময়ই পারিবার পাশে থাকে এবং সাপোর্ট করে। আমার বাচ্চারাও আমাকে অনেক ভালোবাসে আলহামদুলিল্লাহ। বিশেষভাবে আমার বড় ছেলে সবসময় চায় আমি ছক্কা মারি।’
ভালো লাগার খেলোয়াড়দের কথা বলতে গিয়ে জানালেন, ‘সাঈদ আনোয়ারের খেলা খুব ভালো লাগত। যখন আস্তে আস্তে খেলা বুঝতে শুরু করেছি এম এস ধোনির খেলা খুব ভালো লাগে। আমি তার অনেক বড় ভক্ত। উনার টেম্পারামেন্ট এবং শান্ত মেজাজ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এই জিনিসগুলো আমার খুব ভালো লাগে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা