১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

এবার সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে চাই

-

২০১০ সাল ডানোন নেশনস কাপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করা টাঙ্গাইল জেলা দলের খেলোয়াড় ছিলেন। তার সাথে এই মিনি বিশ্বকাপ খেলা বিশ্বনাথ ঘোষ এবং রবিউল ইসলাম অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশ জাতীয় দলে। অথচ সেই দলের নিয়মিত একাদশের সদস্য হয়েও এখন পর্যন্ত লাল-সবুজ জার্সি গায়ে তোলা হয়নি ডালিম বর্মণের। জাতীয় দল কেন, এখনো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও খেলতে পারেননি টাঙ্গাইলের সখীপুরের এই ফুটবলার। তবে এবার এবিজি বসুন্ধরা গ্রুপ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েই বিপিএলের ক্লাব কর্মকর্তাদের নজর কাড়তে চান তিনি। পরশু ডালিম হ্যাটট্রিক করেছেন বাফুফে এলিট অ্যাকাডেমির বিপক্ষে। ফলে সাত গোল দিয়ে চলমান বিসিএলের সর্বোচ্চ গোলদাতা ইয়ংমেন্স ক্লাব ফকিরেরপুলের এই স্ট্রাইকারের।
এই মৌসুমে স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে পেশাদার লিগের প্রথম হ্যাটট্রিককারী এই ডালিম। ২০২১-২২ সিজনেও তিনি ছিলেন প্রথম হ্যাটট্রিক কারী। সেবারও তার চার গোল ছিল ইয়ংমেন্স ক্লাবের জার্সি গায়ে। দুই মৌসুম আগের প্রতিপক্ষ ছিল কাওরানবাজার প্রগতি সংসদ। এবার বাফুফে এলিট। ২০২১-২২ সিজনে ১৪ গোলে আটকে ছিলেন। ফলে তাকে টপকে উত্তরা এফসির মঈন পান সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। এবারের বিসিএলে এখনও ছয় ম্যাচ বাকি ইয়ংমেন্স ক্লাবের। ডালিম জানান, ‘বাকি ম্যাচগুলোতেও আমি ধরে রাখতে চাই গোলের ধারা। লক্ষ্য একটাই, এবার কোনোভাবেই আর সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার হাতছাড়া করতে চাই না।’
চার বছর ধরেই ইয়ংমেন্সে ডালিম। গত বছর অবশ্য বিসিএলে তেমন গোল পাননি। চার-পাঁচটি গোল করেছেন। এ জন্য নিজের বাজে ফর্মকেই দায়ী করেন তিনি।
২০০৯ সালে অনূর্ধ্ব -১৩ জাতীয় দলে ট্রায়াল দিতে ঢাকায় আসেন। সে দল ইরান গেলেও যেতে পারেননি ডালিম বর্মণ। ২০১৪ সালে টিপু সুলতান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে পাইওনিয়ার লিগে অভিষেক। এরপর ২০১৭ সালে আরাফ স্পোর্টিংয়ের হয়ে তৃতীয় বিভাগে খেলেন। এরপর সিটি ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় বিভাগে, বাংলাদেশ বয়েজের হয়ে সিনিয়র ডিভিশনে খেলে আসেন ইয়ংমেন্সে আসা। প্রথমে ডালিম ছিলেন ডিফেন্ডার। এতে উন্নতি না দেখে ২০২১-২২ সাল থেকে স্ট্রাইকার পজিশনে। পজিশন পাল্টিয়েই তিনি এখন দলটির নির্ভরযোগ্য সদস্য।


আরো সংবাদ



premium cement