১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৯ শাবান ১৪৪৬
`

গোলের ক্ষুধা নিয়েই মাঠে নামি

-


খেলেন ডিফেন্ডার হিসেবে। মূল পরিচয় লেফট ব্যাক। এরপরও জাতীয় দল এবং ক্লাব জার্সিতে গোল করেই চলেছেন ইয়াসিন আরাফাত। এবার তার নেতৃত্বে গতকাল থাইল্যান্ড গেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল। এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে উঠতেই তাদের থাইল্যান্ডের ছনবুরিতে যাওয়া। আগামীকাল তাদের ম্যাচ মালয়েশিয়ার বিপক্ষে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা ৪ বেস্ট রানার্সআপের একটি হলে টিকিট মিলবে ফাইনাল রাউন্ডের। এই গ্রুপ পর্ব একই সাথে প্যারিস অলিম্পিকেরও বাছাই পর্ব।

সিনিয়র জাতীয় দলে স্ট্রাইকার সঙ্কট। জুনিয়র দলে আরো ভয়াবহ অবস্থা। এই প্রেক্ষাপটে জিতলে হলে গোল করতে হবে অন্য পজিশনের ফুটবলারদেরও। সে ক্ষেত্রে ইয়াসিন আরাফাত অন্যতম ভরসা। যদিও দলে আছেন গত বছরের অনূর্ধ্ব-২০ সাফে ভারত ও নেপালের বিপক্ষে তিন গোল করা পিয়াস আহমেদ নোভা। বিকেএসপির সাবেক ছাত্র নোভা বসুন্ধরা কিংস থেকে লোনে গত সিজনে লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে যান। নোভার গোল আছে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ আসর এবং উয়েফার অর্থায়নে অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল টুর্নামেন্টে। তার মোট আন্তর্জাতিক গোল ৬টি। অ্যাসিস্টও ৬টি। তবে সর্বশেষ লিগে তার পক্ষে কোনো গোলই করা সম্ভব হয়নি।
শেখ জামালের হয়ে বদলি হিসেবে খেলেছেন ৬ ম্যাচ। কুষ্টিয়ার মিরপুরের আমলার ছেলে নোভা এবার এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ আসরেও গোল করতে চান। জানালেন, আমি ফের লাল-সবুজ জার্সিতে স্কোর করতে চাই।

সেখানে ব্যতিক্রম ইয়াসিন আরাফাত। ২০২১ সাফে মালে সাফে ভারতের বিপক্ষে গোল করা আরাফাত ২০১৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ সাফের ফাইনালে গোল করেছিলেন ভারতের বিপক্ষে। এই দুটিই তার আন্তর্জাতিক গোল। তবে ক্লাব ফুটবলে তার গোলের সংখ্যা আরো বেশি। চার সিজনে সাইফ স্পোর্টিংয়ে থেকে করেছেন ৭টি গোল। আর বসুন্ধরা কিংসের জার্সিতে ৪ গোল। রয়েছে অনেক অ্যাসিস্ট।
ডিফেন্স থেকে উঠে গোল করা। কখনো কি মনে হয় স্ট্রাইকার পজিশনে না খেলে ভুল করেছি? আরাফাতের জবাব, না না, আমার মধ্যে কখনই এ নিয়ে আফসোস নেই। বরং আমি ডিফেন্ডার হয়ে গোল করতে পেরেই খুশি। এটাই তো আমার অর্জন। আমি মাঠে নামি গোলের ক্ষুধা নিয়েই। আমার গোলের পর সবাই বলাবলি করে, ওই ছেলেটা রক্ষণকাজের পাশাপাশি গোলও করতে পারে। এটাই তো আমার পাওয়া।

সেই অনূর্ধ্ব-১২ জাতীয় দল থেকে অধিনায়কত্ব করে আসছেন আরাফাত। প্রতি দলই তার নেতৃত্বে সাফল্য পেয়েছে। তার নেতৃত্বে তৃতীয় বিভাগে রানার্সআপ হয় কদমতলা সংসদ। এরপর অনূর্ধ্ব-১২ ও ১৪ দল তার ক্যাপ্টেন্সিতে মালয়েশিয়ার সুপার মক কাপের প্লেট পর্বে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দল। অনূর্ধ্ব-১৭ দলের কাতারের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় এএফসির আসরে। সে ম্যাচেও অধিনায়ক ছিলেন আরাফাত।
২০১৯ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ সাফে রানার্সআপ তার দল। এবার তার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশকে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে নিয়ে যাওয়া। আরাফাত জানালেন, সবাই যেন বলতে পারে আমার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলে ভালো করেছে। সেটাই আমার লক্ষ্য।

 


আরো সংবাদ



premium cement
লেপের নিচে স্ত্রীর, পাশেই ঝুলছিল স্বামীর লাশ সরকারে থেকে দল গোছাতে দেবে না দেশের মানুষ : মির্জা ফখরুল বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ : একটি নাম একটি ইতিহাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ নিহত ২ সিঙ্গেল উইন্ডোর মাধ্যমে সিএলপির সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে : এনবিআর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইমামরা প্রশিক্ষণের আওতায় আসছে : ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশী কর্মীদের ভিসা আবেদন দ্রুত প্রক্রিয়াকরণের প্রতিশ্রুতি ইতালির নসরুল হামিদের ২০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ দুর্নীতি মামলার আসামিকে দুদকে পদায়ন গ্রহণযোগ্য নয় : টিআইবি অন্তর্বর্তী সরকারে ঘাদানিকের প্রেতাত্মা থাকায় বৈষম্যের শিকার এ টি এম আজাহার সূচক-লেনদেন কমলো পুঁজিবাজারে

সকল