তাবিথের অনুরোধও রাখেনি সাবিনারা
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৪০
সাত সদস্যের বিশেষ কমিটির রিপোর্টে সাবিনা খাতুনসহ ১৮ ফুটবলারের বিপক্ষে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ। যদি বাফুফে সভাপতি তাবিথ আওয়ালের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এই শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়টি গুরুত্ব পায় তাহলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে জাতীয় দলের ক্যাম্পের এই খেলোয়াড়দের। বিশেষ কমিটির প্রধান ইমরুল হাসান রিপোর্ট জমা দেয়ার দিন যে সুরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়টি তুলে ধরেছেন তাতে বেকাদায় পড়তে পারেন এই বিদ্রোহী ফুটবলার। তবে এক জোট থাকা ১৮ ফুটবলার ছাড়া এই মুহূর্তে জাতীয় দল অচল। একেবারেই অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলারদের নিয়ে জাতীয় দল গঠন করে রাতারাতি সাফল্য আসবে না সিনিয়র দলের বিপক্ষে। আপাতত সমাধান একটাই। ফুটবলাররা যেন তাদের অবস্থান থেকে সরে এসে অনুশীলনে যোগ দেয়। তাই বাফুফে সভাপতি দেশে ফিরেই গত বৃহস্পতিবার রাতে দেখা করেন বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলারের সাথে। সূত্র মতে, তাবিথ আওয়াল তাদের সাথে এককভাবে যেমন কথা বলেছেন আবার সবাইকে নিয়ে একত্রে। ফুটবলারদের অনুরোধ করেছেন অনুশীলনে যোগ দিতে। পরশু শুক্রবার অনুশীলন বন্ধ ছিল। তাই গতকাল এই ফুটবলাররা অনুশীলনে যোগ দেয় কি না- সেটাই ছিল দেখার বিষয়। তবে সাবিনার নেতৃত্বে থাকা এই ফুটবলারদের কেউ-ই যোগ দেয়নি অনুশীলনে। গতকাল কোচ পিটার বাটলারের অধীনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দুই বেলা অনুশীলন হলেও অনুপস্থিত ছিলেন এই ১৮ জন।
বাফুফের মহিলা উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরন জানান, ‘বাফুফে সভাপতি আশা করেছিলেন মেয়েরা অনুশীলনে যোগ দেবে। কিন্তু ফুটবলাররা অনুশীলনে যোগ দেয়নি।’ সভাপতির অনুরোধ সত্ত্বেও নারী ফুটবলারদের এভাবে অনুশীলন বন্ধ রাখাকে স্বাভাবিকই মনে করছেন কিরন। তবে কিরন এখনো আশাবাদী সাবিনারা যোগ দেবেন অনুশীলনে। কিরন আরো যোগ করেন, এই ফুটবলারদের আমি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চিনি। এ কারণেই ওদের জন্য আমার খারাপ লাগে বেশি। ওরা তাদের ক্যারিয়ার এভাবে নষ্ট করতে পারে না। আমি আশাবাদী তারা অনুশীলনে যোগ দেবে।
বাফুফে যে বিষয়টি নিয়ে হার্ড লাইনে তা কিন্তু সাবিনাদের বিকল্প হিসেবে আরো ৩০ উঠতি ফুটবলারকে ক্যাম্পে ডেকেই ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছে। আর তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরও বাফুফে সভাপতি যখন নিজ থেকে বিদ্রোহী ফুটবলারদের সাথে দেখা করেছেন। ফুটবলারদের কথা শুনেই তাদেরকে অনুশীলনে যোগ দিতে বলেছেন। এতে বুঝাই যাচ্ছে, সভাপতির অনুরোধ সত্ত্বেও ফুটবলারদের অব্যাহত প্র্যাকটিস বয়কটটা মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না বাফুফে। তাহলে হয়তো সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ফিফা প্রীতিম্যাচে দল গঠনের জন্য বিকল্পই চিন্তাই করতে হবে কোচ বাটলারকে। বাদ দেয়া হতে পারে সাবিনাসহ বিদ্রোহী কয়েকজনকে। কিরন অবশ্য দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস রাখছেন সাবিনারা অনুশীলনে যোগ দেবেন। তার মতে আমাদের প্ল্যান ‘বি’ নিয়ে ভাবার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা প্ল্যান ‘এ’তেই আছি। অর্থাৎ তিনি চান সাবিনারা ক্যাম্পে ফিরে আসুক। তাদের নিয়েই জাতীয় দল গঠিত হোক।
তবে নারী ফুটবলারদের এই অনড় অবস্থানের পেছনে কেউ কলকাঠি নাড়ছে কি না সেটাও ভেবে দেখার সময় হয়েছে। এমনিতেই একের দিন একের ইস্যুতে সরগরম থাকে ঢাকা শহর। আর সাবিনাদের এই আন্দোলনতো দেশের ক্রীড়াঙ্গনের টক অব দ্য কান্ট্রি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা