জেসন-সৈকতও পারেননি ঢাকাকে জেতাতে
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
আগের চার ম্যাচে তিনটিতেই হেরেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। ম্যাচ জেতার জন্য ইংল্যান্ড থেকে জেসন রয়কে উড়িয়ে এনে, কিংবা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতসহ একাদশে ছয়টি পরিবর্তন নিয়েও লাভ হয়নি দলটির। রংপুর রাইডার্সের কাছে সাত উইকেটে হারল ঢাকা। আসরে এটি তাদের টানা চতুর্থ হার। অপর দিকে এ নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে চলতি বিপিএলে এখনও অপরাজিত দল রংপুর। এবারের আসরে উভয় দলের প্রথম দেখাতেও শেষ হাসি হেসেছিল রাইডার্স। গত ৩০ ডিসেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকার বিপক্ষে তাদের জয় ছিল ৪০ রানে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ঢাকাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা ১৬.৩ ওভারে গুটিয়ে যায় ১১১ রানে। জবাবে ৪০ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে রংপুর। এই নিয়ে পাঁচ ম্যাচের সব ক’টিতে জিতল নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন রংপুর। ১০ পয়েন্ট নিয়ে তারা মজবুত করেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান। অন্য দিকে, থিসারা পেরেরার নেতৃত্বাধীন ঢাকা এখনও জয়হীন। চার ম্যাচ খেলে শূন্য ঝুলি নিয়ে তাদের অবস্থান তলানিতে।
শক্তিশালী রংপুরের বিপক্ষে ১১১ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা। ম্যাচ জিততে রংপুর খেলেছে ১৩.২ ওভার। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আমির হামজার করা প্রথম ওভারে ১০ রান নিলেও পরের কয়েক ওভার বেশ রয়েসয়ে খেলেন রংপুরের দুই ওপেনার অ্যালেক্স হেলস এবং আজিজুল হাকিম। চতুর্থ ওভারে আজিজুলকে বিদায় করেন মোস্তাফিজ। তার চতুর্থ স্টাম্পের বলে লফটেড ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ১৪ বলে পাঁচ রান করা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই অধিনায়ক।
পরের দুই ওভারে একটু হাত খুলে খেলেন হেলস। যার কারণে পাওয়ার প্লেতে দলটি তোলে এক উইকেটে ৪৬ রান। দলের রান আরও বাড়াতে গিয়ে দলীয় ৬১ রানের মধ্যে ফিরেন হেলসও। মোসাদ্দেক হোসেনের ওভারের স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন তিনি। দৌড়ে এসে বলটি ডিপে লুফে নেন সাব্বির রহমান। ২৭ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৪৪ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় আগের মাচের সেঞ্চুরিয়ান অ্যালেক্স হেলসকে।
আগের ম্যাচে ৮০ রান করা সাইফ হাসানকেও বেশীক্ষণ উইকেটে থাকতে দেননি আলাউদ্দিন বাবু। প্রথম ওভারে ২০ রান দেয়া এই বোলার এই ওভারে ফেরান সাইফকে। তার লেংথ ডেলিভারিতে ডিপে ক্যাচ তোলেন সাইফ। ১৫ বলে ১৩ রান করেন বিদায় নেন সাইফ। ৭২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় রংপুর। এরপর আর কোনো বিপত্তি ঘটতে দেননি ইফতিখার আহমেদ এবং খুশদিল শাহ। ইফতিখার ১২ বলে ৯ এবং খুশদিল ১৩ বলে অপরাজিত ২৭ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা ক্যাপিটালস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২০ রান করেন তানজিদ হাসান তামিম। শেখ মেহেদী লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হওয়ার আগে ইংলিশ রিক্রুট জেসন রয় করেন ১২ বলে ১৮ রান। শেষ দিকে ১৬ বলে ১৬ রান করেন আলাউদ্দিন বাবু। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান থিসারা পেরেরা এ দিন গোল্ডেন ডাক মারেন। রংপুরের হয়ে বল হাতে ২১ রান খরচায় তিন উইকেট নেন নাহিদ রানা। দুটি কর উইকেট নেন আকিফ জাভেদ এবং খুশদিল। একটি করে উইকেট নেন মাহেদী, ইফতিখার এবং রাব্বি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ঢাকা ক্যাপিটালস : ১৬.৩ ওভারে ১১১ (হাবিবুর ১৪, রয় ১৮, তানজিদ ২০, লিটন ৯, সাব্বির ৩, থিসারা ০, মোসাদ্দেক ১২, আলাউদ্দিন ১৬, হামজা ০, মুকিদুল ২*, আকিফ ২/১৩, নাহিদ ৩/২১, শেখ মাহেদী ১/১৫, ইফতিখার ১/৮, খুশদিল ২/১৪, কামরুল ১/১১)।
রংপুর রাইডার্স : ১৩.২ ওভারে ১১৩/১ (আজিজুল ৫, হেলস ৪৪, সাইফ ১৩, ইফতিখার ১৩*, খুশদিল ২৭*; মোস্তাফিজ ১/২৩, আলাউদ্দিন ১/৩৩, মোসাদ্দেক ১/১৩)।
ফল : রংপুর রাইডার্স ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : নাহিদ রানা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা