১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শুটারদের শেষ সুযোগ রিও বিশ্বকাপ

-

স্পেনে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপটা ছিল বাংলাদেশী শ্যুটারদের দারুণ এক সুযোগ। সেখানে জুনিয়র বিভাগে জাফিরা খানম জ্যোতি ও জিদান হোসেনরা অল্পের জন্য হাতছাড়া করেন পদক। যা হতো বিশ্বকাপে প্রথম পদক। অবশ্য সিনিয়রে রবিউল ইসলাম, শায়রা আরেফিনরা হতাশ করেছেন। ১০-১৮ ফেব্রুয়ারির সেই ধাক্কা সামলে এখন বাংলাদেশী শ্যুটারদের কোটা প্লেসের শেষ সুযোগ ব্রাজিলের রিও ডি জানেইরোতে। ৮-১১ এপ্রিল রিও ডি জানেইরোতে হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ শ্যুটিং। এতে ভালো করলেই প্যারিস অলিম্পিক গেমসের কোটা প্লেস করা যাবে। অন্যথায় বরাবরের মতো ওয়াইল্ড কার্ডই হবে রবিউল, শায়রাদের ভরসা। উল্লেখ্য স্পেন বিশ্বকাপে কোটা প্লেস ছিল না।
চার শ্যুটার রবিউল, শায়রা, জাফিরা ও জিদান হোসেনকে নিয়ে ব্রাজিল যাচ্ছে বাংলাদেশ শ্যুটিং দল। সাথে ইরানি কোচ ও ম্যানেজার হিসেবে স্থানীয় মোস্তাক ওয়ায়েজ। শ্যুটিং দল এমিরাটস এয়ারওয়েজে ব্রাজিল যেতে হচ্ছে। এতে বিমান ভাড়া লাগছে জনপ্রতি ৫ লাখ টাকা করে। অথচ তার্কিশ বা কাতার এয়ারওয়েজ-যোগে সাও পাওলো হয়ে রিও পৌঁছালে বিমান ভাড়া লাগতো জনপ্রতি সাড়ে তিন লাখ টাকা করে। ম্যানেজার মোস্তাকের দেয়া তথ্য, ‘শ্যুটিংয়ের অস্ত্র-গুলি নিয়ে এমিরাটস এয়ার যোগেই রিও ডি জানেরইরোর বিমানবন্দরে নামার অনুমিত। সাওপাওলো বা অন্য বিমানবন্দরে নামার অনুমতি নেই। যে কারণে এই বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে।’
স্পেন বিশ্বকাপে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে রবিউল ফাইনালে উঠতে পারেননি। অথচ সেরা আটে উঠলে তার কোটা প্লেস করার চান্স থাকতো। মেয়েদের ১০মিটার এয়ার রাইফেলে শায়রাও ব্যর্থ। সবচেয়ে বড় হতাশার কাজ করেছেন জ্যোতি। জুনিয়রে তার পদকই জেতার কথা ছিল। ফাইনালে উঠে তিনি কিছুক্ষণের জন্য জ্ঞান শক্তি হারিয়ে ফেলেন। তখনও তার তিনটি শ্যুট বাকি ছিল। এর একটিতে ৬ স্কোর করলেই পদক হতো। কিন্তু তার মস্তিস্ক কিছুক্ষণের জন্য ব্ল্যাক আউট হয়ে যাওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শ্যুট করতে পারেননি। ফলে তাকে ডিসকোয়ালিফাই ঘোষণা। অথচ এর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে। ডিসকোয়ালিফাই হওয়ার পরও জ্যোতি ৭ম হন।
হতাশার খবর ছিল জুনিয়র ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে। মিশ্র দ্বৈতে জাফিরা চৌধুরী জ্যোতি ও জিদান হোসেনও মিস করেছেন পদক। তারা হয়েছেন চতুর্থ। ব্রোঞ্জ জয়ের ম্যাচে তারা গ্রেট ব্রিটেনের কাছে ১৬-১৪ পয়েন্টে হারেন। ১০ মিটার একক জুনিয়র চতুর্থ হয়েছেন জিদান। এখানে তৃতীয় হলেই মিলতো ব্রোঞ্জ। অবশ্য পদক জিততে না পারলেও ওই পারফরম্যান্সই এখন তাদের স্থান করে দিয়েছে সিনিয়র দলে।


আরো সংবাদ



premium cement