১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বাংলাদেশকে হারানো অঘটন নয়

রেকর্ড জয়ে বিশ্বকাপ শুরু যুক্তরাষ্ট্রের
৪০ বলে অপরাজিত ৯৪ রান করে ম্যাচসেরা অ্যারন জোনস -


টি-২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই কানাডার ছুড়ে দেয়া ১৯৫ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সাত উইকেট এবং ১৪ বল হাতে রেখে জিতেছে কিছুদিন আগেই বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারানো দলটি। ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে নাভনিত ধালিওয়ালের ৪৪ বলে ৬১, নিকোলাস কিরটনের ৩১ বলে ৫১ এবং শ্রেয়াস মোভভার ১৬ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংসে পাঁচ উইকেটে ১৯৪ রান তোলে কানাডা। যা বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে কোনো আইসিসি সহযোগী সদস্য দেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। অথচ ঘণ্টা দুয়েক পরই সেই রেকর্ডটি ভেঙে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। অ্যারন জোনসের ৪০ বলে অপরাজিত ৯৪ এবং অ্যান্ড্রিয়েস গাউসের ৪৬ বলে ৬৫ রানের ইনিংসে অনায়াসেই জিতে যায় দলটি।
যুক্তরাষ্ট্র দেখিয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে কিভাবে তারা বাংলাদেশের পতন ঘটিয়েছে। বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে বাংলাদেশকে দাপটের সাথেই হারায় যুক্তরাষ্ট্র। সেই সিরিজের প্রথম টি-২০তে বাংলাদেশ করে পাঁচ উইকেটে ১৫৬ রান। জবাবে পাঁচ উইকেট এবং তিন বল হাতে রেখে সেই লক্ষ্য টপকে যায় যুক্তরাষ্ট্র। পরের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে যুক্তরাষ্ট্র তোলে ছয় উইকেটে ১৪৪ রান । জবাবে বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৯.৩ ওভারে ১৩৮ রানে। ম্যাচটি ছয় রানে জিতে যায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর সিরিজের শেষ ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেয় স্বাগতিকরা। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতে ১০ উইকেটে।

টি-২০ বিশ্বকাপের শুরুটা ধ্বংসাত্মকভাবেই করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অ্যারন জোনসের ব্যাটে কানাডার ছুড়ে দেয়া ১৯৫ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করল দলটি। এই বিশ্বকাপে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের গ্রুপেই আছে ভারত-পাকিস্তান। কানাডাকে হারিয়ে তাদের প্রতিও সতর্কবার্তা দিলো যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। শেষ ১৫০ রান তুলতে দলটি খেলেছে মাত্র ৫৮ বল।
এমন সাফল্যের পর অধিনায়ক মোনাঙ্ক বলেছেন, ‘আমরা যেভাবে খেলে এসেছি, সেভাবেই খেলতে চাই। আমাদের আগ্রাসী ঘরানার ক্রিকেট পরিবর্তন করতে চাই না... এমনকি পাকিস্তান বা ভারতের বিপক্ষেও না।’
ম্যাচটিতে চারে নেমে চারটি চার ও ১০ ছক্কায় ৯৪ রান করেন অ্যারন জোনস। তার সাথে ৪৬ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন অ্যান্ড্রিস গাউস। এই দু’জন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তোলেন ১৩১ রান। এই জুটিতেই ম্যাচ জয়ের ভিত গড়ে দলটি। বিশেষ করে জোনসের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে কোনো আইসিসি সহযোগী সদস্য দেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ করে দলটি।
যুক্তরাষ্ট্রকে জেতানো জোনস বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না, এখন কিছু বলা সহজ হবে। আমরা জানতাম কানাডা আমাদের বিপক্ষে উঠেপড়ে নামবে। কেননা আমাদের দ্বৈরথ অনেক বড়। দলকে জেতাতে পেরে দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। আমাদের যে ব্যাটিং লাইনআপ, আমরা জানতাম দুই শ’র নিচে যেকোনো কিছুই অতিক্রম করা যাবে। আউটফিল্ড এবং উইকেট যথেষ্ট ভালো। আমরা সেটা জানতাম। আমি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চলার চেষ্টা করি, আমার পাওয়ার হিটিংয়ে ভরসা রাখি। আমি জানতাম মাঝখানে নামলে ভালো খেলব। দল যখন চাপে থাকে তখনই আমি ব্যাটিংয়ে নামতে চাই। কেননা এটা আমার সেরাটা নিয়ে আসে।’

সংক্ষিপ্ত স্কোর
কানাডা : ১৯৪/৫, ২০ ওভার (ধালিওয়াল ৬১, কার্টন ৫১, হারমিত ১/২৭)।
যুক্তরাষ্ট্র : ১৯৭/৩, ২০ ওভার (জোন্স ৯৪*, গাউস ৬৫, ডিলোন ১/১৯)।
ফল : যুক্তরাষ্ট্র সাত উইকেটে জয়ী।


আরো সংবাদ



premium cement