গোল অ্যাসিস্ট ও কার্ডে দেশীরাই সেরা
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
আজ বসুন্ধরা গ্রুপ ফেডারেশন কাপের দু’টি ম্যাচ। এরপর ৪ ফেব্রুয়ারি আরো দুই ম্যাচের পর বিশ্রাম পাবেন ফুটবলাররা। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। এতে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে মোহামেডান। আর গোলদাতার শীর্ষে রহমতগঞ্জের স্যামুয়েল বোয়েটাং। ১১ গোল দিয়ে সবার ওপরে এই ঘানার ফুটবলার। একক গোলদাতার ক্ষেত্রে এই স্ট্রাইকারটি এগিয়ে থাকলেও সম্মিলিত গোলের এগিয়ে দেশী ফুটবলাররাই। সে সাথে গোলের জোগানদাতা বা অ্যাসিস্ট ও কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রেও অগ্রবর্তী অবস্থান স্থানীয়দের। এবারের লিগের প্রথম পর্বে মোট ১৩৫টি গোল হয়েছে। এতে স্থানীয়দের করা গোল ৭১টি। সেখানে বিদেশীদের করা গোল ৬১টি। গোলের সাথে মিল রেখে লালকার্ড এবং হলুদ কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে বাংলাদেশীরা। রেফারিদের মোট ১৭৫ বার হলুদ কার্ড বের করতে হয়েছিল পকেট থেকে। এতে দেশীরা পেয়েছেন ১৩০টি কার্ড। ৮ লাল কার্ডের ৬টিও স্থানীয়দের দখলে। বিদেশীরা মোট ১৪৫টি হলুদ কার্ড ও ২টি লালকার্ড পেয়েছে। গোলের অ্যাসিস্টে বাংলাদেশীদের অবদান ৬৯টি। বিদেশীরা গোল করিয়েছে ৪২টি। বাফুফের পরিসংখ্যান দিয়েছে এই তথ্য।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে এবার সব ক্লাব বিদেশী ফুটবরার আনতে পারেনি। শিরোপা প্রত্যাশী ঢাকা আবাহনীতে সম্পূর্ণ দেশী ফুটবলার নিয়েই খেলে এখন পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। এই সুযোগই কাজে লাগাচ্ছেন স্থানীয়রা। একপর্যায়ে তো একক সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌড়ে ছিলেন পুলিশের আল আমিন ইসলাম এবং রহমতগঞ্জের নাবিব নেওয়াজ জীবন। কিন্তু এই রহমতগঞ্জেরই স্যামুয়েল বোয়েটাং এক ম্যাচে ডাবল হ্যাটট্রিক করে (৬ গোল) এক ঝটকায় চলে যান সবার ওপরে। ১১ গোল তার। এরপরেই অবস্থান আল আমিনের। ৭ গোল তার। ৬টি করে গোল মোহামেডানের সোলেমান দিয়াবাতে, ইমানুয়েল সানডে এবং ব্রাদার্সের সেইকে সেনের। অবশ্য লিগে এক ম্যাচেই হ্যাটট্রিক ছাড়িয়ে ডাবল হ্যাটট্রিকের ঘটনা ঘটেছে। সেই কৃর্তির মালিক স্যামুয়েল বোয়েটাংই।
ম্যাচ সেরার দৌড়ে অবশ্য এগিয়ে বিদেশীরাই। মোহামেডানের সোলেমান দিয়াবাতে চারবার হয়েছেন ম্যাচ সেরা। তিনবার করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়ার কৃতিত্ব আল আমিন, বসুন্ধরা কিংসের মিগুয়েল ফিগেইরো এবং ঢাকা আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমার। গোলের অ্যাসিস্টে সর্বাধিক ছয়বার এই কাজ করেছেন রহমতগঞ্জের মিসরীয় মোস্তফা ও বসুন্ধরা কিংসের ব্রাজিলিয়ান মিগুয়েল ফিগেইরো। বসুন্ধরা কিংসের ফয়সাল আহমেদ ফাহিম এবং রহমতগঞ্জের তাজউদ্দিন ৪টি করে গোলের উৎস।
লিগে সর্বাধিক ৮ ম্যাচে কোনো গোল খায়নি ঢাকা আবাহনী। এর মধ্যে ৭ ম্যাচেই পোস্টের নিচে ছিলেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। আবাহনীর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে ৫ ম্যাচে কোনো দল গোল দিতে পারেনি। সাদা-কালোদের গোলরক্ষক সাকিব আল হাসান ৩ ম্যাচে এবং ফর্টিসের সারোয়ার জাহান তিনটি করে ম্যাচে কোনো গোল হজম করেননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা