গোলে সেরা সিজন তপুর
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ
- ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
তার মূল কাজ গোল ঠেকানো। না সরাসরি গোলরক্ষকের ভূমিকায় নয়। শেষ প্রহরীর সামনে থেকে ডিফেন্স লাইনেই প্রতিপক্ষের আক্রমণ নসাৎ করে দেয়া। আর যেহেতু দীর্ঘদেহী তাই এ শরীরকে কাজে লাগিয়ে ফ্রি-কিক বা কর্নারের সময় বিপক্ষ পোস্টে গিয়ে হেডে গোল করা। এ কাজটা গৌণ। তবে সেই গৌণ কাজই এবার মুখ্য হয়ে গেছে তপু বর্মণের জন্য। বসুন্ধরা কিংসের জার্সি গায়ে এবারের ফুটবল মৌসুমে গোলের পর গোল করে যাচ্ছেন এ স্টপার ব্যাক। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তার করা গোলের সংখ্যা তিনটি। সমানসংখ্যক গোল ফেডারেশন কাপেও। আর সিজন শুরুর চ্যালেঞ্জ কাপে ১ গোল। সব মিলিয়ে মৌসুমের অর্ধেক সময়ে ৭ গোল। তপু জানান, ‘আমি আমার ক্যারিয়ারে এ প্রথম এক সিজনে এতো গোল পেলাম। এর আগে ২০২১ সালে তার গোল ছিল ৫টি।’
জাতীয় দলের হয়ে ৬ গোল তার। এ সংখ্যা বাড়তো এবং বাংলাদেশ দলের হয়ে ডিফেন্ডার হিসেবে কায়সার হামিদের করা ৬ গোলকে ছাড়িয়েও যেতেন। যদি পেনাল্টি মিস না করতেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চার জাতি ফুটবলে । বারের ওপর দিয়ে মারা সেই শটের মূল্য বাংলাদেশ দলকে চোকাতে হয়েছিল সেই খেলায়। ২০২১ সালের সেই ম্যাচে ১০ জনের লঙ্কানদের কাছে ১-২ গোলে হেরে আসর থেকে ছিটকে পড়া।
বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে তপুর গোল করা শুরু ২০১৩ সালে। সেবার তার গোল ছিল মোহামেডানের হয়ে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে। জাতীয় দলে প্রথম গোল ২০১৫ সালের কেরালা সাফে ভুটানের বিপক্ষে। ২০১৫ ও ২০১৮ দুই সাফ মিলে টানা তিন ম্যাচে ( ভুটান ১, ভুটান ২, পাকিস্তান ১) চার গোল করা ডিফেন্ডার এ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের এ ছেলের। জাতীয় দলে তপুর স্মরণীয় গোল ২০২১ সালে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। কাতারের মাঠে ৮৩ মিনিটে তার সেই করা গোলে হার এড়িয়ে জেমি ডে বাহিনীর ড্র করা। এ ছাড়া ২০১৮ সালের সাফে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৮ মিনিটের জয়সূচক গোলেও তার মনে রাখার মতো। নিজ মাঠে তার সেই গোল পুরো গ্যালারি প্রকম্পিত করে তুলেছিল। অন্য দিকে ঘরোয়া ফুটবলে ২০২১ সালে একটি ম্যাচে তিনি গোল করেছিলেন বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনীর বিপক্ষে। প্রথমে আত্মঘাতী। এরপর তার গোলেই শেষ পর্যন্ত হার এড়ায় বসুন্ধরা কিংস।
সেট পিচেই গোল তপুর। কখনো পেনাল্টিতে। কখনো কর্নার বা ফ্রি-কিকে। বাংলাদেশ দলে তার তিন গোল পেনাল্টিতে। ক্লাব ফুটবলেও তার এ স্পট কিকে একই পরিমাণ গোল। এবার অবশ্য তার কোনো গোলই পেনাল্টিতে নেই। সাত গোলের ৪টি হেডে। বাকি তিনটিতে পায়ের ভূমিকা। চলতি সিজনে তার সেরা গোল মোহামেডানের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ লিগে। তপুর মতে, ‘গোলশূন্য থাকার পর ৭৩ মিনিটের সেই গোলই পরে দলকে ৩-১ গোলে চ্যাম্পিয়ন করায়।’ এবার তার অন্য গোলগুলো ছিল ব্রাদার্স, রহমতগঞ্জ, ফর্টিস পুলিশ এবং ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে। ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে লিগ ও ফেডারেশন কাপে গোলের দেখা পান।
তবে গোল করার নির্দিষ্ট কোনো টার্গেট নেই তার। মূল লক্ষ্য দলের সাফল্য। তবে দারুণ খুশি ডিফেন্ডার হয়েও গোল করতে পারায়। যদিও আফসোস নেই স্ট্রাইকার হতে না পেরে। জানান স্ট্রাইকার হলেতো মার্কিংয়ে থাকতে হতো। এর চেয়ে আনমার্ক থেকে গোল করে দলকে জেতাতে এবং ড্রতে ভূমিকা রাখতে পেরে গর্বিত।’ ঘরোয়া ফুটবলে ১৭টি এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৬ গোল তার। সব মিলে এখন পর্যন্ত ২৩ গোল তার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা