১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বিশ্বকাপ জয়ই লক্ষ্য : শান্ত

-

হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। খটকা-ঝটকা যাই বলা হোক না কেন, এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দেয়া এক ভিডিও বার্তায় টি-২০ বিশ্বকাপে দল নিয়ে এমন লক্ষ্যের কথাই জানান শান্ত। বললেন, বিশ্বকাপ জেতাটাই আমাদের টার্গেট। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর এমন উচ্চাশা ভক্তরা বাঁকা চোখেই দেখছে।
চলতি বছরেই পেয়েছেন অধিনায়কের দায়িত্ব, সেই সাথে চলতি বছরেই বৈশ্বিক আসরের মেগা ইভেন্ট। লাল-সবুজের জার্সিতে বৈশ্বিক মঞ্চে প্রথমবারের মতো অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে তার চলতি বছরের আন্তর্জাতিক অ্যাসাইনমেন্ট শুরু হয়েছিল, সেই লঙ্কানদের সাথে ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে বিশ্বকাপ মিশনও। ইদানীং ব্যাটেও শুরু হয় রানের খরা। এমন অবস্থায় খুব চাপ কি না সেই প্রশ্নও উঠেছে। শান্ত বললেন, ‘অধিনায়ক হওয়া নিয়ে অনেক বেশি দায়িত্ব বেড়ে গেছে এভাবে চিন্তা করতে চাই না। প্রত্যেকটা সময় এনজয় করতে চাই। প্রত্যেক দিন দলকে যেন কিছু একটা দিতে পারি।’
২০০৭ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে সবগুলো টি-২০ বিশ্বকাপেই খেলেছে বাংলাদেশ। কোনো আসরেই নক আউট পর্বে উঠতে পারেনি টাইগাররা। আট আসরে অংশ নিয়ে ৩৮ ম্যাচে নয়টি জয়, ২৮টি হার ও একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে বাংলাদেশের। টি-২০ বিশ্বকাপে আগের রেকর্ড মুছে দিয়ে আসন্ন আসরে ভালো করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শান্ত-সাকিবরা। এ জন্য নবম আসরে শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপে খেলতে নামবে বাংলাাদেশ। শান্ত বলেন, ‘সম্ভাবনা আমি বলতেই চাই না। কারণ আপনিও চান বাংলাদেশ শিরোপা জিতুক। খেলোয়াড়রাও চায় বাংলাদেশ কাপ জিতুক। এটাই সবার লক্ষ্য।’
অধিনায়ক হিসেবে দলের সাফল্যের জন্য নিজেদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করাই মূল লক্ষ্য শান্তর, ‘অধিনায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হলো- প্রস্তুতি ঠিকমতো নিয়েছি কি না, ছোট ছোট কাজগুলো করছি কি না, প্রক্রিয়া ঠিক আছে কি না, এই জিনিসগুলো যদি আমরা ঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি, প্রতিটি ম্যাচে আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারলে ফল আসবেই। ছোট ছোট জিনিস যেন আমরা ঠিকভাবে করতে পারি, এটা নিয়ে বেশি মনোযোগী।’
অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশ্রণে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের দল গড়েছে বাংলাদেশ। খেলোয়াড়রা দলের প্রয়োজন মেটাতে পারলেই খুশি হবে শান্ত। ‘আমার মনে হয় প্রত্যেকটা ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। তারপর যদি আবার বিশ্বকাপের মতো একটা আসরে এ ধরনের সুযোগ আসে, তাহলে তো ওই ক্রিকেটারের জন্য গর্বের বিষয়। অনেক রোমাঞ্চকর একটা মুহূর্ত আমার কাছে মনে হয়। পাশাপাশি এই সময়টা উপভোগ করা।’
সাকিব ও মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ক্রিকেটারের কাছ থেকে, সবার কাছেই আমার সমান প্রত্যাশা। যার যে ভূমিকাগুলো থাকবে, সেভাবেই যেন দলে অবদান রাখতে পারে, এটাই প্রধান চাওয়া থাকবে। সাকিব ভাই তার অভিজ্ঞতা সব ক্রিকেটারের সাথে ভাগ করে নেবেন। আমার কাছে মনে হয় এ ধরনের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার যখন দলে থাকে তখন এটা অনেক বড় প্লাস পয়েন্ট। বিশেষ করে অনেকেই প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ খেলবেন। তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হবে। কঠিন সময়ে কোনো সাহায্য দরকার হলে তারা সেটি করবেন এবং করছেনও।’
দেশের বাইরে সমর্থকদের সমর্থন পাওয়া বাড়তি অনুপ্রেরণা বলে জানান শান্ত। তবে খারাপ সময়ে সমর্থকদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের বাইরে যখন ভক্ত-সমর্থকরা সমর্থন দেন, এটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। বাড়তি অনুপ্রেরণা। আমাদের দেশের প্রত্যেক মানুষ যেভাবে ক্রিকেট অনুসরণ করেন, ক্রিকেটের পাশে থাকেন, অবশ্যই দলকে অনুপ্রাণিত করে। বাড়তি চাওয়া বলতে বিশ্বকাপের সময় এতটুকু চাইব যে, আল্লাহ না করুক, কোন বাজে অবস্থায় যদি আমরা পড়ি, সে সময় যেন তারা দলের পাশে থাকেন। দলকে সমর্থন দেন।’


আরো সংবাদ



premium cement
শ্রমিকদের অবহেলিত রেখে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয় : সেলিম উদ্দিন মহাদেবপুরে যুবকের লাশ উদ্ধার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠকসহ ৩ নেতাকে মারধর সিরিয়ায় ইসরাইলের অবৈধ আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ১২ বছর পর দামেস্কে আবার কার্যক্রম শুরু করল তুর্কি দূতাবাস দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আমরাই যথেষ্ট : আসাদুজ্জামান রিপন জনগণের অধিকার রক্ষায় বিএনপি ঐক্যবদ্ধ : খন্দকার মুক্তাদির সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ সাকিবের বোলিং ফেনীতে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতের সাথে মঈন খানের বৈঠক

সকল