০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩০, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৫
`

মাহমুদুল্লাহ জাদুর মতো : ফাহিম আশরাফ

-


ফাহিম আশরাফ যখন ক্রিজে আসেন, ফরচুন বরিশালের রান তখন ৬ উইকেট হারিয়ে ১১২ রান। জয় থেকে ৮৬ রান দূরে ছিল, হাতে ৪৬ বল। উইকেটে আসার পর প্রথম ৮ বলে ফাহিম আশরাফ করেছিলেন এক রান। এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সঙ্গী হয়ে গড়েন দুর্দান্ত এক জুটি। বরিশালও ১৯৮ রান তাড়া করা ম্যাচে জয় পায় ১১ বল হাতে রেখে। সেখানে ফাহিম-মাহমুদুল্লাহর অবিচ্ছিন্ন জুটির অবদান ৩৫ বলে ৮৮ রান। দু’জনে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরিও। সংবাদ সম্মেলনে এসে ফাহিম আশরাফ বলেন, ‘মাহমুদ ভাই জাদুর মতো। প্রথম ৬-৭ বলে আমি মাত্র ১ রান করলাম। আমি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী হয়েছে?’ তিনি আমাকে বললেন, ‘তুমি কেবল টিকে থাকো।’ এ রকম অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকলে ব্যাপারটা ভালো। অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। চাপ সামাল দেয়া যায়। সব কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। ’

তিনি যোগ করেন, ‘পরিকল্পনা সাধারণ ছিল। শুরুতে আমরা ভেবেছি পিএসএল, বিপিএল বা যেকোনো টি-২০ ম্যাচে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে। ফলে সে রকম বড় কিছু চিন্তা না করে ২ ওভার করে ভালো করার চেষ্টা করেছি। সেভাবে এগিয়েই চেয়েছি ম্যাচ জিতে নিতে।’
ফাহিম বলেন, ‘আমরা ২-৩ ওভার বল করার পর বুঝেছিলাম উইকেট ভালো। শুরুতে আমি ভেবেছিলাম হয়তো ১৫০-১৬০ রানের উইকেট হবে। পরে স্লো বল হোল্ড করছিল না। ১৭০ রানের উইকেট মনে হচ্ছিল। ইয়াসির এবং এনামুল দারুণ খেলেছে পরে। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট আরো ভালো হয়েছে। প্রথম ইনিংসে উইকেট নরম ছিল। পরে শক্ত এবং শুকনা হয়ে গেছে।’

মাহমুদুল্লাহ জানেন কিভাবে ম্যাচ জেতাতে হয় : বিজয়
ম্যাচ শেষে রাজশাহীর অধিনায়ক বিজয় বলেন, ‘রিয়াদ ভাই এরকম ম্যাচ অনেক খেলেছেন। উনারা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়। যে দলের হয়েই খেলেন এভাবে ম্যাচ জিতিয়েছেন। আসলে উনি জানেন এবং ওনার ওই বিশ্বাসটা আছে যে কিভাবে এমন ম্যাচ শেষ করতে হয়।’
বিজয় যোগ করেন, ‘উনি দারুণ ফর্মে আছেন। ভালো ইনিংস খেলছেন তার জন্য শুভকামনা। আশা করব উনি দেশের হয়ে এমন ইনিংস আরো উপহার দেবেন। এরকম একজন ব্যাটার প্রতিপক্ষের জন্য সবসময়ই চিন্তার। যেমনটা আজ আমাদের হয়েছে।’
হারের কারণ হিসেবে বোলিংয়ে অভিজ্ঞতার ঘাটতি দেখছেন বিজয়, ‘তাসকিন বাদে বোলিংয়ে অভিজ্ঞতার ঘাটতি ছিল। ওর সাথে একজন বোলার যদি ভালো এক্সিকিউশন করতে পারত তাহলে ফলাফল ভিন্ন হতে পারত।’


আরো সংবাদ



premium cement