০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১, ১ শাবান ১৪৪৬
`

ফিক্সিংয়ের গুঞ্জন বিপিএলের ৮ ম্যাচ

ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক আরিফুল হক -

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চলমান আসর হওয়ার কথা ছিল ভিন্ন মাত্রার। হয়েছেও তাই। চলতি আসরে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়ে শোরগোল। ভিন্ন মাত্রার বিপিএলকে এখন অবজ্ঞা ও উপহাস করে বলছে বিতর্কের প্রিমিয়ার লিগ। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ইস্যুতে আগের আসরগুলোতেও কম বেশি সমালোচনা ছিল। কিন্তু এবার রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজির পেশাদারিত্বের অভাব প্রকটভাবেই ফুটে উঠেছে। কয়েক দফা ক্রিকেটাররা অনুশীলন বয়কট, ম্যাচ বয়কটের হুমকি। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় ক্রিকেটাররা মাঠে এলেও দলটির কর্ণধাররা মাঠে আনতে পারেননি বিদেশীদের। যা বিপিএলের সব আসরকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।
বিপিএল পরিচালনা কমিটির পেমেন্ট শিডিউল অনুযায়ী, প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শুরুর আগে খেলোয়াড়দের মোট পারিশ্রমিকের ৫০ শতাংশ, টুর্নামেন্ট চলাকালীন ২৫ শতাংশ ও বাকি ২৫ শতাংশ টুর্নামেন্ট শেষে পরিশোধ করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঢাকা ক্যাপিটালস, রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল নিয়মিত পেমেন্ট দিতে সক্ষম হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকের ওপর আস্থা হারিয়ে বিসিবির দিকে তাকিয়ে রাজশাহীর ক্রিকেটাররা।

এরই মধ্যে এল নতুন বিতর্ক। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য এবারের আসরে সন্দেহের তালিকায় অন্তত আটটি ম্যাচ। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের অধীনে অ্যান্টি করাপশন ইউনিট এই ম্যাচগুলো নিয়ে তদন্ত করবে। বিপিএলের চলমান আসরে টানা ৭ পরাজয়ে আসর শেষ করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। চিটাগাং কিংসের কাছে ৯৬ রানে হেরেছে আরিফুল হকের দল। চিটাগাংয়ের দেয়া ১৯৬ রানের জবাবে ১০০ রানেই থেমে যায় সিলেট। গুঞ্জন রয়েছে, সন্দেহের তালিকায় আছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক আরিফুল হক। এ ছাড়া এই মৌসুমে অস্বাভাবিক নো বল, প্রায় এক ফুট দূরে পা ফেলে বল করা, পিচের বাইরেও বল পড়েছে কয়েকবার। তাছাড়া খেলোয়াড় বাছাইয়েও দেখা গেছে অস্বাভাবিকতা। সব মিলে অন্তত ১০ জন খেলোয়াড় ও চার ফ্র্যাঞ্চাইজিকে মনিটর করছে এসিইউ। ১০ জন ক্রিকেটারের মধ্যে ছয়জন বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দু’জন বয়সভিত্তিক পর্যায়ের বাংলাদেশী খেলোয়াড় ও দু’জন বিদেশী ক্রিকেটার। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে দুর্বার রাজশাহী ও ঢাকা ক্যাপিটালসের সবচেয়ে বেশি ১২টি সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড। সিলেট স্ট্রাইকার্সের ছয়টি ও দু’টি ম্যাচ রয়েছে চিটাগং কিংসের।
এর মধ্যে ৬ জানুয়ারি ফরচুন বরিশাল-দুর্বার রাজশাহী। ৭ জানুয়ারি রংপুর রাইডার্স-ঢাকা ক্যাপিটালস, ১০ জানুয়ারি ঢাকা ক্যাপিটালস-সিলেট স্ট্রাইকার্স, ১২ জানুয়ারি দুর্বরা রাজশাহী-ঢাকা ক্যাপিটালস, ১৩ জানুয়ারি চিটাগং কিংস-সিলেট স্ট্রাইকার্স, ২২ জানুয়ারি ফরচুন বরিশাল-খুলনা টাইগার্স ও একই দিন পরের ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালস-ম্যাচ সন্দেহের তালিকায়। শেষ যে ম্যাচটি সন্দেহের তালিকায় আছে সেটি হলো ২৩ জানুয়ারি দুর্বার রাজশাহী-রংপুর রাইডার্স।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল