ভালো অ্যাকাডেমির পরামর্শ আফ্রিদির
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
পাকিস্তানকে তাদের মাঠে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টি-২০তেও একই সাফল্য। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের কৃতিত্ব তো ছিলই। গত কয়েক মাসে স্মরণীয় কয়েকটি সাফল্যের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। অব্যশ হারও রয়েছে বাজেভাবে। তবে বাংলাদেশের সাফল্য নজর কেড়েছে শহিদ আফ্রিদির। বিপিএলে চিটাগাং কিংসের মেন্টর ও শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যোগ দিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজদের প্রশংসা করলেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক। পাশাপাশি পরামর্শ দিলেন ভালো একটি অ্যাকাডেমি গড়ার।
১৯৯৮ সাল থেকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক। ক্রিকেটার হিসেবে অনেকবার এসেছেন আফ্রিদি। এই দেশকে তিনি ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ মনে করেন, নানা সময়েই কথাটি বলেছেন তিনি। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচ চলার সময় বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসার কথা তুলে ধরেন আফ্রিদি। ‘আমি সবসময় বলি, বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি। এখানে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। এখানের মানুষ ক্রিকেটের ব্যাপারে অনেক উৎসাহী। এখানে সম্মান পেয়েছি। পাকিস্তান ও ভিন্ন কয়েকটি ফ্রথ্যাঞ্চাইজির হয়ে বিপিএলে আমার দারুণ স্মৃতি আছে। সবমিলিয়ে অভিজ্ঞতা খুব ভালো।’
১৯৯৮ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ১৩ বার বাংলাদেশ সফর করেছেন আফ্রিদি। এ ছাড়া ২০১৯ পর্যন্ত ভিন্ন পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন বিপিএলের ছয় আসরে। ক্যারিয়ারজুড়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে টি-২০ ক্রিকেটের বড় বার্তাবাহক ছিলেন আফ্রিদি। তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে বিপিএলের এবারের আসরে তাকে দলের সঙ্গে যুক্ত করেছে চিটাগং কিংস। গতকাল দলের প্রথম ম্যাচ মাঠে বসেই দেখেছেন। ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে কিছু না বললেও বোলারদের ঘাটতির দিকটি তুলে ধরেন আফ্রিদি।
‘একজন মেন্টরের কাজ খুবই সহজ। শুধু সমর্থন ও অনুপ্রেরণা দেয়া। মাত্র টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। বোলিংয়ে আমরা কিছু বড় ভুল করেছি। খুব অভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ আমাদের। কিন্তু সঠিক জায়গায় বোলিং করতে পারিনি। পিচ পড়তে পারিনি। পিচ বুঝে বোলিং করতে পারলে ভালো ফল বয়ে আনা সম্ভব।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক সাফল্য ও উন্নতির জন্য প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের জন্য ভালো অ্যাকাডেমি গড়ার পরামর্শ দেন আফ্রিদি। ‘বাংলাদেশের উন্নতিতে আমি খুবই খুশি। কারণ তারা ভুগছিল। বিপিএলের মাধ্যমে অনেক দিন ধরে প্রতিভাবান তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দেয়ার চেষ্টা করছে তারা। পাকিস্তানের বিপক্ষেও খুব ভালো খেলেছে, সিরিজ জিতেছে। বাংলাদেশে অনেক প্রতিভা আছে। তাদের জন্য ভালো প্রতিষ্ঠান, যেমন কিছু অ্যাকাডেমি দরকার, যেখানে ক্রিকেটাররা বেড়ে উঠতে পারবে। স্বাক্ষর রাখতে পারবে- যাদের মনে রাখবে আজীবন।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা