১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পরপারে আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী কোচ

১৯৭৮ বিশ্বকাপ জয়ী কোচ লুইস সিজার মেনোত্তি : ওলে -

বিশ্ববাসীর কাছে ফুটবলের আর্জেন্টিনাকে ব্যাপকভাবে চিনিয়েছেন দিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা। এরপর সেই পরিচিতি টেনে নেয়ার দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করেছেন লিওনেল মেসি। ম্যারাডোনা-মেসির আগে আর্জেন্টিনা ফুটবলে বিশ্ববাসীর মন জয় করে ড্যানিয়েল প্যাসারেলা এবং মারিও কেম্পেসের কল্যাণে। তাদের নৈপুণ্যেই ১৯৭৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপ জয় ল্যাতিন আমেরিকার এই দেশটির। আর সেই সাফল্যের নেপথ্য রূপকার লম্বাচুলের লুইস সিজার মেনোত্তি। তিনিই যে সেই চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ। সেই মেনোত্তি এখন আর দুনিয়ায় নেই। ৮৫ বছর বয়সে গতকাল মারা যান তিনি। কিংবদন্তি এই কোচের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্সে’ এক পোস্টে এএফএ লিখেছে, ‘আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন অত্যন্ত শোকের সাথে বর্তমান জাতীয় দলের পরিচালক ও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লুইস সিজার মেনোত্তির মৃত্যুর খবর জানাচ্ছে। বিদায় প্রিয় ফ্লাকো!’
মেনোত্তির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের অধিনায়ক নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘আর্জেন্টিনার ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।’
আর্জেন্টিনার জার্সিতে এখন তিনটি তারকা। তারকাখচিত এই জার্সি একসময় ফাঁকা ছিল। মেনোত্তির হাত ধরেই আর্জেন্টিনার জার্সিতে স্থাপিত হয় প্রথম তারকা। সময়টা ১৯৭৮। মেনোত্তি সেই আসরে প্রথমবারের মতো আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ উপভোগ করান। এতে সর্বশেষ তারকা সংযোজন কাতারে লিওনেল স্ক্যালোনি ও লিওনেল মেসির কল্যাণে।
আলবিসেলেস্তাদের বিশ্বকাপ জেতানোর পরই নিজের দায়িত্ব শেষ করে দেননি মেনোত্তি। পরের বছর অনূর্ধ্ব-১৯ দলকেও জিতিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নকে হারিয়ে বিশ্বজয় করেছিল ল্যাটিন আমেরিকার দেশটি। আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসে এটিই ছিল প্রথম যুব বিশ্বকাপ।
১৯৮২ সালে আর্জেন্টিনা দলের দায়িত্ব থেকে ভারমুক্ত হন মেনোত্তি। এরপর যোগ দেন লা লিগার ক্লাব বার্সেলোনায়। এ ছাড়া অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ, আর্জেন্টিনার ক্লাব বোকা জুনিয়র্স, প্যানারোল ও রোজারিও সেন্ট্রালের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন মেনোত্তি।
তবে ১৯৭৮ এর বিশ্বকাপ দলে ম্যারাডোনাকে না নিয়ে সমালোচিত হন মেনোত্তি। যদিও তার যুক্তি ছিল, ম্যারাডোনার বয়স কম। আরো সময় আছে সামনে তার।’ অবশ্য ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপের দলে তিনি ম্যারাডোনাকে সুযোগ দেন। বর্তমানে ঢাকা আবাহনী এবং বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ দিয়েগো আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানিও এক সময় ছিলেন মেনোত্তির সহকারী কোচ।

 


আরো সংবাদ



premium cement