আবাহনীর বদলায় অনিশ্চিত মোহামেডান
ঢাকা আবাহনী ১-০ মোহামেডান, ( ইব্রাহিম)- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
পেশাদার লিগ শুরু হওয়ার পর থেকেই মোহামেডানকে পেছনে ফেলেছে ঢাকা আবাহনী। দর্শকপ্রিয় এ দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে পাল্টা পাল্টি চ্যাম্পিয়ন হলেও বিপিএলে এখনো শিরোপা দেখা পায়নি মোহামেডান। বিপরীতে আবাহনীর ঘরে ৬ বিপিএল ট্রফি। মাঝেতো চ্যাম্পিয়নশিপের স্বাদ পেতেই ভুলে গিয়েছিল সাদাকালো শিবির। শেষ পর্যন্ত ২০২৩ সালে মতিঝিল ক্লাব পাড়ার দলটির ট্রফি জয়ের অপেক্ষার অবসান এ আবাহনীকে হারিয়ে। এরপর আরো দুই ম্যাচে আকাশি নীল শিবিরের বিপক্ষে জয় মোহামেডানের। গত বছর ফেডারেশন কাপের পর এবারের লিগেও আবাহনীর বিপক্ষেও শেষ হাসি মোহামেডানের। তবে সেই তিন হারের বদলাই গতকাল নিয়েছে ধানমন্ডির ক্লাবটি। কুমিল্লার ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আলফাজ আহমেদের দলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে মারুফল হকের দল। এতে বসুন্ধরা গ্রুপ ফেডারেশন কাপের নক আউটে যাওয়ার পথে একধাপ এগিয়ে গেল আবাহনী। ৭২ মিনিটে আবাহনীর পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন ইব্রাহিম।
মোহামেডান ২০২৩ সালের ফেডারেশন কাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে হারিয়েছিল আবাহনীকে। গত বছর এ আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের জয় ছিল ২-১ গোলে। আর এবারের লিগে দুই দলের লড়াইয়ে ১-০তে হাসিমুখে মাঠ ত্যাগ সাদাকালোদের। কাল প্রতিশোধের এই জয়ে ‘বি’ গ্রুপে রহমতগঞ্জের সাথে যৌথভাবে শীর্ষে নিয়েছে গেছে আবাহনীকে। আর প্রথম ম্যাচে রহমতগঞ্জের কাছে হারের পর কাল আবাহনীর কাছে পরাজিত হওয়া মোহামেডানের। এতে তিন ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে নক আউটে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে গেল মোহামেডানের। উল্লেখ্য , ২০২৩ সালের পর মোহামেডানকে হারালে আবাহনী।
এবারের সিজনে সম্পূর্ণ দেশী ফুটবলার নিয়েই খেলছে আবাহনী। কাল এ বাংলাদেশী ফুটবলাররাই হারের লজ্জা দিয়েছে চার বিদেশী নিয়ে খেলা মোহামেডানকে। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম আবাহনী এবং মোহামেডান দুই দলেরই হোম ভেনু। কাল এ ম্যাচে সাদা কালোদের ফরোয়ার্ড লাইনের মূল ভরসা সোলেমান দিয়াবাতে ফিরেছেন। তবে ইনজুরি কাটিয়ে ফিরলেও দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি মালির এ ফরোয়ার্ড। ৮৬ মিনিটে জুয়েলের কর্নারে এ সোলেমান হেডে গোল করতে পারলে ম্যাচে তাদের হারতে হতো না।
আবাহনীর গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় প্রথমার্ধে গোল পাননি প্রতিপক্ষরা। বিরতির পরপরই মোহামেডানকে গোল-বঞ্চিত করেন আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা। তাদের এ ব্যর্থতার সুযোগেই ৭৪ মিনিটে গোল আদায় আবাহনীর, তা কাউন্টার অ্যাটাক থেকেই। মোহামেডানের আক্রমণ নস্যাৎ করে দেয় আবাহনীর ডিফেন্স লাইন। সে বল শাকিল বাড়ান এনামুল গাজীকে। এরপর এনামুল গাজীর পাস থেকে রাইট উইংয়ে বল পান শাহরিয়ার ইমন। সেই বলে ইমন বক্সে যে সেন্টার করেন তাতে গায়ে গায়ে থাকা বিপক্ষ ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের শটে গোল করেন ইব্রাহিম। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া এ ফরোয়ার্ড এর আগে বিপিএল ফুটবলে মোহামেডানের হয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আবাহনীর বিপক্ষে জয়সূচক গোল করেছিলেন।
আবাহনীর আরো দুই ম্যাচ বাকি রহমতগঞ্জ এবং ইয়ংম্যান্সের বিপক্ষে। অন্যদিকে মোহামেডানকে আসরের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে ইয়ংম্যান্সের বিপক্ষে। আবাহনী যদি পরের দুই ম্যাচে জয় পায় এবং রহমতগঞ্জ যদি জিতে যায় চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে তাহলে ইয়ংম্যান্সের বিপক্ষে জিতলেও কাজ হবে না মোহামেডানের।
কাল ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন স্টেডিয়ামে আসরের অপর ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী প্রথমে লিড নিয়েও জিততে পারেনি। তাদের ২-২ গোলে রুখে দিয়েছে ইয়ংম্যান্স ক্লাব ফকিরেরপুল। ১৩ মিনিটে সাইফুলের গোলে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ২১ মিনিটে ইয়ংম্যান্সের আকবির সমতা আনেন। ৭৩ মিনিটে শান্ত টুডুর গোলে প্রিমিয়ারে নবাগতদের এগিয়ে যাওয়া। তবে অভিজ্ঞ তৌহিদুল আলম সবুজের ৮০ মিনিটের গোলে সমতা আনে সাইফুর রহমান মনির দল। চলতি মৌসুমে লিগ ও ফেডারেশন কাপ মিলে এটি চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রথম পয়েন্ট পাওয়া।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা