ওসমান খাজার ডাবল সেঞ্চুরি

৭৯ টেস্টের ক্যারিয়ারে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেলেন উসমান খাজা। অভিষেক টেস্ট খেলতে নেমে সেঞ্চুরির রাঙালেন জস ইংলিশ। এর আগে বিদায় নেন প্রথম দিনে ১০৪ রানে অপরাজিত থাকা ব্যাটার স্টিভেন স্মিথ। ১৪১ রানে থেমে যায় প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে দলের নেতৃত্ব পাওয়া ৩৫ বছর বয়সী এই ব্যাটার। তিন ব্যাটারের কল্যাণে রানের পাহাড় গড়ে তুলল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৬৫৪ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক। এরপর প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে দ্বিতীয় দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে এখনো ৬১০ রানে পিছিয়ে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার দল।
গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে দিনের খেলা শুরু করেন অপরাজিত দুই ব্যাটার খাজা ১৪৭ ও ১০৪ রান নিয়ে স্মিথ। এ দিন সেঞ্চুরির সাথে ৩৭ রান যোগ করে ভ্যান্ডারসির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে প্রথমে বিদায় নেন স্মিথ। উইকেটে এসেই ঝড় তোলেন জস ইংলিশ। ৯০ বলে স্পর্শ করলেন তিন অঙ্কের ঘর। অভিষেক টেস্টে যা দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ১০২ রানে জয়সুরিয়ার বলে মেন্ডিসের তালুবন্দী হন তিনি।
এর আগে অবশ্য ক্যারিয়ারে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করে সাজঘরে ফেরেন খাজা। ৩৫২ বলে ২৩২ রান করা এই ব্যাটারও জয়সুরিয়ার বলে ক্যাচ তুলে দেন মেন্ডিসের হাতে। ইংলিশের বিদায়ের পর বেশিদূর যেতে পারেননি বেউ ওয়েবস্টার (২৩)। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি ৪৬ ও ১৯ রানে মিচেল স্টার্ক।
ডাবল সেঞ্চুরির সুবাদে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের পর সবচেয়ে বেশি বয়সে ৩৮ বছর ৪৩ দিন বয়সে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়লেন খাজা। অসিদের হয়ে সবচেয়ে বেশি বয়স ৩৯ বছর ১৪৯ দিন বয়সে ২০১ রান করেছিলেন ব্র্যাডম্যান। সব মিলে টেস্টে সবচেয়ে বেশি বয়সে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডটি এরিক রোয়ানের। ১৯৫১ সালে হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪২ বছর ৬ দিন বয়সে ২৩৬ রান করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটার।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দিনের শেষ সেশনে ১৫ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩০ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ওভারেই ম্যাথু কুনেমানের বলে এলবিডব্লিউ হন ওশাদা ফার্নান্দো। এরপর দিমুথ করুনারতেœকে ফেরান মিচেল স্টার্ক। নাথান লিয়ন তুলে নেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে। এতেই বিপদে স্বাগতিকরা।