১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রনির তোপে রেকর্ড জয় মোহামেডানের

-

না। কোনো স্টেডিয়াম নয়। সাক্ষী হয়ে থাকল বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠ। উভয় দলের খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও বিকেএসপির হাতে গোনা কয়েকজন দর্শক। পেসার আবু হায়দার রনির বিধ্বংসী বোলিংয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) বড় জয়ের রেকর্ড গড়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গতকাল বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট অ্যাকাডেমির বিপক্ষে ২৬২ বল বাকি রেখে ৯ উইকেটের জয় পায় মোহামেডান। ২০১৩-১৪ সালে লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর ডিপিএলের ইতিহাসে বল বিবেচনায় এটিই রেকর্ড গড়া সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে গত মৌসুমে বল বিবেচনায় বড় হারের লজ্জায় পড়েছিল মোহামেডান। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৮০ রানে অলআউট হয়েছিল মোহামেডান। এরপর ২৫০ বল বাকি রেখে জয়ের স্বাদ পেয়েছিল রূপগঞ্জ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রনির বোলিং তোপে টুর্নামেন্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন মাত্র ৪০ রানে অলআউট হয় গাজী টায়ার্স। ৬ ওভারে ১ মেডেন ও ২০ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেন রনি। এটি ডিপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বনিম্ন দলীয় লজ্জার রানের নজির গড়ে গাজী টায়ার্স। ২০০২ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) ওয়ানডে সংস্করণে সিলেটের বিপক্ষে ৩০ রানে অলআউট হয়েছিল চট্টগ্রাম বিভাগ; যা এখনো বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর।
চতুর্থ বাংলাদেশী বোলার হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ইনিংসে ৭ উইকেট শিকার করেন রনি। ২০১৭-১৮ মৌসুমে ডিপিএলে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ৪০ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের তরুণ পেসার ইয়াসিন আরাফাত। তার ওই বোলিং ডিপিএলে এবং সব মিলিয়ে বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ইতিহাসে সেরা ফিগার।
রনি ছাড়াও বাংলাদেশের ক্রিকেটে ৭ উইকেট নেয়ার কীর্তি আছে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের সদস্য ও সাবেক খেলোয়াড় বাঁ হাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাকের এবং আরেক বাঁ হাতি স্পিনার সাকলাইন সজিবের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রাজ্জাক ১৭ রানে ৭ এবং ২০১৬ সালে ডিপিএলে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ৫৮ রানে ৭ উইকেট শিকার করেন আবাহনীর সাকলাইন। ২০১২ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে কাতারের বিপক্ষে ১০ রানে ৯ উইকেট শিকার করেছিলেন রনি। ওই ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ওই ম্যাচটি লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা ভুক্ত ছিল না।
গতকাল গাজীর বিপক্ষে রনির পাশাপাশি ৬ ওভার বল করে ২০ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁ হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। গাজীর পক্ষে মাত্র একজন ব্যাটার দুই অঙ্কের কোটা পার করতে পারেন। ৮ নম্বরে নেমে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন ইফতেখার সাজ্জাদ। জবাবে রনি তালুকদারকে হারিয়ে সহজেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ১৯ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৫ রানে অপরাজিত থাকেন। রনি ১২ রানে আউট হন। ৬.২ ওভারে মোহামেডান জয় পাওয়ায় ম্যাচটির স্থায়ী ছিল মাত্র ১৮.২ ওভার; যা ডিপিএলের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম ম্যাচ।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশে মুসলিম কৃষকের ধানে আগুনকে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বলে প্রচার শিক্ষানুরাগী এস এম খলিলুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ সিরিয়ার নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র! ইতিহাসের প্রথম : ৪০০ বিলিয়ন ডলারের মালিক মাস্ক ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ সৌদি আরবে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর সচল ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ ভারতীয় মিডিয়াতে ইসকনের ওপর হামলার খবর ভুয়া : সিএ প্রেস উইং ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মির্জা ফখরুল টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা ঢাকা সফর নিয়ে ভারতের এমপিদের ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন দুর্নীতি তদন্তে অগ্রাধিকার পাবে

সকল