১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বোলার দেখে খেলি না : তানজিদ

-

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের স্কোয়াডে আছেন তানজিদ হাসান তামিম। লিটন দাস-সৌম্য সরকারদের ভিড়ে টপ অর্ডারে জায়গা নাও হতে পারে এই ওপেনারের। তবে সুযোগ পেলেই নিজের সেরাটা দিতে বদ্ধ পরিকর তামিম। মজার বিষয় হলো সিনিয়র তামিমের কথার পুনরাবৃত্তি করেছেন গতকাল। ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ডাউন দ্য উইকেটে ছক্কা মারা নিয়ে তামিম ইকবাল একবার বলেছিলেন যে তিনি বোলার দেখে খেলেন না, বরঞ্চ বলের গুণাগুণ বুঝে খেলেন। লম্বা সময় পর সেই কথাটিই মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশ দলের জুনিয়র তামিম।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রকাশিত ভিডিওতে তরুণ এই ওপেনার বলেন, ‘আমার সবসময় ইন্টেন্ট থাকে ইতিবাচক। আমি কখনো বোলার দেখে খেলি না, বলটা দেখে, বলের মেরিট বুঝে খেলার চেষ্টা করি। চেষ্টা থাকবে সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করার। আমি কখনো লক্ষ্য নির্ধারণ করে আগাই না, ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলার চেষ্টা করি। সবসময় বর্তমানে থাকার চেষ্টা করি।’
তিনি যোগ করেন, ‘চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দিয়ে দলে অবদান রাখার। টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে যেটা বলব- আগে যা বলেছি বিশ্বকাপ খেলা একটা ভাগ্যের বিষয়। সেদিক থেকে আমি অবশ্যই ভাগ্যবান। আলহামদুলিল্লাহ। চেষ্টা করব নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে টিমকে সেরা কিছু দেয়ার।’
ভারতের মাটিতে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও ছিলেন তানজিদ তামিম। সেই আসরে ব্যাট হাতে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি টাইগার এই ওপেনার। পুরো আসরে ৯ ইনিংসে ১৪৫ রান করতে পেরেছিলেন ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটার। এর মধ্যে পুনেতে ভারতের বিপক্ষে ৫১ রানের ইনিংসটিই ছিল তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। সেটিই ছিল একমাত্র হাফ সেঞ্চুরি। তবে দেশের বাইরে একটি বিশ্বকাপ খেলে অনেক কিছুই শিখতে পেরেছেন বলে দাবি তার।
‘বিশ্বকাপ খেলাটা একটা ভাগ্যের ব্যাপার। আমরা অনেক ভাগ্যবান ছিলাম যে বিশ্বকাপ খেলতে পেরেছি। একটা জিনিস বিশ্বাস করি যে, হয়তো আমি নিজে পারফর্ম ভালো করতে পারি নাই বিধায় দেশকে ভালো কিছু দিতে পারিনি। তবে যে জিনিসটা আমি দুই বছর পরে শিখতাম। বিশ্বকাপ খেলার কারণে সে জিনিসটা আমি দুই বছর আগে শিখেছি। সেখানে অনেক বড় বড় প্লেয়ার ছিল। তাদের অনেক কিছু দেখেছি। তাদের ম্যাচিউরিটি লেভেল দেখেছি যে জিনিসটা আমার পরবর্তী লেভেলে অনেক সাহায্য করবে।’


আরো সংবাদ



premium cement

সকল