১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১২ রজব ১৪৪৬
`

শেষের নাটকে দ্বিতীয় জয় সিলেটের

-

ম্যাচের শেষ দিকে হঠাৎ ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। খুলনার বিপক্ষে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল সিলেট। ইনিংসের শেষ ১৫ বলে ৪৫ রান প্রয়োজন খুলনার, হাতে তখনো তিনটি উইকেট। একটা পর্যায়ে ছয় বলে প্রয়োজন ১৯ রান। প্রথম বলে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন সিঙ্গেল নিলেন। আবু হায়দার রনি পরের দুই বলে চার মেরে বাড়িয়ে দিলেন উত্তেজনা। শেষ তিন বলে ১০ রান প্রয়োজন হলে জয়টা তখন খুলনার নাগালেই। সেখান থেকেই স্নায়ুর চাপ সামলে দারুণভাবে তিন বল শেষ করলেন রুয়েল মিয়া। সিলেটের গ্যালারি ফিরে পেল প্রাণ। ৮ রানের জয়ে উল্লাসে মেতে উঠল সিলেট স্ট্রাইকার্স।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ১৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭৪ রানেই থেমে গেল খুলনা টাইগার্স। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে নাহিদুল ইসলামের প্রথম বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১১ রানে মোহাম্মদ নাঈম শেখ। পরের ওভারেই তানজিম হাসান সাকিবের বল পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে দুই রানে ফেরেন ইমরুল কায়েস। দারভিশ রাসুলি দু’টি চার একটি ছক্কার পর ফিরতি ক্যাচ দেন রিস টপলিকে (১৫)। ১৫ রান করে ব্যর্থতার পরিচয় দেন অধিনায়ক মিরাজও। ৩২ রানে জীবন পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি উইলিয়াম বসিস্টো। এরপর ৪০ বলে ৪৩ রান নিয়ে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ান এই ব্যাটার।
১৮তম ওভারে জিয়াউর রহমান রান আউট হয়ে ফিরলে ওই ওভারেই টানা দু’টি চার মারেন মাহিদুল। পরের ওভারেই ম্যাচে নতুন প্রাণ ফেরে। তানজিমের করা ওভারে আসে ১৫ রান। শেষ ওভারে যখন প্রয়োজন ১৯ রান, প্রথম বলে মাহিদুলের সিঙ্গলের পর টানা দু’টি চার মেরে গ্যালারিকে চুপ করিয়ে দেন আবু হায়দার। তিন বলে তখন জয়ের জন্য ১০ রান প্রয়োজন। চতুর্থ বলে ছক্কার চেষ্টায় এক্সট্রা কাভার সীমানায় ধরা পড়েন ছয় বলে ১৪ রান করা আবু হায়দার। স্ট্রাইক নেয়ার চেষ্টায় পরের বলে ২৮ রান নিয়ে রান আউট মাহিদুল। দু’টি করে উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব, রিচ টপলি ও রুয়েল মিয়া।
টস হেরে এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে কিছুটা টেস্ট মেজাজের ব্যাটিংয়ে শুরু করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। পাওয়ার প্লেতে বাউন্ডারি আসে মাত্র দু’টি। এর মধ্যে উইকেটও হারায় দু’টি। প্রথম ১০ ওভারে তাদের ব্যাট থেকে আসে ৬৫। আর পরের ১০ ওভারে ১১৭ রান। সব মিলি পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান। জ্বলে উঠেন আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক জাকির হাসান। ক্যারিয়ার সেরা ৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে ম্যাচসেরাও হন তিনি। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেরা হলেন জাকির। এক প্রান্তে অপরাজিত থাকা রনি তালুকদার এবার শুরু করেন জাকির হাসানকে নিয়ে। বাউন্ডারি আসতে থাকে প্রতি ওভারে। দশম ওভারে নাসুম আমেদকে টানা দু’টি ছক্কায় ঝড় শুরু করেন জাকির। পরের ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের ওভারে আসে ১৯ রান। জাকির ফিফটি করেন ২৯ বলে। চার ম্যাচের মধ্যে তার তৃতীয় ফিফটি এটি। এরপর নাওয়াজকে চার মেরে ৩৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন রনি। ৪৪ বলে ৫৬ রান রনি ফিরলে ভাঙে ৬২ বলে ১০৬ রানের জুটি। শেষের দিকে অ্যারন জোন্সের ছয় বলে ২০ ও অধিনায়ক আরিফুলের ১৩ বলে হার না মানা ২১ রানের সুবাদে বড় সংগ্রহ পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ছয়টি ছক্কা ও তিন চারে ৪৬ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন জাকির। দু’টি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি ও জিয়াউর রহমান।


আরো সংবাদ



premium cement
শুল্ক হার বাড়ায় মিনিমাম প্রভাব পড়বে জুলাই বিপ্লবে নিহত মাহবুবের পরিবারের পাশে তারেক রহমান সীমান্ত সম্ভারে ৮ মিনিটে দিন-দুপুরে ১৫৯ ভরি স্বর্ণ চুরি সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব : নজরুল ইসলাম খান পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ কেরানীগঞ্জ কারাগারের অস্থায়ী আদালতে চলবে আমানতকারীদের স্বার্থে পর্ষদ সভায় ভূমিকা রাখছেন না স্বতন্ত্র পরিচালকরা এক নারীর শরীরে এইচএমপিভি শনাক্ত সুস্থ আছেন রুগ্ণ প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে নেয়ার এক্সিট পলিসি চান ব্যবসায়ীরা নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান দল ঘোষণা পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী আহত তেল মারা বন্ধ করেন : সরকারি কর্মচারীদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সকল