১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আফগানিস্তানের ষষ্ঠ উগান্ডার প্রথম

-

টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ মাঠে নামবে আফগানিস্তান। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি চলতি আসর নিয়ে ষষ্ঠবার অংশগ্রহণ করলেও তাদের প্রতিপক্ষ উগান্ডার এই প্রথম সুযোগ পাওয়া। আফ্রিকার দলটি প্রথম ম্যাচে নামার আগে কিছুটা বাড়তি চাপ অনুভব করছে, বলেন অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। অপর দিকে আফগানদের সাফল্যের পেছনে বেশির ভাগ সময় অবদান রাখে স্পিনাররা। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি, মুজিব উর রাহমানদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়েছে প্রায়ই। তবে এখন আর সেদিন নেই। অধিনায়ক রশিদের মতে, বোলারদের খারাপ দিনে ব্যাটাররাও এখন ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য রাখে। বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও উগান্ডা।
ম্যাচের আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তানের স্পিন নির্ভরতার প্রসঙ্গ উঠে আসলেও ব্যাটিংয়ে উন্নতির কথা সামনে আনেন রশিদ।
রশিদ বলেন, ‘আগে আমাদের ব্যাটিংয়ে কিছুটা ভুগতে হতো। ম্যাচে তখন বোলাররা অনেক বেশি অবদান রাখত, ম্যাচ জিততে সাহায্য করত। পরে আমরা তরুণ ব্যাটারদের পেলাম, বিশেষ করে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট থেকে। তারা যেভাবে কঠোর পরিশ্রম করেছে এবং তরুণ বয়সে আফগানিস্তানের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছে। তারা বিশ্বজুড়ে নানা লিগ খেলছে। যেখানে নিজেদের আরো উন্নতি করতে পারছে।’
গত কয়েক বছর ধরে আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ের বড় নির্ভরতার নাম ইব্রাহিম জাদরান। আর দ্রুত রান তোলার কাজটি সফলভাবেই করছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। আজমতউল্লাহ ওমারজাই সামাল দিচ্ছেন মিডল অর্ডারে। শেষ দিকে ঝড় তোলার জন্য অভিজ্ঞ নবির সাথে আছেন করিম জানাত। এই ব্যাটিং লাইন-আপের ওপর আস্থা রেখে রশিদ বলেন, যেকোনো দিন অনেক বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করার সামর্থ্যও আছে তাদের।
তিনি বলেন, ‘আমার মতে, আমাদের যে ব্যাটিং লাইন-আপ আছে, ২০০ রানের লক্ষ্য হলেও সমস্যা নেই। টি-২০ ক্রিকেট পুরোটাই মানসিকতার ব্যাপার। আপনি সঠিক মানসিকতায় থাকলে ও বিশ্বাস রাখলে, যেকোনো কিছুই সম্ভব। তবে এসব নিয়ে আমরা খুব বেশি ভাবি না। মাঠে গিয়ে আমরা কেমন করি সেটিই মূল বিষয়। গত (ওয়ানডে) বিশ্বকাপেও আমরা সেমিফাইনালের খুব কাছে ছিলাম। আর একটা ম্যাচ জিতলেই হতো।’


আরো সংবাদ



premium cement