আস্থা অর্জনে সচেষ্ট আরিফুল

সিলেট স্ট্রাইকার্স ভুগছিল নেতৃত্ব নিয়ে। মাশরাফি বিন মুর্তজার অবর্তমানে কাকে দেয়া যায় সেটি নিয়েই ছিল ক্ষণ পার। অভিজ্ঞ জাকির হাসান, জাকের আলী, রনি তালুকদারের মতো প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার দলে থাকতে জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অধিনায়কের ভার পড়ল আরিফুল হকের ওপর। তাকে অধিনায়ক করায় অনেকেই বিস্মিত হলেও ফ্র্যাঞ্চাইটির অন্য কোনো উপায়ও ছিল না। গতকাল নিজের প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আরিফুল বলেন, ‘কথাবার্তা চলছিল। গত রোববার রাতে চূড়ান্ত হয়েছে। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভালো লাগছে এরকম একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের নেতৃত্ব দেয়ায়। এটা আমার জন্য দারুণ সুযোগ।’
আরিফুল আরো জানালেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না কোনো চাপ আছে। উনারা যারা বিদেশী ক্রিকেটার আছেন, সাথে আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটার আছেন সবাই অনেক ম্যাচিউর। সবাই আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটার। সবার কাছ থেকে আমি সাহায্য পাবো। তাদের সাথে আমার কথাও হয়েছে। এখানে চাপের কিছু নেই।’

ঘরোয়া ক্রিকেটে এর আগে রংপুর বিভাগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার আরিফুল। এ ছাড়া বিপিএল খেলছেন ২০১২ সাল থেকে। সেসব অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর কথা বললেন সিলেটের নতুন অধিনায়ক, ‘আমি জাতীয় লীগে অধিনায়কত্ব করেছি। আমার যতদিনের অভিজ্ঞতা আছে; বিপিএলের সব ক’টি আসরেই খেলেছি। সে কারণে অধিনায়কত্ব আমার কাছে প্রথমবার মনে হচ্ছে না।’
কাগজে-কলমে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে নিয়ে বাজি ধরার লোক খুব একটা পাওয়া যাবে না। স্কোয়াডে বড় নামের তারকা ক্রিকেটার নেই। স্থানীয় ক্রিকেটার সংগ্রহে এগিয়ে থাকলেও বিদেশী ক্রিকেটার তেমন জড়ো করতে পারেনি। তবুও আরিফুল বড় স্বপ্ন দেখালেন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য সিলেট লড়বে সেই ঘোষণাও দিয়ে রাখলেন, ‘সত্যি বলতে আমাদের বোলিং আক্রমণ অনেক ভালো। লোয়ার অর্ডারে ভালো ব্যাটসম্যান আছে। উপরের দিকে এবং আমাদের বিদেশী ওপেনাররা ভালো মানের। সবার আস্থা অর্জন করে ফাইনালে খেলার দিকেই যেতে পারে সিলেট।’