০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

লাল কার্ডের জন্য সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারিনি

গতকালের ম্যাচের আগ পর্যন্ত ১১ গোলে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন তামিম (ডানে), তবে গতকাল জোড়া গোল করে তামিমের সমকক্ষ হন আবির। ফলে দু’জনেই যৌথভাবে হয়েছেন তৃতীয় বিভাগ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা। কিন্তু লিগ কমিটি বেশি গোল করার পুরস্কার ১টি মাত্র গোল্ডেন বুট নিয়ে আসায় দু’জন এভাবেই ট্রফি হাতে পরস্পরের ছবি তুলে কৃতিত্বের সাক্ষী হয়ে থাকেন : রফিকুল হায়দার ফরহাদ -

সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার হিসেবে একটি গোল্ডেন বুট নিয়ে আসা। ১১ গোল দিয়ে এই পুরস্কার জেতার জন্য আগে থেকেই মাঠে এসে হাজির মুসলিম ইনস্টিটিউটের তামিম। অথচ বিকেলে চকবাজার কিংস ও গ্রিন ওয়েল ফেয়ার সেন্টারের ম্যাচে পাল্টে যায় চিত্র। এই খেলার আগ পর্যন্ত ৯ গোল দিয়ে পরের অবস্থানে ছিলেন চকবাজারের আবির। কিন্তু শেষ ম্যাচে জোড়া গোল দিয়ে আবিরও হয়ে যান তামিমের সমকক্ষ। ফলে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বেকাদায় পড়তে হয় তৃতীয় বিভাগ লিগ কমিটিতে। শেষ পর্যন্ত দুইজনের হাতে একটি গোল্ডেন বুট তুলে দিয়ে তামিমকে জানানো হয় তোমাকে পরে দেয়া হবে আরেকটি ট্রফি। পরে তামিম ও আবির সেই ট্রফি নিয়ে একসাথে ছবি তোলেন। সেলফি বন্দীও হন। একজন অপর জনের ট্রফি হাতে নেয়ার ছবি তুলে ঘটনার সাক্ষী হন।
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ছেলে তামিম জানান, আসলে কিছুই করার নেই। এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত আমিই ছিলাম সর্বোচ্চ গোলদাতা। এখন আবিরও ১১ গোল করেছে। এর পরও আফসোস নেই।’ তবে কষ্টটা বেশি বরগুনার ছেলে আবিরের। তার মতে, ‘আমি ১২ ম্যাচ খেলে ১১ গোল করেছি। তামিম খেলেছে ১৪ ম্যাচ। আমি যদি অন্য দুই ম্যাচ খেলতে পারতাম তাহলে আমিই এককভাবে হতাম সর্বোচ্চ গোলদাতা।’ এই দুই মিস করার কারণও জানালেন বিকেএসপির এই ছাত্র। ‘একটি ম্যাচ মিস করেছি ইনজুরির জন্য। অপর ম্যাচ খেলতে পারিনি লাল কার্ডের জন্য। লাল কার্ড না পেলে আমিই সর্বোচ্চ গোলদাতা হতাম।
এই লাল কার্ড পাওয়ার জন্য নিজেকেই দায়ী করলেন আবির। ‘একটি ম্যাচে আমাদের কোচের সাথে খারাপ ব্যবহার করে প্রতিপক্ষ। এতে আমি তাদের গায়ে হাত তুলে প্রতিবাদ করি। এ জন্য লাল কার্ড দেখানো হয়। এখন বুঝলাম সেই লাল কার্ড খাওয়া ঠিক হয়নি।’


আরো সংবাদ



premium cement