১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নিগারদের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচ

-

কথাবার্তায় যতই ফুল ফুটুক, আত্মবিশ্বাসের যত দোহাই দিক, প্রতিটি ম্যাচ থেকে হারের শিক্ষা নিয়ে পরবর্তীতে ভালো করার যতই ওয়াদা করা হোক না কেন! ২২ গজে তা বিলীন হয়ে যায়। হারের চক্রেই ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। বোলাররা এগিয়ে নিয়েও হাল ধরতে পারছেন না ব্যাটাররা। শুধু এক ম্যাচেই নয়। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকেই বাংলাদেশ নারী দলের ব্যাটিংয়ের টপ অর্ডারে ছিল ব্যর্থতার চিত্র। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের চারটি ম্যাচেই বেহাল দশা ব্যাটিংয়ে। ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়তে পারছে না নিগার সুলতানা জ্যোতি বাহিনী। ৪-০তে এগিয়ে হারমানপ্রীতের দল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ শেষ ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৪টায়। ম্যাচটি জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্য টাইগ্রেসদের।
ভারতের বিপক্ষে টপ অর্ডারে কিছুটা উন্নতি হলেও ১০০ থেকে ১২০ রানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তাও যেন জীবন-মরণ লড়াইয়ে। মাঝের ওভারগুলোয় দ্রুত উইকেট হারিয়ে যে চাপ সৃষ্টি হয়, সে ধারা থেকে আর বেরোতে পারছে না। বোলাররা লড়াইয়ের চেষ্টা করছেন বটে, কিন্তু যথেষ্ট পুঁজি তাদের এনে দিতে পারছেন না ব্যাটাররা। মানসিক ও শারীরিক সামর্থ্য ও শক্তি কম দেশীয়দের। উইকেট পড়ে গেলেই ছন্দপতন। সেটা থেকে বোরোনো দায়। টি-২০ ক্রিকেট মানেই পাওয়ার হিটিং। চার-ছক্কার ফুলঝুরি। যেটা থেকে অনেক পিছিয়ে টাইগ্রেসরা।
ঘরের মাঠে নারী টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০২৩ সালের পর থেকে ওভারপ্রতি রানের দিক দিয়ে শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়ার (৮.১৯) পরই আছে ইংল্যান্ড (৮.১২) ও দক্ষিণ আফ্রিকা (৭.২৪)। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রয়েছে ৬.৩৫। বাংলাদেশ ২৪টি টি-২০ খেলে প্রতি ওভারে তুলেছে ৫.৪১ রান। কমপক্ষে ১০টি ম্যাচ খেলা দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৬ নম্বরে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ছক্কা মেরেছে ১৭টি। চার মারার দিক থেকেও বাংলাদেশ পিছিয়ে। আইসিসির পূর্ণ সদস্যদেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ২০৪টি চার মেরেছে, শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়া যেখানে মেরেছে এক ম্যাচ কম খেলেই ৪০৪টি চার। ভারত ২৫ ম্যাচে মেরেছে ৩২৭টি চার। বাংলাদেশ ব্যাটারদের গড় স্ট্রাইক রেট মাত্র ৮২.০৭।
দলের ব্যাটার মুর্শিদা খাতুন জানান, ‘পরিসংখ্যানে ভাঙা-গড়া থাকবেই। বাংলাদেশও হয়তো একটা সময় ভালো উদাহরণ হবে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। দেখবেন আমাদের গ্রুপে শক্তিশালী দলগুলো রয়েছে। তবে এখন পুরো ফোকাস ভারতের ম্যাচকে ঘিরে। চারটি তো হেরেছি। শেষ ম্যাচটি জিতে লজ্জা থেকে বাঁচতে চাই।’


আরো সংবাদ



premium cement