এমন পারফরম্যান্সে অসন্তুষ্ট শান্ত
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
প্রথম টেস্ট ৩২৮ রানে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ১৯২ রানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের চার ইনিংসে তিনবার এবং সব মিলিয়ে নিজেদের সর্বশেষ পাঁচ ইনিংসেই দুই শ’র নিচে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। তবে শেষ টেস্টে ৫১১ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ৩১৮ রান করতে পারে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ব্যাটিং বিভাগে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্ট শেষে শান্ত বলেন, ‘পুরো সিরিজে আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। অজুহাত দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা অনেক কিছু বলতে পারি, কিন্তু চার ইনিংসে দল হিসেবে ভালো ব্যাট করতে পারিনি। তবে আমরা ব্যাটিং ইউনিটে এতটা খারাপ নই, যতটা এই দুই টেস্টে করেছি। আমরা আরো ভালো করতে পারি। টেকনিক্যালি, মেন্টালি আরো বেশি উন্নতি করা আমাদের প্রয়োজন আছে।’
ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই ধারাবাহিক ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য কোন বিষয়টি দায়ী। বিপিএলে টি-২০ ফরম্যাট দিয়ে বছর শুরুর পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি করে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ শেষে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে কোনো ম্যাচ ছাড়াই টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজের আগে প্রথম শ্রেণীতে কিছু ম্যাচ খেলেছেন বড় ফরম্যাটে দলের স্পেশালিস্ট ব্যাটার হিসেবে পরিচিত মুমিনুল হক। সিরিজে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৭৫ রান করেছেন তিনি।
টেস্টে বড় দল হওয়ার জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো তিন ফরম্যাটের সাথে মানিয়ে নেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন শান্ত। ‘আধুনিক ক্রিকেট যেভাবে চলছে, তাতে তিন ফরম্যাটে যারা খেলে সবাইকেই মানিয়ে নিতে হবে। যারা দু’টি বা একটি ফরম্যাটে খেলে তাদের আলাদা প্রস্তুতি নিতে হবে। সামনে তিনটি ফরম্যাটের সাথে মানিয়ে নেয়ার উপায় খুঁজে বের করতে হবে এবং সেভাবে প্রস্তুত হতে হবে।’
শান্ত যোগ করেন, ‘ব্যাটিং নিয়ে আমরা সবসময়ই সমস্যায় পড়ি। তবে এটি বলতে পারি, সব ব্যাটারই তাদের শতভাগ দিচ্ছে। দলে অবদান রাখতে চায়। কঠোর অনুশীলন করে। এই ম্যাচে কাক্সিক্ষত ফলাফল পাইনি তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা ফল পাবো। যেভাবে কঠোর পরিশ্রম করছি, অনুশীলন করছি এবং উন্নতি করার ইচ্ছা আছে, নিশ্চিত সামনে ফলাফল দেখতে পাবো।’
ব্যাটিং ছাড়াও টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো ফিল্ডিংয়ে স্লিপ পজিশন। এই টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের ফিল্ডিং ছিল একেবারেই সাধারণ মানের। দুই ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ফেলেছে ফিল্ডাররা। তাতেই লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে টাইগাররা। ফিল্ডিং নিয়ে শান্ত বলেন, ‘অনুশীলনে সবাই ভালোভাবেই ক্যাচ ধরে। ফিল্ডিংয়ের কঠোর পরিশ্রম করে। কেন ক্যাচ ফেলছি, তার উত্তর নেই। ফিল্ডিং ইউনিট হিসাবে সবাই ভালোভাবে প্রস্তুত ছিল।’
বেতন এবং অন্যান্য সুবিধাদি বাড়লেও টেস্ট ম্যাচে পারফরম্যান্সের গ্রাফটা নি¤œমুখী, যা ২০০০ সালে বাংলাদেশের প্রথম দিকের টেস্ট ম্যাচগুলোর সাথে মিল পাওয়া যায়। শান্ত বলেন, ‘আমি অপরাধবোধ শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না। দল খারাপ করার পর খেলোয়াড়দের খারাপ লাগে। সবসময় উন্নতি করতে চায় তারা। একে অপরের সাথে যোগাযোগ রাখে। টেস্ট ম্যাচ ফি নিয়ে ভাবি না।’
এই তরুণ দলকে চাপমুক্ত রাখতে শান্ত বলেন, ‘এটি খুবই তারুণ্যনির্ভর একটি দল। সময় পেলে, দল আরো ভালো হয়ে উঠবে। বাইরে অনেক কথা হবে। এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। খেলোয়াড়রা একে অপরের পাশে আছে। আমরা জানি, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী করতে হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা