সাসপেনশন কাটিয়ে গোলেই ফেরা
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ
- ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০৫
পিছিয়ে পড়া ম্যাচে ড্রতে শেষ করতে পারলে আনন্দটা বেশি থাকে। যার অনুপস্থিতি দেখা যায় আগে গোল দেয়া ম্যাচে পরে ড্রতে বাধ্য হলে। বাংলাদেশ দলের জন্য সমতা এনে ড্র করার আনন্দ। তবে লেবাননকে বাগে পেয়েও হাভিয়ার কাবরেরা বাহিনী কাক্সিক্ষত জয় না পাওয়ার কস্ট এখনো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তবে গত পরশু বসুন্ধরা কিংস এরিনায় ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের এই ম্যাচটি ছিল অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার শেখ মোরসালিনের জন্য বিশেষ কিছু। বসুন্ধরা কিংসের সাথে এএফসি কাপ খেলতে গিয়ে মদ কেলেঙ্কারিতে জড়ানো এরপর ক্লাব ও জাতীয় দলে সাসপেন্ড হওয়া, ফিরে প্রথম একাদশে ঠুকেই দর্শনীয় গোল, সবই দিনটি তার করে দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্যামব্যাকের এর চেয়ে বড় উপলক্ষ আর কী হতে পারে। বাংলাদেশের ফুটবলে এই সাসপেসশন কাটিয়ে গোলেই ফেরাটা নতুন কিছু নয়। ২০০৩ সাফের সেমিফাইনালে সে রকমই দূরপাল্লার শটে গোল করেছিলেন মতিউর রহমান মুন্না। পরশু অপর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফিলিস্তিন ০-১ গোলে হারের ফলে গ্রুপে চার নম্বরেই থেকে গেল বাংলাদেশ।
বিকেএসপির সাবেক ছাত্র শেখ মোরসালিন এখন জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড লাইনের অন্যতম ভরসা। এ পর্যন্ত ৪ গোল করেছেন গত সাফ থেকে। ট্রেড মার্ক দূরপাল্লার শটে গোলই তার প্রিয়; যা প্রথম করেন ভুটানের বিপক্ষে। ক্লাব ফুটবলে মোহামেডানের হয়ে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষেও তার এই স্ট্রাইলে গোল আছে। এসবই অনেক সিনিয়র ফুটবলারকে বেঞ্চে বসিয়ে বা বহরের বাইরে রেখে মোরসালিনকে স্থান পাইয়ে দেয়। এরপর নিজ যোগ্যতা আর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে এখন তিনি স্থায়ী সদস্য। কিন্তু বসুন্ধরা কিংসে কয়েক সিনিয়র ফুটবলারের প্ররোচনায় বিমানে মদ বহন করে সাসপেন্ড হন তিনি। পরে ক্লাব তাকে আর্থিক জরিমানা দিয়েই খেলার ছাড়পত্র দেয়। এ সূত্রে জাতীয় দলেও তিনি নিষেধাজ্ঞা মুক্ত। গত সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে তার গোলেই হার এড়ানো ড্র। এরপর নিষিদ্ধ থাকায় মালদ্বীপের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই প্লে-অফে খেলা হয়নি তার। লাল-সবুজ জার্সিতে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৬ নভেম্বরের ম্যাচে। সেই ম্যাচে কোচ কাবরেরা তাকে ৭৮ মিনিটে বদলি হিসেবে নামালেও তেমন কিছু করা সম্ভব হয়নি। তবে লেবাননের বিপক্ষে একাদশে ফিরেই দর্শনীয় গোল। এতে তিনি বুঝিয়েছেন জাতীয় দলে তার প্রয়োজনীয়তা। ম্যাচ শেষে তার বক্তব্য ছিল, ‘আমার টার্গেই ছিল যেহেতু আমি দুই ম্যাচ খেলতে পারিনি তাই ফেরার ম্যাচে শতভাগেরও বেশি দেয়া। এর পরও কিছু ভুল করেছি।’
২০০৩ সাফের আগে ক্লাব ফুটবলে মাঠে মারামারি করার জন্য লম্বা সময়ের জন্য সাসপেন্ড হন মতিউর রহমান মুন্না। এই নিষেধাজ্ঞার জন্য মুন্নাকে মোটামুটি বাদ দিয়েই দল ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল। শেষ পর্যন্ত এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই মৃত কোচ জর্জ কোটানের অনুরোধে জাতীয় দলে ডাকা। যদিও তাকে জাতীয় দলে ডাকা নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল। এতে বিরক্ত ছিলেন মুন্না নিজেই। এরপর নেপালের বিপক্ষে তার পাস থেকেই আলফাজ আহমেদের জয় সূচক গোল। আর সেমিফাইনালে তো মুন্নাই হয়ে যান নায়ক। ভারতের বিপক্ষে ১-১ গোলে ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হলে অতিরিক্ত সময়ে তার নেয়া দূরপাল্লার শটে গোল। আর সেই গোল্ডেন গোল হওয়ার সাথে সাথেই খেলা শেষ ও ফাইনালে চলে যায় বাংলাদেশ; যা বাংলাদেশের একমাত্র গোল্ডেন গোল। ফিরে গোল করতে মুন্না চার ম্যাচ অপেক্ষা করলেও মোরসালিন দ্বিতীয় ম্যাচেই বল পাঠান জালে। একজনের গোল হার এড়ানো। অন্যজন জয়ের নায়ক।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা