৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৫
`

রংপুরকে হারিয়ে প্লে-অফের পথে চিটাগং

ঢাকা ক্যাপিটালসের বিদায় নিশ্চিত
১৮ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে চিটাগং কিংসের জয়ের নায়ক হায়দার আলি : ইন্টারনেট -


ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ইফতেখার আহমেদের ফিফটিতে লড়াইয়ের একটা পুঁজি পেয়েছিল রংপুর রাইডার্স। মাঝারি লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানি হায়দার আলির ব্যাটে ওই পুঁজি পেরিয়ে অনায়াসে জিতেছে চিটাগাং কিংস। এই জয়ে প্লে-অফের পথে অনেকটা এগিয়ে গেল টুর্নামেন্টে নানান বিতর্কের জন্ম দেয়া কিংস। তাদের জয়ে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে ঢাকা ক্যাপিটালসের। বাকি দুই ম্যাচ জিতলেও তাদের লাভ হবে না।
গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে চিটাগাং কিংস। টানা ৮ ম্যাচ জিতে সবার আগে এবারের বিপিএলে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল রংপুর রাইডার্স। সেই দলটি এখন জিততেই ভুলে গেছে। আকিফ জাভেদকে টানা চার ছক্কা মেরে রংপুরকে শেষ করে দিয়েছেন হায়দার আলি। উড়তে থাকা রংপুর রাইডার্স পূর্ণ করল হারের হ্যাটট্রিক। যার মধ্যে দুর্বার রাজশাহীর কাছে দুই ম্যাচের দু’টিতেই হেরেছে নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন রংপুর। কাল মিরপুরে চিটাগং কিংসের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছেন সোহানরা। এই হারে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান খুইয়ে দুইয়ে রংপুর। ১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৬। শীর্ষে থাকা বরিশালেরও পয়েন্ট ১৬। পার্থক্য শুধু নেট রানরেটে। রংপুরকে হারিয়ে চিটাগং টপকে গেল দুর্বার রাজশাহীকে। সমান ১২ পয়েন্ট নিয়ে চিটাগং ও রাজশাহী অবস্থান করছে তিন ও চার নম্বরে। আরেক ম্যাচ জিতলে নিশ্চিত প্লে-অফে খেলবে মিথুন বাহিনী আর না জিতলেও সুযোগ থাকবে প্লে-অফের।

আগে ব্যাট করে মাত্র ১৪৩ রান করে রংপুর। ১৪ বল আগে ওই রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় কিংস। মাত্র ১৮ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে কিংসের নায়ক হায়দার। এ ছাড়া পারভেজ হোসেন ইমন ৪৩ বলে ৪১ রান করে দলের চাপ বাড়িয়েছেন।
রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কান লাহিরু মিয়ান্থাকে শুরুতে হারালেও গ্রায়েম ক্লার্ক নেমে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন। তবে ১২ বলে ১৫ করেই ফিরেন তিনি। আরেক প্রান্তে পারভেজ শুরু থেকেই ধুঁকছিলেন। একের পর এক ডট বল খেলে দলের চাপ বাড়ান। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন সেই চাপ উড়াচ্ছিলেন ছক্কায়। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে দুই ছক্কার পরই অক্কা যান কিংসদের অধিনায়ক। তবে পাকিস্তানি হায়দার জারি রাখেন আগ্রাসন। পারভেজের মন্থরতার বিপরীতে তুলেন ঝড়। খোলসবন্দী পারভেজ আড়ষ্টতা খানিকটা ঝেড়ে ফেলার আভাস দিয়েও বেশি দূর এগোতে পারেননি।
দুপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর। পাওয়ার প্লের মধ্যে তিন টপ অর্ডারকে হারায় তারা। এর মধ্যে সৌম্য সরকার ফেরেন থিতু হয়ে। পাওয়ার প্লের পর মাঝের ওভারে ধুঁকতে থাকেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ২১ বলে ৯ রান করে তিনি তুলে দেন সহজ ক্যাচ। ব্যর্থ হন ইরফান শুক্কুরও। পরে শেখ মাহেদী হাসানকে নিয়ে রংপুরকে টেনে নেন ইফতেখার। ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৭৫ রানের জুটি গড়েন দু’জন। তাতে কিছুটা লড়াইয়ের পুঁজি পায় রংপুর। প্রথম দিকে আভাস দিলেও বোলাররা সেই লড়াই আর জমাতে পারেননি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
রংপুর রাইডার্স : ১৪৩/৫ (সৌম্য ২৩, ইফতিখার ৬৫*, শেখ মাহেদী ২২*, শরিফুল ১/৩৪, খালেদ ২/৪৪, শামীম ১/১০)।
চিটাগং কিংস : ১৭.৪ ওভারে ১৪৮/৫ (পারভেজ ৪১, ক্লার্ক ১৫, মিঠুন ২০, হায়দার ৪৮*, রাহাতুল ৬*; আকিফ ২/৩৭, সাইফ উদ্দিন ২/২৫)।
ফল : চিটাগং কিংস ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : হায়দার আলি।

 


আরো সংবাদ



premium cement