০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১, ৮ রজব ১৪৪৬
`

দুই স্তরের টেস্ট কতটা বাস্তবসম্মত

-


ক্রিকেটে ‘তিন মোড়ল’ চাওয়াই আদতে শেষ কথা কি না? ক্রীড়া জগতের এই অঙ্গনে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড আর ভারতের প্রভাব সম্পর্কে কমবেশি সবারই জানা আছে। সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেটকে আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে আবারো আলোচনায় ক্রিকেটের কথিত ‘মোড়লরা’।
ক্রিকেটের দীর্ঘতম এই সংস্করণকে দুই স্তরে ভাগ করার কথা আগেও উঠেছিল। এই পরিকল্পনায় র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম সারির দলগুলো ভাগ হয়ে নিজেদের মধ্যে বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পাবে। তবে কপাল পুড়বে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের মতো দলগুলোর। এমনিতেই বড় দলগুলোর বিপক্ষে কালেভদ্রে টেস্ট খেলার সুযোগ পায় নিচু সারির দলগুলো। নতুন এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন হলে এই দলগুলোর টেস্ট ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। বড় দলগুলোর খেলায় নিজ দলের দর্শক ছাড়াও সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদেরও আগ্রহ থাকে। অন্যদিকে আফগানিস্তান বা আয়ারল্যান্ডের মতো উঠতি দলগুলোর খেলায় দর্শক আগ্রহ যে তলানিতে থাকবে সেটা সহজেই অনুমেয়।

সদ্য শেষ হওয়া বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে দেখা গেছে রেকর্ড সংখ্যক দর্শক। অস্ট্রেলিয়া-ভারতের পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রতিটিতেই দর্শক সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। দর্শকের এই উন্মাদনাই দ্বি-স্তর বিশিষ্ট টেস্টের আলোচনাকে উসকে দিয়েছে। মূলত প্রতি দুই বছর পরপর টেস্টে দেখা হয় এই দুই দলের। নিজেদের মধ্যে যদি তারা আরো বেশি টেস্ট খেলতে পারে তবে আরো বেশি বেশি অর্থ আয়েরও সুযোগ থাকে।
ক’মাস আগে আইসিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেয়া জয় শাহ ইতোমধ্যে নতুন এই পদ্ধতি বাস্তবে রূপ দেয়ার কথা ভাবছেন। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ রবি শাস্ত্রিও আছেন এই দলে। শাস্ত্রি বলেন, ‘সেরা দল যদি সেরার বিপক্ষে খেলে তবেই টেস্ট ক্রিকেট টিকে থাকবে। এ ছাড়া অন্য পথ নেই।’
অথচ এর আগে ২০১৬ সালে ভারতই ছোট দলগুলোর কথা বিবেচনায় রেখে এই পদ্ধতিকে ‘না ভোট’ দিয়েছিল। তবে পক্ষে ছিল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্রায়ান লারার দেশ তখন দুই স্তরের আলোচনায় রাজি হলেও এই কিংবদন্তেরই স্বদেশী ক্রিকেটার ক্লাইভ লয়েড একবারেই নারাজ। ক্যারিবীয়দের হয়ে দুবার বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক বলেছেন এই ‘বাজে প্রস্তাব’ নিয়ে আলোচনা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত। টেস্টে ক্রিকেটে নতুন পদ্ধতি কার্যকর হলে নিচের স্তরের দলগুলোর উন্নতির সুযোগ থাকবে না বলে মনে করেন লয়েড।

দ্বি-স্তর বিশিষ্ট টেস্টে মূলত লাভবান হবে বড় দলগুলোই। আর্থিক দিক কিংবা উন্নতির দিক থেকে ছোট দলগুলোর জন্য এই পদ্ধতি মোটেও সুফল বয়ে আনার কথা নয়। তবে এই নিয়মের একটি অন্যতম ইতিবাচক দিক হচ্ছে, দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা অনেকটাই বাড়বে। যেহেতু অবনমন ও উত্থানের নিয়মের কথা বলা আছে, সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি সময় শেষে প্রথম স্তর থেকে একটি দল অবনমিত হবে আর দ্বিতীয় স্তরের একটি দল ওপরে উঠবে। এই পরিকল্পনা যদি সত্যিই আলোর মুখ দেখে তবে সেটা মাঠে গড়াবে ২০২৭ সালের পরে। পরবর্তী এফটিপি থেকে কি দুই স্তর বিশিষ্ট টেস্ট ক্রিকেট দেখা যাবে কি না তা অনেকটাই নির্ভর করছে মোড়লদের ওপরই। তবে ছোট দলগুলোর টেস্ট ভবিষ্যৎ বিবেচনায় না রেখে এই পদ্ধতি কার্যকর করাটা কতটুকু বাস্তবসম্মত হবে প্রশ্ন থেকেই যায়।

 


আরো সংবাদ



premium cement
স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও শিক্ষকদের জীবনযাত্রার মান বাড়েনি দেশের অর্থনীতিতে প্রাণিসম্পদের অবদান সিলেটে জুয়েলারি দোকান থেকে ২৫০ ভরি স্বর্ণ চুরি! মালয়েশিয়ায় ৬৪ বাংলাদেশীসহ ১৫৩ অভিবাসী আটক সিলেটে শেখ মুজিবের ম্যুরাল অপসারণে ৩ দিনের আলটিমেটাম বিনিয়োগকারীদের বাজার বিমুখের ব্যাখ্যা দিলো বিএসইসি প্রথম দফা ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারেনি লিবিয়া একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়াই আমাদের লক্ষ্য : সিইসি ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রক্লেমেশন অব জুলাইয়ের ঘোষণা চাই : হাসনাত আব্দুল্লাহ রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সকল