০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১, ১ শাবান ১৪৪৬
`
কোয়ালিফাইং রাউন্ড ফাইনাল ওয়ান

বসুন্ধরার প্রতিপক্ষ আবাহনী

ঢাকা আবাহনী ২-০ রহমতগঞ্জ, মোহামেডান ৫-২ ইয়ংম্যান্স
-

কোয়ালিফায়ারে খেলা আগেই নিশ্চিত ছিল দুই দলের। বাকি ছিল গ্রুপ শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণ। গতকাল কিংস এরিনায় বসুন্ধরা গ্রুপ ফেডারেশন কাপের ‘বি’ গ্রুপের সেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়নশিপ নির্ধারণী ম্যাচে শেষ হাসি ঢাকা আবাহনীর। রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে ২-০ গোলে হারিয়ে আকাশি-নীল শিবির এখন গ্রুপ সেরা। এতে তারা আসরে নতুনভাবে প্রবর্তিত কোয়ালিফাইং রাউন্ড ফাইনাল ওয়ানে খেলার ছাড়পত্র পেল। এই কোয়ালিফাইং রাউন্ড ওয়ানে ওঠার ফলে ফাইনালে যেতে তাদের টপকাতে হবে বসুন্ধরা কিংসের বাধা। কারণ বসুন্ধরা গ্রুপ কোয়ালিফাইং রাউন্ড ওয়ানে উঠেছে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে। ৮ এপ্রিল কুমিল্লা স্টেডিয়ামে হবে এই ম্যাচ। অন্য দিকে রহমতগঞ্জকে খেলতে হচ্ছে কোয়ালিফাইং রাউন্ড টুতে। ১৫ এপ্রিল তাদের প্রতিপক্ষ ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ ব্রাদার্স ইউনিয়ন। রহমতগঞ্জ ও ব্রাদার্সের মধ্যকার জয়ী দল কোয়ালিফাইং রাউন্ড থ্রিতে খেলবে বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনীর মধ্যকার পরাজিত দলের সাথে। এই ম্যাচের জয়ী দল যোগ্যতা অর্জন করবে ২ মের ফাইনালে। কাল অন্য ম্যাচে মোহামেডান ৫-২ গোলে ইয়ংম্যান্সকে।

ম্যাচে আবাহনী লিড নেয় ১২ মিনিটে। রহমতগঞ্জের এক ডিফেন্ডারের ক্লিয়ার করা বল বক্সে গিয়ে পড়ে। সে বল গোলরক্ষক মামুন আলিফ সময়মতো বের হয়ে এসে ক্লিয়ার করেননি। আবার ডিফেন্ডার রাজন হালদারও পারেননি বিপদমুক্ত করতে। এ সুযোগে শাহরিয়ার ইমন বলের দখল নিয়ে তা ব্যাক পাস করেন এনামুল গাজীকে। এরপর ডান পায়ের মাপা প্লেসিংয়ে মারুফুল হকের দলকে এগিয়ে নেন রহমতগঞ্জেরই সাবেক ফুটবলার এনামুল। এর আগে ৬ মিনিটে রহমতগঞ্জকে লিড এনে দিকে পারেননি মুন্না। তার শট রুখে দেন আবাহনীর কিপার মিতুল মারমা। ৬০ মিনিটে স্কোর দ্বিগুণ করে আবাহনী। ইব্রাহিমের ক্রসে অধিনায়ক মোহাম্মদ হৃদয়ের হেডে বাম দিকে শরীর ফেলেও কিছু করতে পারেননি মামুন আলিফ। যদিও এর ঠিক আগে সমতার সুযোগ হারান রহমতগঞ্জের নাবিব নেওয়াজ জীবন। ম্যাচসেরা হয়েছেন হৃদয়।

ময়মনসিংহ স্টেডিয়ামে মোহামেডান আসরে সান্ত্বনার জয় পেয়েছে মঈন ও আরিফের দু’টি করে গোলের ওপর ভর করে। সে সাথে তাদের ৫-২ গোলের জয়টি লিগের শেষ ম্যাচে ইয়ংম্যান্সের কাছে হারের বদলাও। ১০ ও ২৭ মিনিটে দুই গোল করেন মঈন। এরপর ইয়ংম্যান্স সমতা এনে ফেলে ৩৫ ও ৩৯ মিনিটে যথাক্রমে রাফায়েল টুডু ও আকবিরের গোলে। আকবিরের গোলটি অবশ্য পেনাল্টি থেকে। ৬৭ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে মাঠ থেকে বহিষ্কৃত হন ইয়ংম্যান্সের মোহাম্মদ ঝান্টু। এ সুযোগে মোহামেডান আরো চড়াও হয়ে বাকি তিন গোল আদায় করে তুলে নেয় জয়। ৭৩ মিনিটে সৌরভ গোল করার পর ৮২ ও ৮৪ মিনিটে জোড়া গোল আরিফের। ম্যাচসেরা হন মঈন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল