ক্যাম্প ছাড়ার হুমকি সাবিনাদের
বাটলারের অধীনে অনুশীলন করবে না সিনিয়ররা- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
বাটলারের অধীনেই খেলতে হবে নারী ফুটবলারদের। বাফুফের এই কঠোর অবস্থানেও অনড় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের ফুটবলাররা। আগের দিন সাবিনা, মাছুরা, নীলা, সানজিদারা কোচ পিটার জেমস বাটলারের সাথে মিটিং বয়কট করেন। আর গতকাল তারা জিম সেশনে অংশ নেননি। এরপর সন্ধ্যায় বাফুফে ভবনের নিচে মিডিয়ার সাথে কথা বলেন সাবিনা খাতুন, মাছুরা পারভীন, সানজিদা, মনিকা, মারিয়া, শিউলীরা। তাদের একটাই দাবি, কোচ পিটার বাটলার নারী দলের হেড কোচ হিসেবে বহাল থাকলে তারা জাতীয় দলের সাথে অনুশীলন করবে না। প্রয়োজনে ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাবে। গণ পদত্যাগ করবে। তবে এই অবস্থানের পক্ষে জোরালো কোনো যুক্তি দাঁড় করাতে পারেননি সাবিনারা। বিষয়টি আত্মসম্মানের বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন সাবিনা, মাছুরারা। তবে অন্য একটি বিশ্বস্ত সূত্র বলছে জুনিয়রদের পারফরম্যান্সের কারণে জাতীয় দলে স্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে সিনিয়রদের। কোচও জুনিয়রদের অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তাই সাবিনাদের এই প্রতিবাদ। যদিও সিনিয়র-জুনিয়র বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন সাবিনারা।
কোচ বাটলার গোলরক্ষক রুপনা চাকমা বেঁটে বলে টিটকারী করেন, সিনিয়ররা ক্যাম্পে থেকে ছুটির সময় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গেলে, কফি শপে গেলে কোচ তাদের অনুশীলনে বকাঝকা করেন, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেন। এ ছাড়া গত সাফের সময় ডাইনিংয়ে ঠাণ্ডার কারণে মাছুরা মাথায় টুপি পরে আসায় তাকে তিরস্কার করেন, তাকে টুপি খুলতে বলেন। কিন্তু মাছুরা টুপি খোলেননি। পরে তাকে প্র্যাকটিসে নিতে অস্বীকার করেন, এসব অভিযোগই তুলে ধরেন সাবিনা, মাছুররা, নীলা, মনিকা, মারিয়া, কৃষ্ণা, সানজিদারা। সাথে ছিলেন- তহুরা, ঋতু পর্না, দুই শামসুন্নাহার, শিউলী, সাগরিকা, সাথী, স্বর্ণারা। খেলোয়াড়দের অভিযোগ, কোচ সাফের সময় একটি ঘটনায় কৃষ্ণার দিকে তেড়ে যান। কোচ ক্যাম্পে একটি বিষাক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। জুনিয়রদের নিয়ে বিভাজনের চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমরা বিভাজন চাই না। মারিয়া মান্ডার মতে, এতে আমরা মানসিকভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এর প্রভাব পড়ছে দলের পারফরম্যান্সে।
সাবিনা বলেন, ‘আমাদের প্রমাণের কিছুই নেই। বিষয়টা আত্মসম্মানের। দেশের মানুষ ফেসবুকে যেভাবে আমাদের সমালোচনা করছে, তাতে মনে হয় আমরা দেশের জন্য কিছুই করিনি।’ তার সাথে সুর মেলান মাছুরাও। তারা জানান, কোচের ভুল একাদশ গঠনের ফলেই গত সাফ ফুটবলে আমরা পাকিস্তানের কাছে হারতে বসেছিলাম। পরে কোনো মতে ড্র করেছি। পরে আমাদের চাপে ভারতের বিপক্ষে কোচ একাদশ বদল করতে বাধ্য হন। এরপর সিনিয়ররা মিলে ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়। ওই ম্যাচ ছিল আমাদের জন্য ভাইটাল। হারলে আমরা ভিলেন হয়ে যেতাম। ক্যারিয়ারও শেষ হয়ে যেত।
ফুটবলারদের লিখিত অভিযোগ, ওই ঘটনাগুলোর পরও বাফুফে কোচের সাথে দুই বছরের চুক্তি করে। এতে আমাদের দাবি-দাওয়া উপেক্ষা করা হয়েছে। তাদের মতে, কোচ চাইলে নেপালে ঘটে যাওয়া ঘটনা সেখানেই সমাধান করতে পারতেন। সাফ জয়ের পর আমাদের সাথে বসতে পারতেন। কিন্তু তা না করে ইগো সমস্যায় ভুগেছেন। তবে নেপাল থেকে ফেরার পর বাফুফের এক সহসভাপতি কোচের সাথে বসে তাকে আচার-ব্যবহার সম্পর্কে আরো সতর্ক হতে বলেন।
বিষয়টি নিয়ে নারী ফুটবলাররা বাফুফে সভাপতির সাথে বসবেন। তারা সভাপতি বরাবর চিঠিও দিয়েছেন বলে জানানো হয়। তাদের আশা বাফুফে সভাপতি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন এবং এর সমাধান করবেন। জানান, এর আগ পর্যন্ত আমরা ক্যাম্পে যোগ দেবো না। এর পরও বাফুফে যদি কোচ হিসেবে বাটলারকে বহাল রাখে তাহলে আমরা একযোগে পদত্যাগ করব। উল্লেখ্য, বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন সভাপতি তাবিথ আওয়াল।
কাল অবশ্য বাটলারের অধীনে ১২ জন ফুটবলার জিম সেশনে অংশ নেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা