উত্তরা এফসিকে একাই টানছেন মঈন
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ
- ২৬ মে ২০২২, ০০:০০
এত দিন বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে ( বিসিএল) প্রিমিয়ারে উঠার লড়াইয়ে ছিল তিন দল। এগুলো হলো শীর্ষে থাকা ফর্টিস এফসি, আজমপুর ফুটবল ক্লাব উত্তরা এবং নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। আজমপুর আছে দ্বিতীয় স্থানে। নোফেল আছে তিন নাম্বারে। গত পরশু গোপালগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে এখন সেই ফাইটে উত্তরা ফুটবল ক্লাব। তাদের এই বিপিএলে উঠার মিশনে রেখেছেন একজন। তিনি মঈনুল ইসলাম খান মঈন। উত্তরা এফসি পাঁচ নাম্বারে থাকলেও মঈন আছেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পজিশনে। প্রায় প্রতি ম্যাচেই গোল করছেন তিনি। ১৭ ম্যাচে তার করা গোলের সংখ্যা ১৫। চলমান বসুন্ধরা গ্রুপ বিসিএলে দলের বাকি আছে আরো ৫ ম্যাচ। সে ম্যাচগুলোতে গোল পেলে এই সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।
গত বছর বিসিএলে অভিষেক মঈনের। গতবার দুই গোল পেলেও এবার দেড় ডজনের কাছাকাছি গোল। অথচ তিনি কোনো স্ট্রাইকার নন। খেলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ড পজিশনে। এরপরও কিভাবে এত গোল পাওয়া। উঠতি এই ফুটবলারের মতে, ‘আমি যে পজিশনে খেলি তাতে গোল পাওয়া সহজ।’ শুধু ঘরোয়া ফুটবলেই নয়।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও গোল আছে বরিশালের এই সন্তানের। ২০১৯ সালে উয়েফার অনুদানে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত উয়েফা ফুটবলে তার করা গোলের সংখ্যা সাতটি। এর মধ্যে হ্যাটট্রিক ছিল মালদ্বীপের বিপক্ষে। দু’টি গোল করেছিলেন ফারো আইল্যান্ডের বিপক্ষে। আগের বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই আসরেও তার গোল ছিল মালদ্বীপের বিপক্ষে। ২০১৯ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলে তার গোল ভুটানের বিপক্ষে। বয়সভিত্তিক ফুটবলে লাল-সবুজ জার্সিতে এখন পর্যন্ত তার করা গোলের সংখ্যা ৯টি। তবে এবারের লিগে এখনো হ্যাটট্রিক পাননি তিনি।
এই মুহূর্তে সিনিয়র জাতীয় দলে বরিশালের সদস্য রাকিব হোসেন। এই রাকিবই দেশে প্রিয় খেলোয়াড় মঈনের। অনেকেরই ঢাকার ফুটবলে অভিষেক জুনিয়র ডিভিশন ফুটবল দিয়ে। কিন্তু মঈনকে ফুটবলের জাত চেনাতে খেলতে হয়নি পাইওনিয়ার লিগ, তৃতীয় বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ এবং সিনিয়র ডিভিশন লিগ। স্কুল ফুটবল থেকে সরাসরি পেশাদার লিগের সেকেন্ড টায়ার বিসিএলের দলের জার্সি গায়ে তোলা। এবার এরই মধ্যে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ জাতীয় দলের ৫০ জনের প্রাথমিক তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। নিজেই দিলেন এই তথ্য। যেহেতু এখন পর্যন্ত ১৫ গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা, তাই তারই এবার এই খেতাব পাওয়ার কথা চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে। নিশ্চিত আগামী বছর প্রিমিয়ারের কোনো ক্লাবে ডাক পাবেন। কিন্তু সেখানে তো বিদেশীদের ভিড়ে সাইড বেঞ্চে জায়গা নিতে হবে তাকে। ব্যবসায়ী বাবার তিন সন্তানের সবার বড় মঈনের আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠ, ‘আমি উইং, মিডফিল্ড, স্ট্্রাইকার সব পজিশনেই খেলতে পারি। তাই বিপিএলে খেললে বিদেশীদের জন্য আমার একাদশে চান্স পেতে কোনো সমস্যাই হবে না।’ ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, মোহামেডান তাকে ইতোমধ্যে আগামীবার দলে নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে।
মঈন সম্পর্কে উত্তরা এফসির কোচ মাহাবুব আলী মানিকের মন্তব্য, খুবই সম্ভাবনাময় ফুটবলার সে। শান্ত, রতন ও মিশুর সাথে আমার দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার এই মঈন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা