২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৩ রজব ১৪৪৬
`

রংপুরকে থামাল রাজশাহী

রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটারদের উল্লাস : দুর্বার রাজশাহী -

দুর্বার রাজশাহীকে অনেকেই মজা করে দুর্বল রাজশাহী তকমা দিয়েছেন। বিশেষ করে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বকেয়া এবং ৯ ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট থাকায় এটি আরো বেশি করে আলোচনায়। গতকাল তারাই উড়তে থাকা রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে রাজশাহী দুর্বল নয়- তারা দুর্বার। বিপিএলে আট ম্যাচের সব ক’টিতেই জয় পেয়েছিল নুরুল হাসান সোহানের রংপুর রাইডার্স। টানা ৮ জয়ে সেরা চারেও জায়গা করে নিয়েছে সবার আগে। বিপরীতে ৯ ম্যাচের তিনটিতে জিতে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে রাজশাহী। কাগজে-কলমে, পারফরম্যান্সে অনেকটা পিছিয়ে থাকা সেই রাজশাহীর কাছে হেরেই থামল রংপুর। রাজশাহীর পরবর্তী ম্যাচ মিরপুর শেরেবাংলায় আগামী ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। প্রতিপক্ষ এই রংপুর রাইডার্সই।
ইয়াসির আলী রাব্বী ও সাব্বির হোসেনের তাণ্ডবে আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ১৭০ রান করেছিল রাজশাহী। ১৭১ রানের রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে তাসকিন আহমেদ-রায়ান বার্লদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিপক্ষে ১৯.২ ওভারে ১৪৬ রানে অলআউট হয় রংপুর রাইডার্স। জিম্বাবুয়ের স্পিনারের রায়ান বার্লের ২২ রানে নেয়া চার উইকেটেই জয়টা শেষ পর্যন্ত হয়েছে রাজশাহীরই। রংপুরকে ২৪ রানে হারিয়ে সেরা চারে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখল তাসকিনরা। অধিনায়ক হিসেবে এটিই তাসকিনের প্রথম জয়।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় রংপুর। দলীয় ১৫ রানেই টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারায় তারা। এরমধ্যে ইরফান শুক্কুর ও ইফতেখার আহমেদ তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। এ দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন এস এম মেহেরব। তবে খুশদিল শাহর ডিফেন্সে হ্যাটট্রিক হয়নি।
সাইফ হাসানকে কিছুটা সঙ্গ দিয়ে সাব্বির হোসেনের শিকার হন খুশদিল। চতুর্থ উইকেটে ৪০ রান যোগ করেন তারা। এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাইফ। ২৯ বলে পাঁচটি চার ও দু’টি ছক্কায় ৪৩ রান করে বিদায় নেন শফিউল ইসলামের বলে। এরপর বল হাতে আসেন বার্ল। প্রথম ওভারে তুলে নেন শেখ মাহেদী হাসানের উইকেট। সোহান যথারীতি আগ্রাসন চালিয়ে যান। ২৬ বলে চারটি চার ও দু’টি ছক্কায় ৪১ রান করে আশা দেখান রংপুরকে। তবে বার্লের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে হেরফের করে বিদায় নেন তিনি।
এরপর আকিফকেও ফেরান বার্ল। তখন রংপুরের শেষ আশা ছিল সাইফউদ্দিনকে ঘিরে। তাকে খুব বেশি আগাতে দেননি বার্ল। ১৪ বলে দু’টি চার ও একটি ছক্কায় ২৩ রান করেন তিনি। এরপর নাহিদ রানাকে ছাঁটাই করেন অধিনায়ক তাসকিন। তাতেই জয় নিশ্চিত হয় তাদের। ২২ রানের খরচায় চারটি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার বার্ল। দু’টি করে উইকেট পান তাসকিন ও মেহেরব।
তার আগে টস জিতে রাজশাহীকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রংপুর। টপ অর্ডার থেকে দারুণ শুরু পেয়ে মিডল অর্ডারে তাণ্ডব চালিয়েছেন ইয়াসির আলী। দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ১২ বলে ১৯ এবং তিন ছক্কা ও চারটি চারে ১৯ বলে ৩৯ রান করেছেন সাব্বির হোসেন। এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৩৪ রান। পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ছয় ছক্কা ও দুই চারে ৩২ বলে ৬০ রান করেছেন তিনি। রংপুরের খুশদিল শাহ ও আকিফ জাভেদ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দুর্বার রাজশাহী : ১৭০/৯ (হারিস ১৯, সাব্বির ৩৯, এনামুল ৩৪, ইয়াসির ৬০, রকিবুল ১/৩৮, খুশদিল ৩/৩১, আকিফ ৩/২৩, নাহিদ ১/২৭)।
রংপুর রাইডার্স : ১৯.২ ওভারে ১৪৬ (সাইফ হাসান ৪৩, খুশদিল ১৪, সোহান ৪১, সাইফ উদ্দিন ২৩, তাসকিন ২/২০, মেহেরব ২/১৯, শফিউল ১/১৬, সাব্বির ১/১৬, বার্ল ৪/২২)।
ফল : দুর্বার রাজশাহী ২৪ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : রায়ান বার্ল


আরো সংবাদ



premium cement