সিলেটকে গুঁড়িয়ে প্লে-অফে বরিশাল
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
বল হাতে রীতিমতো আগুন ঝরালেন ফাহিম আশরাফ। তাতে লণ্ডভণ্ড সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটিং লাইনআপ। কোনো মতে লড়াইয়ের পুঁজি মিলে দলটির। এরপর বাকি কাজ শেষ করেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহীম। তাতে দ্বিতীয় দল হিসেবে বিপিএলের প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফরচুন বরিশাল।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৮ উইকেটে হারায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮.১ ওভারে ১১৬ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। জবাবে ২৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে ফরচুনরা। এই হারে কাগজে কলমে, যদি কিন্তুর বিশাল সমীকরণে টিকে থাকলেও বিদায় এক প্রকার নিশ্চিত সিলেট স্ট্রাইকার্সদের।
বরিশালের জয়ের মূল নায়ক ছিলেন পাকিস্তান অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। একাই পাঁচটি উইকেট তুলে নেন তিনি। তাও মাত্র ৭ রানের বিনিময়ে। তার বোলিং তোপে প্রতিরোধই গড়তে পারেনি সিলেটের ব্যাটাররা। রনি তালুকদারকে দিয়ে উইকেটের শুরু। এরপর একে একে তুলে নেন কাদিম অ্যালাইনে, নাহিদুল ইসলাম, আরিফুল হক ও সুমন খানকে। টি-২০ ক্যারিয়ারে ফাহিমের এটি দ্বিতীয় ৫ উইকেট। ২০১৯ সালের পিএসএলে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে ১৯ রানে ৬ উইকেট তার সেরা। এবার ২২ উইকেট নিয়ে সেরা তাসকিন। পরের নামটিই ফাহিমের। ৯ ম্যাচে ওভারপ্রতি মাত্র সাড়ে ৬ রান খরচ করে ১৫ উইকেট নিয়েছেন বরিশালের পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। আকিফ জাভেদ ও আবু হায়দারের সাথে যৌথভাবে বোলারদের তালিকায় দুইয়ে তিনি। প্রথম পাঁচ ম্যাচে ১৭.২ ওভার বোলিং করে মাত্র ৫ উইকেট নিতে পেরেছিলেন ফাহিম। ওভারপ্রতি খরচ ছিল প্রায় ৮ রান করে। পরের চার ম্যাচে বল হাতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।
অবশ্য টস ভাগ্য ছিল সিলেটেরই। আগে ব্যাটিং বেছে নিয়ে শুরু থেকেই বিপদে পড়ে তারা। দলীয় ১৪ রানে হারায় দুই উইকেট। এরপর শুরু হয় ফাহিম আশরাফের আগুন ঝরানো বোলিং। তাতে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে দলটি। গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোনো জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে আহসান ভাট্টি ও জাকের আলীর গড়া ৩২ রানের জুটি ইনিংসে সর্বোচ্চ। এমনকি ব্যক্তিগতভাবেও দায়িত্ব নিতে পারেনি সিলেটের কোনো ব্যাটার। ২৯ বলে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন আহসান ভাট্টি। ১৯ বলে ২৪ রান করেন জাকের আলী। এছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন অধিনায়ক আরিফুল হক (১২) ও তানজিম হাসান সাকিব (১৩)। ফাহিমের ফাইফার ছাড়া ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নবি ও জেমস ফুলার।
সাদামাটা লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ২২ রানে মেকশিফট ওপেনার তৌহিদ হৃদয়কে (৬) হারায় বরিশাল। এরপর দ্রুত ফিরে যান ডেভিড মালানও (৯)। তবে অপর প্রান্তে কিছুটা দেখেশুনে ব্যাটিং করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তামিম ইকবাল। সঙ্গী হিসেবে পান আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহীমকে। ৬০ বলে এ দুই তারকার অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটিতে জয় নিশ্চিত হয় তাদের। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তামিম। ৫১ বলের ইনিংসটি সাজান ৬টি চারের সাহায্যে। এবারের বিপিএলে এটি তার তৃতীয় ফিফটি। মুশফিকুর রহীম খেলেন ৪২ রানের হার না মানা ইনিংস। ৩০ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। একটি করে উইকেট নেন নাহিদুল ও সুমন খান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
সিলেট স্ট্রাইকার্স : ১৮.১ ওভারে ১১৬ (ভাট্টি ২৮, জাকের ২৪, আরিফুল ১২, তানজিম ১৩, নবি ২/২৬, ফুলার ২/২৩, ফাহিম ৫/৭, রিশাদ ১/২৪)।
ফরচুন বরিশাল : ১৬ ওভারে ১২০/২ (হৃদয় ৬, তামিম ৫২*, মালান ৯, মুশফিক ৪২*; নাহিদুল ১/২৪, সুমন ১/১৭)।
ফল : ফরচুন বরিশাল ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : ফাহিম আশরাফ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা