উসমানের ১২৩ রাজশাহীর ১১৪
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০৫
গতকাল দিনটি ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। চারপাশ ঘোলাটে থাকায় দুপুরে দুটোর ম্যাচও শুরু হলো ফ্লাড লাইট জ্বালিয়ে। তবে খেলার শুরুর পর ২২ গজে দেখা গেল শীতের মধ্যেও উত্তাপ। চিটাগংয়ের উসমান উপহার দিলেন এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি (১২৩)। জুবুথুবু দর্শকেদের দেখা গেল জ্যাকেট/চাদর খুলে চার/ছক্কার মজা নিতে। তার একজনের রানই করতে পারেনি দুর্বার রাজশাহীর (১১৪) পুরো ইউনিট।
বিপিএলে এক দিনের ব্যবধানে বিপরীত চিত্রটাও দেখল দুর্বার রাজশাহী। মূলত প্রতিপক্ষের রানের চাপটাই নিতে পারেনি রাজশাহী। আগের দিন তাসকিন আহমেদের রেকর্ড ম্যাচে জয় পেলেও গতকাল চিটাগং কিংসের কাছে ১০৫ রানের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রাজশাহী। দানবীয় ব্যাটিংয়ে চিটাগং কিংসকে বিশাল পুঁজি এনে দেন উসমান খান। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। এরপর বাকি কাজ সারেন বোলাররা। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে দারুণ জয় পায় মোহাম্মদ মিঠুনের দল। যা দলটির প্রথম জয়।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ২১৯ রান তোলে চিটাগং। জবাবে ১৭.১ ওভারে ১১৪ রান তুলে গুটিয়ে যায় এনামুল হক বিজয়ের দল। তাতে ১০৫ রানের জয় বন্দরনগরীর দলটির।
এবারের বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন উসমান। ৬ ছক্কা ও ১৩ চারে সাজানো ১২৩ রানের ইনিংস তার বিপিএল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়েই ২০২৩ বিপিএলে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটার। তার ১৯৮.৩৮ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটির কল্যাণেই এখন পর্যন্ত বিপিএলের সর্বোচ্চ ২১৯ রানের সংগ্রহ পায় চিটাগাং।
ইনিংসের শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে পদ্মা পাড়ের দলটি। প্রথম ওভারের শেষ বলে শরিফুল ইসলামের বলে ব্যক্তিগত ৮ রানে বিদায় নেন সাব্বির হোসেন। আরেক ওপেনার পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিস অবশ্য ৩২ রান করে দলের হাল ধরার চেষ্টা করছিলেন। তবে ১৫ বলে তিন ছক্কা ও দুই চারের ইনিংসটি থামিয়ে দেন তারই স্বদেশী মোহাম্মদ ওয়াসিম। হারিসের আউটের আগে বিদায় নেন প্রথম দুই ম্যাচের দু’টিতে ফিফটি পাওয়া এনামুল হক বিজয়ও। গতকাল ৮ রানেই থেমেছেন রাজশাহীর অধিনায়ক।
২২০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রাজশাহী। পরে আর সেই চাপ সামলাতে পারেনি তারা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে সর্বসাকুল্যে করতে পারে ১১৪ রান। এতে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে বিপিএলের ইতিহাসে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয় পায় চিটিংগ। এর আগে ১০৫ রানের জয় পেয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস ও থকুমিল্লা ওয়ারিয়র্সও।
এবারের বিপিএলে বন্দর নগরীর দলটির প্রথম জয়। চিটাগংয়ের হয়ে ১৭ রানে তিন উইকেট নিয়ে সেরা বোলার অফ স্পিনার আলিস আল ইসলাম। আলিসের মতো সমান তিন উইকেট নিলেও আরেক বাঁ হাতি স্পিনার আরাফাত সানি খরচ করেছেন ২৩ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগং কিংস : ২০ ওভারে ২১৯/৫ (উসমান ১২৩, ক্লার্ক ৪০, মিঠুন ২৮, হায়দার ১৯*, ওয়াসিম ৪*; তাসকিন ২/২২, সোহাগ ১/২৮, শফিউল ১/৪৬)।
দুর্বার রাজশাহী : ১৭.১ ওভারে ১১৪ (হারিস ৩২, ইয়াসির ১৬, আকবর ১৮, বার্ল ১০, সোহাগ ১১, মুরাদ ৫*, মোহর ০*; শরিফুল ২/২৫, সানি ৩/২৩, আলিস ৩/১৭, ওয়াসিম ২/২৪)।
ফল : চিটাগং কিংস ১০৫ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : উসমান খান।
উসমানের সেঞ্চুরি
বিপিএলে সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ডটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিস গেইলের। বিপিএলে সর্বাধিক ৫টি শতক রয়েছে তার। দ্বিতীয় সর্বাধিক ২টি করে সেঞ্চুরি রয়েছে বাংলাদেশের তামিম ইকবাল এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন তারকা- এভিন লুইস, আন্দ্রে ফ্লেচার ও জনসন চার্লসের। সে তালিকায় এবার নাম লিখালেন পাকিস্তানের উসমান খান।
শেরে বাংলায় দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে চিটাগং কিংসের হয়ে অনবদ্য ম্যাচ জেতানো শতক উপহার দিয়েছেন উসমান। পাকিস্তানের হয়ে ১৮ টি-২০ খেলা ২৯ বছর বয়সী ওপেনিং ব্যাটারের জন্ম করাচিতে। তার আগের সেঞ্চুরিটি গতবছর ৯ জানুয়ারি। এই শেরে বাংলাতেই চিটাগংয়ের হয়ে খুলনার বিপক্ষে ১৭৭.৫৮ স্ট্রাইকরেটে ৫ ছক্কা ও ১০ চারে ৫৮ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এবার দ্বিতীয় শতকটি আরও ঝোড়ো গতির। প্রায় দুইশ’ (১৯৮.৩৮) স্ট্রাইকরেটে ১৩ চার ও ৬ ছক্কায় ৬২ বলে খেলেন ১২৩ রানের ইনিংস।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা