১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দ্রুতই আইসিসির শিরোপা জিতবে বাংলাদেশ

-

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রভাব বিস্তার করতে হলে শিরোপা জয়ের বিকল্প দেখছেন না তৌহিদ হৃদয়। বিসিবি প্রকাশিত ভিডিওবার্তায় এমনটিই জানিয়েছেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটার। দ্রুতই বাংলাদেশ আইসিসির শিরোপা জিতবে- এমন প্রত্যাশাও তার। দেশের ক্রিকেটে ভালো ধরনের সংস্কৃতি তৈরি করতে হলে আইসিসির ইভেন্টে জেতার বিকল্প দেখছেন না হৃদয়। তার মতে, একবার কোনো শিরোপা জিতে গেলে পরবর্তী প্রজন্মও আত্মবিশ্বাসের সাথে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে পারবে।
হৃদয় বলেন, ‘আইসিসির ইভেন্ট জেতাটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ যখন আমরা আইসিসি ইভেন্ট জিতব তখন আমাদের ওইভাবেই মূল্যায়ন করবে। যেটা এখন হয়ত অস্ট্রেলিয়া বা বড় বড় প্লেয়ারদের মূল্যায়ন করে। আইসিসি ইভেন্টে যখন আমরা ২-১ টা ট্রফি জিতব, তখন আমাদের মানসিক স্বস্তি, আত্মবিশ্বাস এবং পরবর্তী প্রজন্ম যারা আসবে তাদের মাঝেও আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের যে প্রক্রিয়াগুলো আছে, ওগুলোর ব্যবহার করতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। আমরা সবাই যদি একসাথে চাই এবং প্রতিদিন একটু করে উন্নতি করতে থাকি ইনশা আল্লাহ আমরা একটা বিশ্বকাপ খুব সহজেই পাবো।’
প্রায় দশ মিনিটের এই ভিডিওবার্তায় হৃদয় কথা বলেছেন নিজের খেলার ধরন নিয়েও। দলের প্রত্যাশা মেটানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন বলেই জানিয়েছেন হৃদয়। সেক্ষেত্রে দল যদি তার কাছে ডট বল চায়, তা হলে সেটাই চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন হৃদয়। গত বিশ্বকাপে ভালো করতে পারেননি হৃদয়। ৬ ম্যাচে মাত্র ১৬৪ রান করেছিলেন। সন্তুষ্ট হননি তিনি নিজেও। ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে না পারার কারণও জানিয়েছেন হৃদয়। ‘আমি ওপরের দিকে ব্যাট করে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্বকাপের সময় আমার ব্যাটিং পজিশন নিচে নেমে গিয়েছিল। ৬-৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলাম। এই পজিশনে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। তাই প্রত্যাশা মেটাতে পারিনি। এই পজিশনটা এমন যেখানে প্রতিদিন রান করা সম্ভব না। তবে দল যেখানে প্রয়োজন মনে করবে, সেখানেই খেলব। দলের প্রয়োজনে ছক্কা মারা থেকে ৬ বলই ডট খেলব।’
আসন্ন টি-২০ বিশ^কাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নও দেখছেন হৃদয়। ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ প্রথমবারের মতো আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল বাংলাদেশ। ওই দলের সদস্য হওয়ায় বিশ^কাপ জয়ের স্বাদ কেমন হতে পারে, সেটি বেশ ভালোই জানেন হৃদয়। এবার বড়দের বিশ^কাপ নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন তিনি। ‘এবারের বিশ্বকাপে নিজের নামের পাশে কিছু দেখতে চাই না। আমি চাই, দল ভালো করুক। আমার জায়গা থেকে অবশ্যই নিজের সেরাটা দিয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করব। আমি চাই আমার দল যেন অন্ততপক্ষে সেমিফাইনাল খেলুক।’
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ^কাপের স্মৃতি রোমন্থন করেন হৃদয়। ‘চোখ খুলে ঐইটা অনুভব করি যে কী করেছিলাম ওই বিশ্বকাপে। এখন আমাদের সময় এসেছে জাতীয় দলের হয়ে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের মতো ইভেন্টে ভালো করা।’
হৃদয়ের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অনেকেই এখন জাতীয় দলে নিয়মিত। তানজিদ হাসান, তানজিম হাসান, শরিফুল ইসলামরা বাংলাদেশের জন্য বড় অবদান রাখতে পারবেন বলে মনে করেন হৃদয়। ‘অনূর্ধ্ব-১৯এ যারা ছিল, শুধু অনূর্ধ্ব-১৯ নয়, এই দলে যারা আছে, মনে হয় যে প্রত্যেকেই ফাইটার। সবার মধ্যে আক্রমণাত্মক মনোভাব আছে। তামিম, সাকিব, রিশাদ যারাই আছে, আমার মনে হয় তারা এমন খেলোয়াড়, যেকোনো দিন একজন-দু’জন খেলার চেহারা পরিবর্তন করে দিতে পারে। এদের মধ্যে সেই সামর্থ্য আছে।’


আরো সংবাদ



premium cement