১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

৩ লাল কার্ড, ৫ গোল নায়ক এমবাপ্পে

স্মরণীয় জয়ে গোল উদযাপন পিএসজির স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পের :ইন্টারনেট -


ম্যাচশেষে কোনো কোচকেই রেফারিং নিয়ে সন্তুস্ট থাকতে দেখা যায় না। পরশু উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টাার ফাইনাল শেষে তো রেফারির সাথে রীতিমতো তর্কে জড়ান বার্সেলোনার কোচ জাভি হার্নান্দেজ। বলতে বাধ্য হলেন, ‘মৌসুমের সব পরিশ্রম ধ্বংস হয়ে গেল রেফারির একটা সিদ্ধান্তে।’ আগের ম্যাচে পিএসজিকে তাদের মাঠেই ৩-২ গোলে হারিয়ে এসেছিল বার্সেলোনা। এই ম্যাচে ঘরের মাঠে তাই দারুণ কিছু হবে- সেটির প্রত্যাশা করাই ছিল স্বাভাবিক। ২০১৯ সালের পর প্রথমবার বার্সেলোনা স্বপ্ন দেখছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে যাওয়ার।
অথচ দুর্দান্ত ছন্দে থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পে আর তিন লাল কার্ড দেখানো রেফারি ইস্তভান কোভাকস যেন ছিটকে দিলেন বার্সাকে। কোভাকস প্রথম লাল কার্ড দেখিয়েছেন ম্যাচের ৪০ মিনিটে। তা বার্সার ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউহোকে। মধ্যে লাল কার্ড দেখিয়েছেন বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ এবং গোলরক্ষক কোচ রোমান দে লা ফুয়েন্তেকে।

অথচ স্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে শুরুটা ছিল মূলত বার্সারই। আগেই লিড ছিল ৩-২ ব্যবধানে। সেটাকে ৪-২ করতে কাতালানরা ক্লাবটি সময় নিয়েছে মোটে ১২ মিনিট। আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা রাফিনিয়া এই ম্যাচেও নাম লিখিয়েছেন স্কোরশিটে। ম্যাচের লাগাম তখন পর্যন্ত বার্সেলোনার কাছেই ছিল। ২৯ মিনিটেই ঘটে বিপত্তি। পিএসজির ব্রাডলি বারকোলাকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় রোনাল্ড আরাউহোকে। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া দলটার কাছ থেকে ছুটে যেতে শুরু করে ম্যাচটা। ৪০ মিনিটে সমতা ফেরান সদ্যই বার্সা থেকে পিএসজি যাওয়া উসমান দেম্বেলে। ৪০ মিনিটে অ্যাগ্রিগেটেও সমতা এনে ফেলে পিএসজি। আশরাফ হাকিমি আগের ম্যাচে ছিলেন না। এই ম্যাচে ৫৪ মিনিটে তারই দেয়া পাস থেকে সমতায় আসে প্যারিসের ক্লাবটি। স্কোরশিটে নাম লেখান ভিতিনহা।
এরপর কাতার বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার ম্যাজিক। ডেম্বেলেকে ফাউল করে সফরকারী দলকে পেনাল্টি উপহার দেন হোয়াও ফেলিক্স। এই স্পট কিক থেকে প্যারিসের ক্লাবটিকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন এমবাপ্পে।

বার্সা ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল। একবার তাদের বঞ্চিত করেছেন রেফারি। আরেকবার নিজেরাই পারেনি। ৬৪ মিনিটে গুন্দোয়ানকে ফাউল করেন ভিতিনহা। রেফারি ভিএআর চেক পর্যন্ত করেছিলেন। কিন্তু সেখান থেকেও নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন রোমানিয়ার রেফারি ইস্তভান কোভাকস। আর ৭৩ মিনিটে বার্সা স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি নিজেই ব্যর্থ হয়েছেন গোলরক্ষক ডোনারুম্মাকে পরাস্ত করতে। ফিরতি বলে ফেরান তরেসও ব্যর্থ হয়েছেন।
৮৯ মিনিটে বার্সার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন এমবাপ্পে। পাল্টা আক্রমণে আশরাফ হাকিমির ক্রসে আসা বলে দুই দফা বল রুখে দেন বার্সা গোলকিপার মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন। তবে দ্বিতীয় দফা ফিরতি বলে ডিফেন্ডার জুলস কুন্দের ভুলে বলটা আবারো পেয়ে বসেন এমবাপ্পে। তার ক্লিয়ার করা বল গিয়ে পড়ে এই ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকারের পায়ে। এরপর আনুষ্ঠানিকতা সারেন তিনি। এতে ৪-১ গোলে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়ে পিএসজি।

 


আরো সংবাদ



premium cement