গোল করেই যাচ্ছেন সেই বার্কোস

২০২০ সালের ফুটবল মৌসুম। সেই সিজনে বসুন্ধরা কিংসের সবচেয়ে বড় চমক ছিল হারনান বার্কোসকে আনা। অতীতে ঢাকার ফুটবলে আবাহনীর হয়ে ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে খেলা ইরাকের সামির সাকির, করিম মোহাম্মদ আলভীরা খেলেছেন। মোহামেডানে খেলে পরে ১৯৯৪ এর যুক্তরাষ্ট্র্র বিশ্বকাপে খেলেন নাইজেরিয়ান এমেকা ইউজিগো। বার্কোস বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। তবে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেছেন লিওনেল মেসিদের সতীর্থ হিসেবে। কোনো গোল নেই আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে। এর পরও বসুন্ধরা রেকর্ড গড়ে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে দলে ভিড়িয়ে। তবে মাত্র একটি ম্যাচই খেলা হয়েছে বাংলাদেশ সেরা ক্লাবটির হয়ে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের একটি ম্যাচ খেলেই মন ভরান। চার গোল করেন মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের বিপক্ষে। এরপর করোনার হানা। পুরো বিশ্বের মতো অচল ঘরোয়া-আন্তর্জাতিক ফুটবলও। ফলে বসে থেকে থেকেই শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাড়েন দীর্ঘদেহী স্টাইকার বার্কোস। জানা গেছে এই এক ম্যাচ খেলাতেই বার্কোসের পেছনে ব্যয় হয়েছিল কোটি টাকার উপরে। এখন পর্যন্ত বসুন্ধরা কিংস আনতে পারেনি বার্কোস মানের স্ট্রাইকার। সেই আফসোস ক্লাব কর্তৃপক্ষের আছেই।
এখন বয়স ৪০ এর কোটায় বার্কোসের। এর পরও থেমে নেই তার গোল করা। এবারের কোপা লিবার্তাদোরেসে দুই ম্যাচে দুই গোল তার। এবার দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে প্যারাগুয়ের ন্যাশিওনালের বিপক্ষে একটি গোল করেন। সেই ম্যাচে দলের জয় ৩-১ এ। অ্যাওয়েতে ফিরতি ম্যাচে তার শেষ মুহূর্তের পেনাল্টি গোলে সমতা আলিয়াঞ্জ লিমার। গত বছরও এই আসরে গোল ছিল তার। ক্লাবটির নেতৃত্বেও তিনি।
১৮ ফেব্রুয়ারী বার্কোসের দল পেরুর আলিয়াঞ্জ লিমা খেলবে আর্জেন্টিনার বিখ্যাত বোকা জুনিয়র্সের বিপক্ষে। ২০২১ সাল থেকে পেরুর ক্লাবটিতে খেলছেন বার্কোস। বসুন্ধরা ছাড়ার পর কিছু দিন ছিলেন ইতালিয়ান ‘ডি’ ডিভিশনের ক্লাব মেসিনাতে। তবে নন ইউরোপিয়ান ইস্যুতে খেলা হয়নি একটি ম্যাচও। এরপর যোগ দেয়া পেরুর ক্লাবে। গোল করছেন প্রায় নিয়মিত। আলিয়াঞ্জ লিমার জার্সিতে ১২৫ ম্যাচে ৫৯ গোল করেছেন। ২০২১ সালে ২৮ ম্যাচে ১০ গোল, পরের বছর ৩৫ ম্যাচে ১৮ গোল, ২০২৩ সালে ৩৪ ম্যাচে ১৭ গোল এবং গত বছর ২৮ ম্যাচে ১৪ গোল করেন।